কানায় কানায় পূর্ণ জনসভা, মিছিল স্লোগানে মুখর খুলনা

প্রকাশিতঃ 8:23 pm | November 13, 2023

কালের আলো রিপোর্ট:

জনারণ্য বা জনসমুদ্র। সোমবার (১৩ নভেম্বর) খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভার জন্য কোন উপমাই যেন যথেষ্ট নয়। বিশাল এ জনসভায় আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সার্কিট হাউজ মাঠের জনসভা মঞ্চে ওঠেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনসভায় ভাষণ দেওয়ার আগেই জনসভাস্থল কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। নগরীর বিভিন্ন প্রবেশপথ দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সকাল থেকে বাসে-ট্রাকে এবং পায়ে হেঁটে জনসভাস্থলে আসেন।

‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ ‘শেখ হাসিনার আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম’,-এমন স্লোগানে স্লোগানে খুলনা মহানগর সকাল থেকেই ছিল মুখরিত। প্রতিটি সড়কে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উচ্ছ্বাস যেন খুলনার মাটি আওয়ামী লীগের দুর্ভেদ্য ঘাঁটির কথাই প্রমাণ করে। খুলনা বিভাগের জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন থেকে আসা হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ মিছিল নিয়ে নগরীর ঐতিহাসিক সার্কিট হাউজ ময়দানে মিলিত হন।

বাহারি সাজসজ্জা আর বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে বিভিন্ন স্লোগানে নেচে গেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বিশাল শোডাউন করে জনসভায় যোগ দেন খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম সদস্য আব্দুস সালাম মূর্শেদী। তাঁর কয়েক কিলোমিটারের দীর্ঘ মিছিলে পুরুষের পাশাপাশি নারীদের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো।

রূপসা ও ভৈরব তীরে নগরীর ঐতিহাসিক সার্কিট হাউজ মাঠে দলের বিভাগীয় জনসভায় আসা খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্যের নেতৃত্বাধীন দলীয় নেতাকর্মীরা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সামনে থেকে এক নজর দেখতে এবং তার কাছ থেকে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা আর উন্নয়নের বার্তা শুনতে এসেছেন তারা। তাঁরা সবাই দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জয়ধ্বনি করেন।

সরেজমিন দেখা যায়, জনসভায় পরনে শাড়ি, মাথায় টুপি পরে মিছিলে অংশ নেন নারীরা। এ সময় তাদের বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী ও নিজ এলাকার আওয়ামী লীগ নেতার নামে স্লোগান দিতে দেখা যায়। নারী কর্মীদের মধ্যে একধরনের উচ্ছ্বাস দেখা যায়।

স্মরণকালের সর্ববৃহৎ এ জনসভায় সড়ক, রেল ও নৌপথে খুলনা বিভাগের ১০ জেলা এবং পার্শ্ববর্তী গোপালগঞ্জ ও পিরোজপুর জেলা থেকেও আসেন অসংখ্য নেতাকর্মী। লোকজন আসার সুবিধার্থে রূপসা ঘাট ও জেলখানা ঘাটে ১০টি ফেরী চালু করা হয়।

প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ দেখা ও শোনার সুবিধার জন্য খুলনা নগরীর ২৮টি পয়েন্টে এলইডি মনিটর স্থাপন করা হয়। মাইক দেওয়া হয় জনসভাস্থলের পার্শ্ববর্তী ৩ থেকে ৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে। প্রধানমন্ত্রী ও জনসভার নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করে সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‍্যাব, নৌপুলিশ ও আনসার বাহিনীর কয়েক হাজার সদস্য। জনসভাটি স্মরণকালের সর্ববৃহৎ স্মরণীয় জনসভায় রূপ দেওয়ার মধ্যে দিয়ে কথা রেখেছেন আওয়ামী লীগের দক্ষিণাঞ্চলের অভিভাবক ও সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন।

জনসভায় উপস্থিত সবার উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনাদের কাছে ওয়াদা চাই। নৌকায় ভোট দেবেন কি-না বলেন, হাত উঁচিয়ে দেখান। এ সময় উপস্থিত জনতা দুই হাত তুলে সাড়া দেন। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রিক্ত আমি নিঃস্ব আমি/দেবার কিছু নাই/আছে শুধু ভালোবাসা/দিয়ে গেলাম তাই।’

কালের আলো/বিএসবি/এমএইচ