নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রকাশ্যে সিল মারলেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিতঃ 5:02 pm | January 07, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

জামালপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল গোপন কক্ষে না গিয়ে প্রকাশ্যেই ভোট দিয়েছেন।

রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে ইসলামপুর উপজেলার পলবান্ধা ইউনিয়নের সিরাজাবাদ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে তিনি ভোট দেন।

তার ভোট দেওয়ার ভিডিওতে দেখা যায়, দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল। এরপর নেতাকর্মীরা তাকে ব্যালট পেপার দেন। তিনি কালো কাপড়ে ঘেরা গোপন কক্ষে না গিয়ে ব্যালট বাক্সের পাশেই ব্যালট পেপার রেখে নৌকা প্রতীকে ভোট দেন। এরপর তিনি ব্যালট পেপার ভাঁজ করে ব্যালট বাক্সে ফেলেন।

এ সময় তার সঙ্গে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, দলীয় নেতাকর্মীসহ কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

বিষয়টি নিয়ে জানতে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলালকে বার বার কল দেওয়া হয়, তবে তার মোবাইল ফোনটি ব্যস্ত পাওয়া যায়।

সিরাজাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা শাহীনুর রহমান বলেন, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী এ কেন্দ্রের ভোটার। তিনি সকাল ৯টার দিকে ভোট দিতে আসেন। তার সঙ্গে দলীয় নেতাকর্মীরা ছিলেন। আমিও সেখানে ছিলাম। তিনি প্রকাশ্যে ভোট দেননি। তিনি ব্যালট বাক্সের পাশে ব্যালট রেখে সিল দিয়েছেন।

এমন কাজ নির্বাচন আচরণবিধি ভঙ্গের মধ্যে পড়ে কি না, সেই প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যান প্রিসাইডিং কর্মকর্তা শাহীনুর রহমান।

ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ভোট দেওয়ার জন্য গোপন কক্ষ রয়েছে। একজন ভোটার প্রকাশ্যে ভোট দিতে পারেন না। এটি আচরণবিধি লঙ্ঘনের মধ্যে পড়ে।

ধর্মপ্রতি মন্ত্রী প্রকাশ্যে ভোট দিয়েছেন, এটি আচরণবিধি লঙ্ঘনের মধ্যে পড়ে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। যদি এমন কোনো ঘটনা ঘটে তাহলে আমি জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

একটি পৌরসভা ও ১২ টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত জামালপুর-২ (ইসলামপুর) আসনের মোট ভোটার ২ লাখ ৬৪ হাজার ৯০৭ জন। এর মধ্যে তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার একজন। আর এই আসনে ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৯২টি। এই আসনটিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৬ প্রার্থী।

কালের আলো/এসএম/আর