কারাগারে খালেদা জিয়া
প্রকাশিতঃ 3:48 pm | February 08, 2018
পলিটিক্যাল করেসপন্ডেন্ট :
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদন্ড দেয়ার পর তাকে রাজধানীর বকশীবাজারের বিশেষ আদালত থেকে নাজিমুদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারে নেয়া হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া প্রহরায় তাকে এখানে নিয়ে আসা হয়।
এ সময় খালেদাকে বেশ বিমর্ষ দেখাচ্ছিল। খালেদার সঙ্গে ফাতেমা নামে এক নারী রয়েছেন। বৃহস্পতিবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩ টার দিকে তাকে কারাগারে নিয়ে আসা হয়।
কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কারাগারে তিনি সর্বোচ্চ সুবিধা পাবেন। নারীদের জন্য কারাগারের চারতলা ভবনের একটি কক্ষে তাকে রাখা হবে।
এদিকে, খালেদার রায়কে ঘিরে গোটা ঢাকায় ৬ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সেখানে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে পুলিশ। সাবেক কোন প্রধানমন্ত্রীর দুর্নীতির রায় বাংলাদেশে প্রথম।
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে রাজধানীর বকশীবাজারে স্থাপিত বিশেষ আদালতে বিচারক ড.আখতারুজ্জামান ৬৩২ পৃষ্ঠার এ রায় পড়া শুরু করেন। মূলত খালেদার
উপস্থিতিতে রায়ের সারাংশই শুধুমাত্র পড়া হয়। দুপুর ২ টা ২০ মিনিট থেকে রায় পড়া শুরু করেন বিচারক। এদিকে, রায় ঘোষণার পর থেকেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন দলটির নেতা-কর্মীরা।
এর আগে দুর্নীতি মামলায় রায় শুনতে বৃহস্পতিবার বেলা ১টা ৪২ মিনিটে আদালতে হাজির হন বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
খালেদা জিয়ার সাথে আদালতে প্রবেশ করতে পেরেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্রিগেডিয়ার (অব.) এম. হাফিজ উদ্দিন ও আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
এর আগে গুলশানের বাসা থেকে ১১টা ৪৫ মিনিটে আদালতের উদ্দেশে রওনা দেন খালেদা জিয়া। আদালতের পথে রওয়ানা দেবার পর তার গাড়িবহরে হাজার হাজার নেতা-কর্মী যোগ দেয়। মগবাজার মোড়ে তার গাড়িবহর পৌঁছার পর নেতা-কর্মীদের ঢল নামে।
খালেদা জিয়ার গাড়িবহর বেলা ১টার দিকে কাকরাইলে প্রধান বিচারপতির বাস ভবনের কাছে পৌঁছালে তার গাড়ির বহরে থাকা নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশ টিয়ার সেল ছোঁড়ে বলে দলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়। এসময় কয়েকটি মোটর সাইকেলে আগুন দেয়া হয়। পরে ভিড় অতিক্রম করে খালেদার জিয়ার গাড়ি ধীরে ধীরে আদালতে পৌছায়।
কালের আলো/এসএ