স্বপ্ন ছোঁয়ার উচ্ছ্বাস মেধাবীদের, সংবর্ধনায় মেধার আলোয় উজ্জ্বল আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ

প্রকাশিতঃ 8:23 pm | January 30, 2024

বিশেষ সংবাদদাতা, কালের আলো:

তিলে তিলে স্বপ্নকে নিজের ভেতর লালন করেছেন। পরিশ্রম আর পড়াশুনার খাটাখাটুনিতে স্বপ্নকে করেছেন বাস্তব। ঢাকা সেনানিবাসস্থ আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে গত বছর অনুষ্ঠিত উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়ে নিজেদের মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন অদম্য মেধাবীরা। ২ হাজার ৩৬৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে কলেজটির ২ হাজার ৬২ জন শিক্ষার্থী জিপিএ ৫ প্রাপ্তির অনন্য রেকর্ড গড়ে দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা অর্জন করেছে।

দীপ্তিময় এসব মেধাবীদের মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সংবর্ধনা প্রদানের মাধ্যমে উৎসাহ ও প্রণোদনা জুগিয়েছে সংশ্লিষ্ট কলেজ কর্তৃপক্ষ। এ সংবর্ধনাকে কেন্দ্র করে কলেজ আঙিনায় ছিল জিপিএ-৫ প্রাপ্ত মেধাবীদের প্রাণোচ্ছল উপস্থিতি। নজরকাড়া এমন সংবর্ধনা পেয়ে আনন্দে উদ্বেল স্বপ্নবাজ মেধাবী ও তাদের অভিভাবকেরাও।

মেধাবীদের মিলন মেলায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা প্রাণখুলে কথা বলেছেন একে অপরের সঙ্গে। পাশাপাশি নিজেদের সাফল্যের গোপন মন্ত্র ও ভবিষ্যত জীবনের টার্গেটের কথাও জানিয়েছেন কৃতি শিক্ষার্থীরা।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা সেনানিবাসের লজিস্টিক্স এরিয়ার জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ও এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল শেখ মোঃ সরওয়ার হোসেন। মেধাবীদের মিলন মেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘মেধাবীদের মেধার আলোয় উজ্জ্বল হয়েছে আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজের মুখ। এ মেধাবীদের হৃদয়ে রয়েছে গভীর দেশপ্রেম। হৃদয়ে বিশ্বাস আর অটুট লক্ষ্য নিয়ে তাঁরা এগিয়ে যাবে। আলোকিত ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠে একদিন এ মেধাবীরাই দেশকে নেতৃত্ব দেবে।’

এ সময় প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে কলেজের শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ফলাফল ও শৃঙ্খলার মানের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি আরও বলেন, ‘নিয়ম নিষ্ঠা আর অধ্যাবসায়কে গুরুত্ব দিয়ে মেধাবীরা প্রতিভার অনন্য স্বাক্ষর রেখেছ। এ সাফল্য ধরে রাখতে হবে। নিজেদের তৈরি করতে হবে জীবনের পরীক্ষার জন্য।’

পরে জিওসি ও এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল শেখ মোঃ সরওয়ার হোসেন মেধার গরিমায় বিজয় বৈজয়ন্তী উড়ানো কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রেস্ট বিতরণ করেন।

এ সময় আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজের অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আল ফারুক সিদ্দিকীসহ সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তা, শিক্ষক-শিক্ষিকারা উপস্থিত ছিলেন।

কালের আলো/এমএএএমকে