আদমজী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলের খুদে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতার জাদু
প্রকাশিতঃ 8:43 pm | February 05, 2024
বিশেষ সংবাদদাতা, কালের আলো:
সমকালীন বাস্তবতার সঙ্গে মিলিয়ে নিজেদের সাজিয়েছিলেন খুদে শিক্ষার্থীরা। বাঙালি জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার বাতিঘর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও যেন যেমন খুশি তেমন সাজে হয়ে ওঠেন একেবারে জীবন্ত। প্রধানমন্ত্রী সেজে সবাইকে চমকে দেন এক শিক্ষার্থী। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ঢাকা সেনানিবাসের লজিস্টিক্স এরিয়ার জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ও এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল শেখ মোঃ সরওয়ার হোসেন থেকে শুরু করে অন্যান্যরাও এতে হয়েছেন অভিভূত।
শুধু তাই নয় নিজেদের সৃজনশীলতার জাদুতে দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্যের নিদর্শন ও সমাজ বাস্তবতার ছাপ ফুটে ওঠে ঢাকা সেনানিবাসস্থ আদমজী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলের আন্তঃহাউজ বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায়। সোমবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) প্রতিযোগিতার সমাপনী দিবসের ইভেন্টটিতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নানান সাজগোজ উৎসাহভরে উপভোগ করেন অতিথি-দর্শকরা।
শীত বিকেলের সোনাঝরা রোদ্দুর টিকড়ে পড়েছে যখন স্কুল মাঠে তখন নানা সংলাপ বলে চলেছিলেন শিক্ষার্থীরা। এক শিক্ষার্থীর অভিভাভক বলেন, ‘সৃজনশীলতা তরুণ প্রজন্মের বৈশিষ্ট্য। এমনকি স্কুলের যেমন খুশি তেমন সাজো ইভেন্টেও থাকে এর প্রয়োগ। আমার সন্তানসহ খুদে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ছিল তার ছাপ।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফারহানা সরওয়ার। ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উপভোগ এবং বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণকালে প্রধান অতিথি লজিস্টিক্স এরিয়ার জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ও এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল শেখ মোঃ সরওয়ার হোসেন বলেন, ‘একাডেমিক কার্যক্রমের পাশাপাশি খেলাধুলার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নৈতিক মনোবল দৃঢ় হবে।’
তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের মনের একান্ত গহীনে প্রাণ প্রাচুর্য ছড়িয়ে দেয় ক্রীড়া। পুরস্কার আনন্দের পাশাপাশি নিষ্ঠা, অধ্যাবসায় ও এগিয়ে যাবার প্রেরণা জোগায়।’ এ সময় তিনি সহশিক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে খেলাধুলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ফলাফল ও শৃঙ্খলার মানের ভূয়সী প্রশংসা করেন জিওসি।
অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও ৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম ইমরান হামিদ, অধ্যক্ষ লে. কর্নেল মো: মহিবুল আকবার মজুমদারসহ সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তা, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।
কালের আলো/এমএএএমকে