নৌবাহিনীর সদস্য পরিচয়ে ১৩ বিয়ে করে ধরা মহিদুল

প্রকাশিতঃ 6:41 pm | February 10, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

নৌবাহিনীর সদস্য পরিচয়ে ১৩ নারীকে বিয়ে ও ৫০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে মো. মহিদুল ইসলাম ওরফে মইদুল (২৭) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। প্রতারক মহিদুলের হাত থেকে বাদ পড়েনি প্রতিবন্ধী নারীও। এসময় তার সহযোগী কুদ্দুস আলীকেও (৩৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলো মানিকগঞ্জের দৌলতপুরের মোহাম্মদ আলীর ছেলে মো. মহিদুল ইসলাম ওরফে মইদুল ও তার সহযোগী ময়মনসিংহের তারাকান্দার নগুয়া গ্রামের মৃত জালাল উদ্দিনের ছেলে কুদ্দুস আলী।

শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মাসুম আহমেদ ভুঁঞা এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, এর আগে শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) গাজিপুরের চন্দ্রা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সম্প্রতি জেলার তারাকান্দা থেকে এক নারীর পরিবারের লোকজন এসে মহিদুলের প্রতারণার বিষয়টি জানালে জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে বিষয়টি তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়। নির্দেশনার ভিত্তিতে মহিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত মহিদুল ইসলামকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, প্রতারক মহিদুল নৌবাহিনীতে এমএলএস পদে চাকরি করতেন। সেখানে দুই বছর চাকরি করার পর বিভিন্ন কারণে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এরপর থেকে সে নৌবাহিনীর সদস্য পরিচয়ে মানিকগঞ্জ ৩টি, টাঙ্গাইলে ৩টি, কিশোরগঞ্জে ১টি ও ময়মনসিংহে ৬টিসহ মোট ১৩টি বিয়ে করেন। এর মাঝে এক প্রতিবন্ধী নারীকে বিয়ে করে সেই ভাতার টাকাও আত্মসাৎ করতেন মহিদুল ইসলাম।

বিয়ে করার কৌশল হিসেবে সে বলে, মানিকগঞ্জে পদ্মার চরে তার বাড়ি ছিল। পদ্মার ভাঙনে মা-বাবা হারানো সব হারিয়ে নিঃস্ব বলে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করতেন। একের পর এক বিভিন্ন জেলায় ১৩টি বিয়ে করে ৫০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে সে।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, ২০১৬ সালে নৌবাহিনীতে চাকরির সময় পোশাক পরিহিত অস্ত্রসহ কিছু ছবি জব্দ করা হয়েছে। মহিদুল ইসলামের গ্রেফতারের খবরে তার ৬ স্ত্রী উপস্থিত হয়েছেন। তারা প্রত্যেকেই টাকা উদ্ধার ও মহিদুল ইসলামের কঠিন বিচার দাবি করেন। তার বিরুদ্ধে টাঙ্গাইল, জামালপুরসহ বিভিন্ন জেলায় প্রতারণার মামলা রয়েছে।

কালের আলো/ডিএস/এমএম