রাজউকের অধীনে হলেও গুলশান লেক পরিচ্ছন্ন করছে সিটি করপোরেশন: মেয়র আতিক
প্রকাশিতঃ 2:20 pm | March 16, 2024
নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
গুলশানের লেক দীর্ঘদিন ধরে শুষ্ক অবস্থায় ছিল, পড়তো ময়লা আবর্জনায়, ছিল দুর্গন্ধ। এই লেককে পরিষ্কারের উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। তবে লেকটি এখনো রাজউকের অধীনে হলেও সিটি করপোরেশন নিজ দায়িত্বেই পরিচ্ছন্নতার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম।
শনিবার (১৬ মার্চ) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ও গুলশান সোসাইটির যৌথ উদ্যোগে গুলশান লেক পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেয়র এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, গুলশান লেক, বারিধারা লেক এখনো রাজউকের অধীনে আছে। তাদের আমি চিঠি দিয়েছি এগুলোকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অধীনে দিয়ে দেওয়া হোক। কিন্তু এই লেক এখনো রাজউকের অধীনে রয়ে গেছে। আমরা তাদের বলেছি এই লেক পরিস্কার করার জন্য, কিন্তু তারা করেনি, সিটি করপোরেশনকেও দেয়নি। কিন্তু কে আসলো, না আসলো আমরা সেটা দেখবোনা।
মেয়র বলেন, গুলশান মসজিদের সামনে লেকে জাহান্নাম থেকেও খারাপ অবস্থা হয়ে আছে। এই এলাকার মলমূত্র সব এখানে ফেলা হয়। এটি মেনে নেয়া যায়না। এই লেক গুলোতে মাছের চাষ হয়না, মশার চাষ হচ্ছে। আমি চাই এই লেক গুলোতে শিশুরা খেলবে। ওয়াটার টেক্সি চলবে। আরো আধুনিক যন্ত্র থাকবে যা দিয়ে তারা খেলবে। কিন্তু পানি হয়ে আছে শতভাগ দূষিত। এখানকার কোনো মানুষ এই লেক থেকে উপকৃত হচ্ছেনা। এই এলাকায় অতিরিক্ত মশা, তা এই লেক গুলো থেকে হয়। গুলশান এলাকার মানুষের জন্য ঈদ উপহার হিসেবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এই লেককে পরিষ্কার করে দিচ্ছে।
মেয়র আতিক বলেন, এলাকায় অনেক গুলশান সোসাইটি মসজিদ আছে। এখানকার মুসল্লিরা প্রায়ই অভিযোগ জানায় পাশের লেক থেকে দুর্গন্ধ আসে। এসব সমস্যা সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও তথ্য প্রতিমন্ত্রী এম এ আরাফাতকে পরিচ্ছন্নতা ও লেক পুনর্জাগরণ করার এই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে বললে তারা নিজ থেকে স্বতঃস্পূর্তভাবে এই অনুষ্ঠানে এসেছেন। সরকারের একার পক্ষে একটা সোসাইটিকে সুন্দর করা সম্ভব না যতক্ষণ না এখানকার মানুষই এগিয়ে আসে। আজকে এখানকার বিভিন্ন স্বনামধন্য স্কুলের শিক্ষার্থীরা ও শিশুরা এই কার্যক্রমে উপস্থিত হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন ফাউন্ডেশন ও এখানে উপস্থিত হয়েছে।
বিভিন্ন জায়গা থেকে পয়ঃবর্জ্য এই লেকে এসে পড়ছে জানিয়ে তিনি জানান, আজকে থেকে এই এলাকায় অভিযান চলবে। যারা বর্জ্য সরাসরি ফেলবে তাদের ড্রেনে আমি কলাগাছ থেরাপি দিবো। যাতে করে এই বর্জ্য আবার তাদের দিকে ব্যাক যায়। ড্রেনের সাথে কেনো কানেক্ট দিয়েছে মানুষ। এখানকার একেকটি ফ্ল্যাট ২৫ কোটি, ৫০ কোটি। সেখানে ড্রেনের সাথে একটি চোরাই পাইপ সংযুক্ত করা হচ্ছে। এই ড্রেন দিয়ে শুধু বৃষ্টির পানি যাওয়ার কথা। একটা ছোট ইপিপি প্ল্যান্ট মাত্র ৩ লাখ টাকা। এসব প্ল্যান্ট করতে রাস্তার নিচে যতটুকু জায়গা লাগে সিটি করপোরেশন ব্যবস্থা করে দিবে। আমরা চাই শুধু সরকার না এলাকাবাসীও এগিয়ে আসুক।
কালের আলো/এমএইচ/এসবি