পথশিশুদের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব ও সহানুভব হওয়ার বিষয়ে আলোকপাত দীপু মনির
প্রকাশিতঃ 8:56 pm | March 18, 2024
নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
পথশিশুদের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব ও সহানুভব হওয়ার বিষয়ে আলোকপাত করেছেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি। তিনি বলেছেন, পথশিশুদের স্বাভাবিক জীবন যাপন নিশ্চিতে সরকার কাজ করছে। পথশিশুদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে।
সোমবার (১৮ মার্চ) রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে চাইল্ড সেনসেটিভ সোশ্যাল প্রোটেকশন ইন বাংলাদেশ প্রকল্পের অধীনে পথশিশুদের পরিস্থিতি বিষয়ক গবেষণা পত্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামাল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি)।
যারা পথেই থাকে তাদের নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘তাদের অসহায়ত্ব অনেক বেশি রকমের, তারা হয়তোবা সমস্যার সম্মুখীন হয়, অনেক রকমের নির্যাতনেরও শিকার হয়। রাতের অন্ধকারে খুবই অনিরাপদ একটা অবস্থার মধ্যে থাকে। আর যারা রাতে পরিবারের কাছে ফিরে, এদের ও নানা সমস্যা থাকে। নানা কারণে পথশিশু হয়। পরিবারের ভেঙে যাওয়া, অতিদারিদ্র্য ও নানাবিধ সমস্যার কারণে শিশুরা পথে থাকে। তারপরও তাদের কি ধরণের সমস্যার সম্মুখীন হয়।’
মন্ত্রী পথশিশুদের প্রতি ইতিবাচক মনোভাবের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী বলেন, ‘পথ চলতি মানুষ কিভাবে তাদের সাথে আচরণ করে তার প্রভাব তাদের উপরে পড়ে। আমাদের প্রত্যেককে তাদের প্রতি সিমপ্যাথি দেখাতে হবে। আমরা কতজন এ শিশুদেরকে একবার ভালে করে দেখি? এবং আমরা হয়তো জীবন বদলে ফেলতে পারবো না, কিন্তু যে কয়েক সেকেন্ডের জন্য তাদের সাথে আমাদের একটা যোগাযোগ ঘটলো, সেই কয়েকটা সেকেন্ডে তাদের প্রতি যদি আমাদের সহমর্মিতা থাকে, তার প্রতি আচরণে, আমাদের কথায় তার জীবনে একটা পরিবর্তন এনে দিতে পারে। আমরা যে ভাবে আচরণটা করি সাধারণত তার কারনে তাদের মধ্যে মধ্যে একটা হীন মনোভাব তৈরি হয়। সে মনে করে নিজে কোন একটা অপরাধ করছে, মনে করে সে ভীষণ রকম খারাপ কিছু বা তুচ্ছ। আমরা যদি এই বাচ্চাগুলোকে স্বপ্ন দেখাতে পারি, তাহলে তারা স্বপ্নের দিকে নিজেদের নিয়ে যাবার ক্ষেত্রে অনেকদূর এগিয়ে যাবে। যদি তাদের প্রতি আচরণটাই সেই রকম ইতিবাচক না হয় তাহলে কিন্তু তারা স্বপ্ন দেখতে সক্ষম হবে না। মন্ত্রী সরকারের পাশাপাশি ব্যক্তি উদ্যোগেও পথশিশুদেরকে সমাজের মূলধারায় আনতে কাজ করার আহ্বান জানান।
মন্ত্রী পথশিশুদের উপর উন্মোচিত গওয়া গবেষণা পত্রটি সম্পর্কে তার মুল্যায়নে বলেন, এ বিষয়টিতে যদিও সরকার অত্যন্ত সজাগ এবং ইতোমধ্যে সমাজকল্যাণ ও মহিলা ও শিশু মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পথশিশুদের আশ্রয়, শিক্ষা, চিকিৎসা, প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসনে অনেক কাজ চলমান রয়েছে। তারপরও এ গবেষণায় তাদের প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে আরও পরিষ্কার ধারণা পাওয়া গেল যা ভবিষ্যতে নীতি নির্ধারণী বিষয়ে কাজ করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। মন্ত্রী গবেষণাটির সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হেসেন(রিমি)বলেন, এই গবেষণা ভবিষ্যতে পথ শিশুদের জন্য কাজ করতে সহায়তা করবে। শিশুদের জন্য একটি সহনশীল সমাজ করতে হবে। অনগ্রসর শিশুদের জন্য পুনর্বাসন, শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য তাঁর মন্ত্রণালয় ৬ টি কেন্দ্র পরিচালনা করছে বলে প্রতিমন্ত্রী জানান। এর আগে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি পথশিশুদের পরিস্থিতি বিষয়ক গবেষণা পত্রের মোড়ক উন্মোচন করেন।
কালের আলো/এমএইচইউআর