ভলিবলে সেনাবাহিনীর ৩৩ পদাতিক ডিভিশন চ্যাম্পিয়ন, পারস্পরিক সৌহার্দ্য আরও মজবুতের বার্তা সিজিএস’র

প্রকাশিতঃ 10:19 pm | April 30, 2024

বিশেষ সংবাদদাতা, কালের আলো:

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ভলিবল প্রতিযোগিতা। ফাইনালে মুখোমুখি সেনাবাহিনীর ৩৩ পদাতিক ডিভিশন দল ও ২৪ পদাতিক ডিভিশন দল। দর্শকের মুর্হুমুহু করতালি ও উল্লাসধ্বনির মধ্য দিয়ে শুরু হয় খেলা। এক-একটা বল, এক-একটা পয়েন্ট যেন নির্ধারণ করে দিচ্ছে জয়-পরাজয়। কক্সবাজারের রামু সেনানিবাসে প্রধান অতিথি হিসেবে স্বশরীরে উপস্থিত থেকে হাইভোল্টেজ ফাইনাল উপভোগ করেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস) লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত ফাইনালে ছিল রীতিমতো প্রাণের ছোঁয়া। এমন প্রাণের ছোঁয়ায় যে কোন খেলাকেই করে দিতে পারে সমৃদ্ধ। ক্রমশ জনপ্রিয়তা বাড়ছে ভলিবলের এমন বার্তাও যেন দিয়েছে এদিনের ফাইনালটি। কৌতূহল জাগানিয়া উপভোগ্যকর ম্যাচটিতে শেষ হাসি হেসেছে সেনাবাহিনীর ৩৩ পদাতিক ডিভিশন দল। তাঁরা ফাইনালে ২৪ পদাতিক ডিভিশন দলকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। ২৪ পদাতিক ডিভিশন দল রানারআপ হওয়ার গৌরব অর্জন করে।

আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, প্রতিযোগিতায় বিশেষ ক্রীড়া নৈপুণ্য প্রদর্শনের জন্য ইউপি সার্জেন্ট রাজু আহমেদ শ্রেষ্ঠ প্রবীণ খেলোয়াড় এবং ইউপি ল্যান্স কর্পোরাল মো. সিফাত হোসেন শ্রেষ্ঠ নবীন খেলোয়াড় নির্বাচিত হন।

আইএসপিআর আরও জানায়, গত ২২ এপ্রিল থেকে চলতি বছরের বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ভলিবল প্রতিযোগিতা শুরু হয়। প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন সেনা অঞ্চলের মোট ১৬টি দল অংশগ্রহণ করে। পরে সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস) লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।

ভলিবল প্রতিযোগিতার ফাইনালে হার-জিত নির্ধারণের পর পারস্পরিক সৌহার্দ্য আরও মজবুতে এক দল আরেক দলকে কীভাবে গ্রহণ করবে, বিজয়ের প্রকাশভঙ্গি কী হবে, সেরা খেলোয়াড়দের আচরণই বা কী হবে এসব বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ এক বার্তা পেয়েছেন ক্রীড়াবীদরা। হতাশা বা বাগাড়ম্বরের মধ্যে নিজেকে সমর্পণ না করে নিত্যদিনই ভাতৃত্বের বন্ধন জাগরিত করার মাধ্যমে নিজেদের মধ্যকার সম্পর্ক সুদৃঢ় করার এক মন্ত্রই যেন তাদের মনে গেঁথে দিয়েছেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস) লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। তিনি বলেন, ‘এই প্রতিযোগিতার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যদের মধ্যে শারীরিক সক্ষমতা, খেলাধুলার মান উন্নয়ন, খেলোয়াড় সুলভ মনোভাবের বিকাশ এবং পারস্পরিক সৌহার্দ্য আরও মজবুত করা। এর মাধ্যমে আমরা ভাতৃত্ববোধ আরও সুদৃঢ় করতে চাই।’

সমাপনী অনুষ্ঠানে ১০ পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ও কক্সবাজার এরিয়ার এরিয়া কমান্ডার ছাড়াও ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তা, অন্যান্য অফিসার, জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার ও অন্যান্য পদবির সৈনিকরা উপস্থিত ছিলেন।

কালের আলো/এমএএএমকে