শিক্ষাবান্ধব পরিবেশের ‘উদাহরণ’ ১৯টি ক্যান্টনমেন্ট ইংরেজি মাধ্যম স্কুল ও কলেজ, শিক্ষার্থীদের সৃষ্টিশীল ও মননশীল প্রতিভা বিকাশে গুরুত্ব সিজিএস’র
প্রকাশিতঃ 9:42 pm | May 16, 2024
বিশেষ সংবাদদাতা, কালের আলো:
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ জনসাধারণের কাছে এক দুর্নিবার আকর্ষণ তৈরি করেছে। দেশের ৬৩টি ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ এবং ইংরেজি মাধ্যম স্কুল ও কলেজে সামরিক ও বেসামরিক প্রায় দেড় লক্ষাধিক শিক্ষার্থী পড়াশুনা করছে। নিজেদের একাডেমিক শ্রেষ্ঠত্বের কথাও জানান দিয়েছে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে। সেখানেও তাদের সাফল্য ঈর্ষণীয়। শিক্ষাবান্ধব এমন পরিবেশ অক্ষুণ্ণ রেখে নিজেদের লক্ষ্য অর্জনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ থেকে শুরু করে অধ্যক্ষ, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ক্যান্টনমেন্ট ইংরেজি মাধ্যম স্কুল ও কলেজের কেন্দ্রীয় সমন্বয় পরিষদের সভাপতি ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস) লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
একই সঙ্গে তিনি শিক্ষার্থীদের নৈতিক ও সামাজিক মূল্যবোধ গড়ে তোলার পবিত্র দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তাদের সৃষ্টিশীল ও মননশীল প্রতিভাকে বিকশিত করা এবং সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পুথিগত বিদ্যার পাশাপাশি বিভিন্ন সহপাঠ্য কার্যক্রমে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার ওপরও বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ঢাকা সেনানিবাসের আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত ১৯টি ক্যান্টনমেন্ট ইংরেজি মাধ্যম স্কুল ও কলেজ এর কেন্দ্রীয় সমন্বয় পরিষদের সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্যে তিনি এসব বিষয়ে আলোকপাত করেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস) হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণের পর বৃহস্পতিবার (১৬ মে) লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান প্রথমবারের মতো ১৯টি ক্যান্টনমেন্ট ইংরেজি মাধ্যম স্কুল ও কলেজ এর কেন্দ্রীয় সমন্বয় পরিষদের সভায় যোগ দেন। এর আগে গত বুধবার (১৫ মে) একইভাবে তিনি ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজসমূহের কেন্দ্রীয় সমন্বয় পরিষদের সভাপতি হিসেবে প্রথমবারের মতো ৫৭তম সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সিজিএস ক্যান্টনমেন্ট ইংরেজি মাধ্যম স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের সামরিক বাহিনীতে যোগদানের উদ্দেশ্যে প্রেষণা প্রদান অব্যাহত রাখতে প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করেন। এজন্য অধ্যয়নরতদের সশস্ত্র বাহিনীতে যোগদানের জন্য নিয়মিত শরীর চর্চা ও খেলাধুলা করতে উদ্বুদ্ধ করতেও সুপরামর্শ দিয়েছেন।
সভা সঞ্চালনা করেন সমন্বয় সভায় প্রধান সমন্বয়ক ও শিক্ষা পরিদপ্তরের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো.রেজাউল ইসলাম। তিনি সভাকে সাফল্যমণ্ডিত করার জন্য গভীর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে বলেন, ‘পারস্পরিক সহযোগিতা, ভ্রাতৃত্ববোধ, শ্রদ্ধাবোধ এবং দায়িত্বশীলতার মাধ্যমেই কেন্দ্রীয় সমন্বয় পরিষদের কার্যক্রমকে আরও বেগবান ও গতিশীল করা সম্ভব।’
আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, সভায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নীতিনির্ধারণীসহ সার্বিক বিষয়সমূহ আলোচনা এবং গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। ইংরেজি মাধ্যম এর শ্রেষ্ঠ স্কুল ও কলেজসমূহকে সেনাবাহিনী প্রধানের ট্রফিসহ বিভিন্ন অর্জনের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ এবং শিক্ষা সম্মাননা স্মারক ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।
সমন্বয় সভায় প্রধান সমন্বয়ক ও শিক্ষা পরিদপ্তরের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো.রেজাউল ইসলাম, সেনানিবাস অধিদপ্তরের সামরিক ভূমি মহাপরিচালক শামীম আহম্মেদসহ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ও অন্যান্য সামরিক কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
কালের আলো/এমএএএমকে