তেজগাঁওয়ে বাড়িওয়ালা খুন, কৃষকের বেশে হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার
প্রকাশিতঃ 5:50 pm | May 26, 2024
নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পশ্চিম নাখালপাড়া শিয়া মাজার এলাকায় রনি হত্যা মামলার প্রধান আসামি মোরশেদ আহম্মেদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার (২৫ মে) জামালপুরের মাদারগঞ্জ চর ভাটিয়ালি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তেজগাঁও থানা সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্তকে ধরতে কৃষক ছদ্মবেশে মাদারগঞ্জ অবস্থান করে পুলিশ। এরপর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঘুমাতে ডিস্টার্ব করায় রনিকে হত্যা করে মোরশেদ।
তেজগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মহসীন জানান, রনি হত্যা মামলার আসামি মোরশেদ আহম্মেদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জামালপুরের মাদারগঞ্জ থানার চর ভাটিয়ালি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মোরশেদ যে টিনসেড বাসায় ভাড়া থাকত রনি সেই বাসার মালিক। রনি এবং তার বন্ধুদের ‘যন্ত্রণায় ঘুমাতে না পেরে’ রনিকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন মোরশেদ।
জানা গেছে, মোরশেদ তেজগাঁও থানার পশ্চিম নাখালপাড়া শিয়া মাজার এলাকায় ভাড়া থাকত। সে যে বাসায় ভাড়া থাকত সেই বাসার মালিক রনির পরিবার। মোরশেদকে যে কক্ষ ভাড়া দেওয়া হয় সেই কক্ষেই রনি ও তার বন্ধুরা তাস খেলতো এবং মাদকসেবন করত। তাদের এই খেলার জন্য মোরশেদকে প্রায়ই দেরিতে ঘুমাতে হয়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বেশ কয়েকবার বাক-বিতণ্ডাও হয়। গত ২৫ মে রাতেও ওই কক্ষে রনি তার বন্ধু মশিউর, বায়জুদুল ইসলাম, একিন, অবিতকে নিয়ে তাস খেলছিল। পরে মোরশেদ আসার পর তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে মোরশেদ ছুরি দিয়ে রনিকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। এসময় রনির বন্ধুরা চিৎকার করলে রনির ভাই রফিক ছুটে আসেন। তিনি বাধা দিতে চাইলে তাকেও ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান মোরশেদ। গুরুতর আহত অবস্থায় রনি ও রফিককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রনিকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পরপরই জামালপুর পালিয়ে যান রনি। পরে পুলিশ কৃষকের ছদ্মবেশে সেখানে গিয়ে মোরশেদকে গ্রেপ্তার করে।
কালের আলো/ডিএস/এমএম