‘তিনিই আমাদের সাহিত্যের পরিপূর্ণ রূপকার’
প্রকাশিতঃ 1:40 pm | October 05, 2017
সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক সম্পর্কে বিশিষ্টজনেরা বলেছেন, ‘সৃজনশীল মানুষ হিসেবে সৈয়দ শামসুল হকের যে অবয়ব, তা এত বিশাল ও বৈচিত্র্যময় যে ‘সব্যসাচী লেখক’ কথাটিতে তা পুরোপুরি প্রকাশিত হয় না। বলা যায়, তিনিই বাংলাদেশের সাহিত্যের পরিপূর্ণ রূপকার। অনুবাদক হিসেবেও ছিলেন সফল।
সৈয়দ শামসুল হকের প্রথম প্রয়াণবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় বিশিষ্টজনেরা এ কথা বলেন। বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে বুধবার সন্ধ্যায় এ আলোচনা সভার আয়োজন করে জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশনা সমিতি।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন। ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান সভাপত্বি করেন।
সৈয়দ হককে নিয়ে আলোচনা করেন তাঁর সহধর্মিনী বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক, কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, আয়োজক জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশনা সমিতির বর্তমান সভাপতি ও অন্যপ্রকাশের সত্ত্বাধিকারী মাজহারুল ইসলাম এবং সাবেক সভাপতি ও আগামী প্রকাশনীর সত্ত্বাধিকারী ওসমান গনি প্রমুখ।
সব্যসাচী এ লেখকের প্রথম প্রয়াণবার্ষিকীতে চারুলিপি প্রকাশন ‘সৈয়দ শামসুল হক স্মারকগ্রন্থ’ প্রকাশ করেছে। এতে শিক্ষাবিদ, রাজনীতিক, সমাজসেবী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিসহ সমাজের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের লেখা রয়েছে। যাতে নানা মাত্রিকতায় উঠে এসেছে সৈয়দ শামসুল হক। ৯৩২ পৃষ্ঠার এ স্মারকগ্রন্থটির প্রচ্ছদ এঁকেছেন প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী মর্তুজা বশীর। বইটির মূল্য ২ হাজার টাকা। তবে আজ অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণে বইটি ৫০% কমিশনে এক হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, অনুবাদ সাহিত্যে সৈয়দ হকের সমতুল্য শুধু তিনিই ছিলেন। শেক্সপিয়ারের নাটকের অনুবাদের ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন বাংলা ভাষায় সেরা অনুবাদক।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের মঞ্চ নাটকে তাঁর লেখা কাব্যনাটক ‘নূরুলদীনের সারাজীবন’ ও ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’ স্মরণীয় কীর্তি হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করেছে।
গণমাধ্যমের সাথে সম্পৃক্ত এ কবি ও লেখক চিত্রসাংবাদিকতার পাশাপাশি চলচ্চিত্রের জন্য কাহিনী, সংলাপ, চিত্রনাট্য ও গান লিখেছেন উল্লেখ করে বক্তারা আরো বলেন, এ জন্য তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন। নানা মাত্রিকতার এ সৃজনশীল ব্যক্তিকে চিত্রশিল্পী, ভাস্কর ও অভিনয়শিল্পীর ভূমিকায়ও দেখা গেছে।