খুলনা এখন শান্তির জনপদ : আইজিপি

প্রকাশিতঃ 6:12 pm | June 26, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, এক সময় খুলনা অঞ্চল সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছিল। সুন্দরবন কখনো শান্ত সুন্দরবন ছিল না। সুন্দরবন ছিল দস্যুদের অভয়ারণ্য। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য দিকনির্দেশনায় বাংলাদেশ পুলিশ এ সন্ত্রাসীদের নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত সুন্দরবন ঘোষণা করেছেন। খুলনা এখন শান্তির জনপদ।

বুধবার (২৬ জুন) সকালে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইনসে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।

পুলিশপ্রধান বলেন, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত জিরো টলারেন্স নীতির আলোকে আমরা সবাই মিলে একযোগে দায়িত্ব পালন করে দেশে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছি।

তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান সরকার পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য আন্তরিক। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪১ সালের উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশের উপযোগী স্মার্ট পুলিশ হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশকে গড়ে তোলা হচ্ছে। তিনি বলেন, আগামী দিনের যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশ পুলিশ সক্ষম।

পুলিশ কর্মকর্তাদের সম্পদের তদন্ত চলছে
পুলিশ কর্মকর্তাদের সম্পদের বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্তে আসল তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।

এ সময় তিনি আরও বলেন, পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে সাংবাদিকদের বৈঠক হয়েছে, আশা করি বিষয়টি আলোচনার মধ্যদিয়েই নিরসন হবে।

পরিমণি কাণ্ডে সাংবাদিকদের প্রশ্নে আইজিপি বলেন, যে কোনো অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশ জিরোটলারেন্স নীতি অনুসরণ করে। যে অভিযোগ পাওয়া গেছে, অভিযোগটি প্রমাণ হওয়ায় কারণেই সাকলাইনকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ জনগণের কল্যাণে কাজ করে। পুলিশের ইউনিট প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছিটিয়ে থাকে। পুলিশের থানা প্রতিষ্ঠার পর থেকে কখনও তালা লাগানো থাকে না। সব সময় থানার দরজা খোলা থাকে, মানুষ সেখানে আসে। মানুষের সমস্যা শোনার জন্য আমরা প্রস্তত থাকি। সব ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে আমরা প্রস্তুত আছি। বিল্ডিং এবং জনবল বাড়বে এটা আমাদের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির জন্য নয়, জনসেবার মধ্যদিয়েই ঋণ পরিশোধ করতে চাই।

এ সময় খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মঈনুল হক, কেএমপি কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক এবং কেএমপি ও খুলনা রেঞ্জের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে তিনি চারতলা অস্ত্রাগার ভবন, ছয়তলা মাল্টিপারপাস ভবন ও বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এছাড়া বড় বয়রা পুলিশ ফাঁড়ি ও মাল্টিপারপাস শেড উদ্বোধন করেন।

আইজিপি বিকালে বাগেরহাটের রামপালে নৌ পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের একাডেমিক ভবন ও ফায়ারিং বাট অবজারভেশন ভবন উদ্বোধন করেন। তিনি নৌ পুলিশ সদস্যদের বিশেষায়িত প্রশিক্ষণের জন্য নির্মিত ট্রেনিং সেন্টারের বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন।

কালের আলো/ডিএস/এমএম