শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট ডিবি’র ওসি আশিকের মাথায়

প্রকাশিতঃ 9:55 pm | February 11, 2018

অপরাধ প্রতিবেদক, কালের আলো :

মাদক বিরোধী অভিযানে রীতিমতো সাফল্য দেখিয়েছেন ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুর রহমান। একের পর এক সাঁড়াশি অভিযানে তছনছ করে দিয়েছেন ‘মাদক জোন’ হিসেবে পরিচিত এলাকাসমূহ। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই গ্রেফতার করেছেন ৫২ মাদক ব্যবসায়ীকে।

উদ্ধার করেছেন ৪ হাজার ২৬১ পিস ইয়াবা, ৮৭৩ গ্রাম হেরোইন, ১০ বোতল ফেন্সিডিল, ২০ বোতল ভারতীয় মদ ও ৫ কেজি ২’শ গ্রাম গাঁজা। শুধু মাদক উদ্ধার বা মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারেই নয়, স্থানীয় সন্ত্রাসীদের দুর্গেও আঘাত হেনেছেন উদ্যমী এ পুলিশ কর্মকর্তা। একটি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন ও ২ রাউন্ড গুলিসহ আটক করেছেন শীর্ষ এক সন্ত্রাসীর সেকেন্ড ইন কমান্ডকে।

পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নাঈম নামে ছিনতাইকারীদের ‘গ্যাং লিডার’ নিহত হবার পর শুন্যের কোঠায় নেমে এসেছে ছিনতাইয়ের ঘটনাও। এছাড়াও গোয়েন্দা পুলিশের বিভিন্ন অভিযানে উদ্ধার হয়েছে দেশীয় বিভিন্ন অস্ত্র। জঙ্গিবাদ দমনেও কঠোর অবস্থানে রয়েছেন তিনি। উদ্ধার হয়েছে বিপুল সংখ্যক বিভিন্ন জিহাদী বই। একই সময়ে গ্রেফতার হয়েছে দুধর্ষ ৩ ডাকাত ও দুই অটো রিকশা চোর।

চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে অপরাধ দমন ও নিয়ন্ত্রণে সাফল্যের দৃষ্টান্ত রেখে রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) শ্রেষ্ঠ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) পুরস্কার জিতেছেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুর রহমান। এদিন তাঁর হাতে পুরস্কার তুলে দেন ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দ নুরুল ইসলাম।

এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) এস.এ.নেওয়াজী, গফরগাঁও সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হানুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) জয়িতা শিল্পীসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগেও ডিবি’র ওসি আশিকুর রহমান ময়মনসিংহ রেঞ্জে একবার ও জেলা পুলিশে একবার শ্রেষ্ঠ ওসি’র স্বীকৃতি পেয়েছেন।

শ্রেষ্ঠ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) পুরস্কার জেতা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুর রহমান দৈনিক কালের আলোকে বলেন, ‘শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট যেমন আত্নতৃপ্তির তেমনি কমস্পৃহা বাড়ানোর তাগিদপত্রও বটে। জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার (এসপি) ও ডিজিটাল পুলিশিং’র রূপকার সৈয়দ নুরুল ইসলাম বিপিএম(বার), পিপিএম আমার কাজের মূল অনুপ্রেরণা। তাঁর নির্দেশেই সাফল্যের এ ধারবাহিকতা ধরে রেখেই কাজ করে যেতে চাই।’

 

কালের আলো/এসএস