হাসপাতালে অব্যবস্থাপনা হলে ছাত্র-জনতা ছাড়বে না: স্বাস্থ্য বিভাগের অতিরিক্ত মহাপরিচালক

প্রকাশিতঃ 9:19 pm | August 17, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর বলেছেন, হাসপাতালে অব্যবস্থাপনা হলে ছাত্র-জনতা ছাড়বে না। অনিয়মের কারণে কেউ নিগৃহীত হলে সেই দায়িত্ব তাকেই নিতে হবে। স্বাস্থ্যের পরিবর্তন আসন্ন, এই পরিবর্তন অল্প সময়ের বিষয়।

শনিবার (১৭ আগস্ট) বিকালে রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর বলেন, ‘হাসপাতালে যেন অব্যবস্থাপনা না থাকে এ জন্য আমরা প্রতিটি হাসপাতালে যাবো। আজ ঢাকার প্রায় সবগুলো সরকারি হাসপাতালে গিয়েছি, কাল আমরা যাবো বেসরকারি হাসপাতালে। এরপর আমরা ঢাকার বাইরে যত হাসপাতাল আছে সেখানে যাবো।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের কোনও হেলথ ম্যানেজার, পরিচালক, চিকিৎসক, নার্স বা কর্মচারী যদি দায়িত্ব পালন না করেন, সরকারি হাসপাতালের পরীক্ষা-নিরীক্ষা যদি বাইরে থেকে করতে হয় অথবা বাইরে থেকে ওষুধ কিনতে হয়, তাহলে ছাত্র-জনতা আপনাদের ছাড়বে না। অনিয়মের কারণে নিগৃহীত হলে সেই দায়িত্ব আপনাদের নিতে হবে।’

স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, ‘যখন কোনোকিছু চাপিয়ে না দিয়ে আপনার মতামতকে প্রাধান্য দেওয়া হবে, তখনই পরিবর্তন সম্ভব। গত চার বছর আমরা বলেছি, আমাদের ন্যাশনাল হেলথ ইন্স্যুরেন্স, ন্যাশলান হেলথ অথরিটি ও ইন্ডিপেন্ডেন্ট কমিশন করতে হবে। স্ট্র্যাটেজিক কেনাকাটা করতে হবে, যন্ত্রপাতি না কিনে সার্ভিস কিনতে হবে, সেগুলো হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য খাতে কাজ করার উপযুক্ত সুযোগ এসেছে। যারা যে জায়গায় আছেন, সঠিকভাবে কাজ করুন।’

ডা. আহমেদুল কবীর বলেন, ‘সব বেসরকারি হাসপাতালে ইমেইল ও চিঠি দেওয়া হয়েছে। রবিবারের মধ্যে তারা হিসাব দিয়ে দিলে হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা আমি আপনাদের জানাতে পারবো। তার আগে বলা ঠিক হবে না।’

বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসার বিল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বেসরকারি হাসপাতাল সারা বছরই ব্যবসা করে। এ সময় তারা উদারতা দেখাবেন আমরা এটাই প্রত্যাশা করি। আমরা কাউকে জোর করবো না, ইতোমধ্যে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে তারাই কিন্তু অনেকের বিল রাখছেন না। শুধু চিকিৎসা ব্যয় নয়, চিকিৎসা পরবর্তী পুনর্বাসনের বিষয়টিও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দেখছে।’

এর আগে সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের স্বাস্থ্য খাতকে ঢেলে সাজানো দরকার। সব ধরনের অনিয়ম ও অনৈতিকতা বন্ধ করতে পারলে ৯০ দিনের মধ্যে জনমুখী স্বাস্থ্য খাত উপহার দেওয়া যাবে বলে আমাদের জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এটির কাউন্ট-ডাউন আজ থেকেই শুরু হচ্ছে।’ তার কথার সঙ্গে ঐক্যমত জানান অতিরিক্ত মহাপরিচালক।

কালের আলো/এমএএইচ/ইউএইচ