পুলিশে ‘শুদ্ধি অভিযান’ অব্যাহত

প্রকাশিতঃ 10:55 pm | August 21, 2024

কালের আলো রিপোর্ট:

ছাত্র-জনতার রক্তস্নাত গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পুলিশের বিভিন্ন স্তরে ‘শুদ্ধি অভিযান’ অব্যাহত রয়েছে। শুরুতে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে রদবদলের পর এবার মাঠ পর্যায়েও শুরু হয়েছে ‘শুদ্ধি অভিযান’। রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ পাওয়া দলবাজ জেলা পুলিশ সুপারদের (এসপি) সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বুধবার (২১ আগস্ট) ১০ জেলার এসপিসহ ১১ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। একই সঙ্গে দেশের সব রেঞ্জের ডিআইজি ও পুলিশ কমিশনারকে বদলী করা হয়েছে। এর আগে গত বুধবার (২০ আগস্ট) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে পৃথক তিনটি প্রজ্ঞাপনে বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের ৩ কর্মকর্তাকে অবসরে পাঠানো হয়। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।

জানা যায়, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পরের দিন গত ৬ আগস্ট রাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বাংলাদেশ পুলিশের তৎকালীন মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করা হয়। তার জায়গায় নতুন আইজিপি হিসেবে নিয়োগ করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক মো. ময়নুল ইসলামকে। পরদিন ৭ আগস্ট বদলি করা হয় পুলিশের শীর্ষ তিন কর্মকর্তাকে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখার উপসচিব মো. মাহাবুর রহমান শেখ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) ডিজি, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনারসহ চার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়। সদর দপ্তরে সংযুক্ত অতিরিক্ত আইজিপি এ কে এম শহিদুর রহমানকে র‌্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) করা হয়। অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. মাইনুল হাসান ডিএমপি কমিশনার (চলতি দায়িত্ব) হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন। র‌্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্যারিস্টার মো.হারুন-অর-রশিদকে অতিরিক্ত আইজিপি হিসেবে পুলিশ সদর দপ্তরে এবং ডিএমপি কমিশনার ও অতিরিক্ত আইজিপি হাবিবুর রহমানকে পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়। গত ১৩ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা একাধিক প্রজ্ঞাপনে দুই শীর্ষ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোসহ উচ্চ পর্যায়ের একাধিক কর্মকর্তার বদলি এবং ডিএমপি এলাকায় দায়িত্বরত বেশিরভাগ উপ-কমিশনারকেও সরিয়ে দেওয়া হয়। তাদের মধ্যে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান এবং রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি আব্দুল বাতেনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া পুলিশের স্পেশাল ব্র্যাঞ্চের (এসবি) প্রধান মনিরুল ইসলামকে পুলিশ সদর দপ্তরে অতিরিক্ত আইজি হিসেবে সংযুক্ত করা হয়। এসবি প্রধানের চলতি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রেলওয়ে পুলিশের ডিআইজি শাহ আলমকে। পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত আইজিপি তৌফিক মাহবুব চৌধুরীকে পিবিআই-এর প্রধান হিসেবে বদলি করা হয়। এছাড়া সিআইডির প্রধান মোহাম্মদ আলীকে পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত করে পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি আনোয়ার হোসেনকে খাগড়াছড়িতে বদলি করা হয়েছে। পরে গত ২০ আগস্ট তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়।

এছাড়া ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার জয়নুল আবেদিন, শাহেদ মাসুদ, মশিউর রহমান, হুমায়ুন কবীর, রবিউল ইসলাম, মানস কুমার পোদ্দার, কাজী মনিরুজ্জামান, রাজীব আল মাসুদ, আশরাফুল ইসলাম, হায়াতুল ইসলাম খান, মো. ইকবাল হোসেন, মাহবুজ জামান, এইচ এম আজিমুল হক, কাজী আশরাফুল আজিমকে সরিয়ে বিভিন্ন জেলা ও রেঞ্জ কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। এদিকে গত ১৫ আগস্ট পুলিশ সদর দপ্তর ও ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সদর দফতর থেকে পৃথক ৬টি প্রজ্ঞাপন ও কার্যালয় আদেশের মাধ্যমে আরও ৩২ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়।

কর্মকর্তাদের মধ্যে পুলিশ সদর দপ্তরের এলআইসি শাখার অ্যাডিশনাল ডিআইজি মুনতাসিরুল ইসলামকে অ্যাডিশনাল ডিআইজি (ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট), পার্সোনাল ম্যানেজমেন্ট-১-এর অ্যাডিশনাল ডিআইজি মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলামকে এলআইসি শাখায় এবং অ্যাডিশনাল ডিআইজি শাহজাদা মো. আসাদুজ্জামানকে অ্যাডিশনাল ডিআইজি (পার্সোনাল ম্যানেজমেন্ট-১)-এর দায়িত্ব দেওয়া হয়।

এদিকে ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল ইসলামের সই করা পৃথক তিন আদেশে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার ও উপকমিশনারের বেশ কিছু পদে রদবদল হয়। এরমধ্যে ডিএমপি উপকমিশনার ইসরাইল হাওলাদারকে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (ভারপ্রাপ্ত, ক্রাইম), ডিএমপির উপকমিশনার মো. মাসুদ করিমকে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (ট্রান্সপোর্ট), ডিএমপির উপকমিশনার খোন্দকার নজমুল হাসানকে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (পিওএম), ডিএমপির উপ কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দারকে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (ভারপ্রাপ্ত, অপারেশন), ডিএমপির অতিরিক্ত উপ কমিশনার মোহাম্মদ জসীম উদ্দিনকে ডিএমপির লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার, ডিএমপির উপকমিশনার রনওক জাহানকে ডিএমপির রমনা বিভাগের (ট্রাফিক) উপকমিশনার এবং তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার মো. রিয়াজুল হককে গুলশান বিভাগের উপকমিশনার পদে পদায়ন করা হয়।

অপর এক আদেশে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (অপারেশন) খোন্দকার নুরুন্নবীকে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার সদর দপ্তরে সংযুক্ত, ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) লিটন কুমার সাহা, ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (ট্রান্সপোর্ট) এবিএম মাসুদ হোসেন, ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার আসমা সিদ্দিকা মিলিকে (পিওএম) ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার সদর দফতরে সংযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া ডিএমপির রমনা বিভাগ উপকমিশনার (ট্রাফিক) মো. আলমগীর হোসেনকে ডিএমপির সদর দপ্তরে উপকমিশনার হিসেবে সংযুক্ত করা হয়।

আইজিপির অপর এক আদেশে ১৪ পুলিশ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়। এর মধ্যে ডিএমপিতে বদলি করা হয়েছে র‌্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মো. শামীম হোসেনকে, পিবিআই-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সারওয়ার জাহান, সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ রাজীবুল হাসান, শিল্পাঞ্চল পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মইনুল হক, সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান হোসেন, এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মল্লিক আহসান উদ্দিন সামী, এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু লাইচ মো. ইলিয়াচ জিকু, এবিপিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম শাহরিয়ার আব্দুল্লাহ-বিন-ফরিদ ও নৌ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সুমন রেজাকে।

অন্য পাঁচ কর্মকর্তাদের বিভিন্ন ইউনিটে বদলি করা হয়েছে। তারা হলেন– রাজশাহী সারদার মোহাম্মদ আবদুল মাবুদকে পুলিশ টেলিকম সংস্থা, র‌্যাবের শাহেদা সুলতানাকে রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত, টাঙ্গাইল পিটিসির ফারিয়া আফরোজকে পুলিশ সদর দফতরে, দিনাজপুর বীরগঞ্জের মো. রাশেদ হাসানকে এসবি এবং ডিএমপির সহকারী পুলিশ কমিশনার গোলাম রুহানীকে খাগড়াছড়ি এপিবিএন ও বিশেষায়িত ট্রেনিং সেন্টারে বদলি করা হয়েছে।

এর আগে ডিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) পদমর্যাদার তিন নারী কর্মকর্তাকে পদায়ন করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, ডিএমপি সদর দফতর ও প্রশাসন বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রশাসন) কাজী মাকসুদা লিমাকে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের (ট্রাফিক) অতিরিক্ত উপকমিশনার, ডিএমপির ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড ফোর্স বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার ফারজানা ইয়াছমিনকে ডিএমপির সদর দফতর ও প্রশাসন বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রশাসন) এবং ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের (ট্রাফিক) অতিরিক্ত উপকমিশনার কাজী রোমানা নাসরিনকে ডিএমপির ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড ফোর্স বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার পদে পদায়ন করা হয়। গত শনিবার (১৭ আগস্ট) পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) পদমর্যাদার ১২ জন ও সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) পদমর্যাদা এক কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়।

আরও জানা যায়, বুধবার (২০ আগস্ট) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে পৃথক তিনটি প্রজ্ঞাপনে পুলিশের ৩ কর্মকর্তাকে অবসরে পাঠানোর কথা জানানো হয়। এদের মধ্যে মো. আসাদুজ্জামান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিআইজি) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

এছাড়াও মো. আনোয়ার হোসেন উপপুলিশ মহাপরিদর্শক, পুলিশ অধিদফতর, ঢাকা (অতিরিক্ত আইজি সুপারনিউমারারি) এবং মো. আতিকুল ইসলাম অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক, পুলিশ অধিদপ্তরে কর্মরত ছিলেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরি ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নং আইন) এর ৪৫ ধারার বিধান অনুযায়ী জনস্বার্থে তাদেরকে সরকারি চাকরি থেকে অবসর প্রদান করা হলো। তিনি বিধি অনুযায়ী অবসরজনিত সুবিধাদি প্রাপ্য হবেন। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

দেশের সব রেঞ্জ ডিআইজি ও পুলিশ কমিশনারকে বদলি
বাংলাদেশ পুলিশের সব বিভাগের রেঞ্জ ডিআইজি ও মহানগরের পুলিশ কমিশনারকে বদলি করা হয়েছে। বুধবার (২১ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপ-সচিব মো. মাহাবুর রহমান শেখ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাদের বদলি করা হয়। ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সৈয়দ নূরুল ইসলামকে রাজশাহীর সারদায় পুলিশ একাডেমিতে, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনাকে রাজশাহীর সারদায় পুলিশ একাডেমিতে, সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি শাহ মিজান শফিউর রহমানকে রেলওয়ে পুলিশে, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনিসুর রহমানকে নৌ পুলিশে, খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মঈনুল হককে রাজশাহীর সারদায় পুলিশ একাডেমিতে, বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটে সংযুক্ত এবং ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি মো. শাহ আবিদ হোসেনকে ট্যুরিস্ট পুলিশে সংযুক্ত করা হয়েছে।

এ ছাড়া চট্টগ্রাম মহানগরের পুলিশ কমিশনার (ডিআইজি) মো. সাইফুল ইসলামকে রাজশাহীর সারদায় পুলিশ একাডেমিতে, রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার (ডিআইজি) বিপ্লব বিজয় তালুকদারকে টিঅ্যান্ডআইএমে সংযুক্ত, সিলেট মহানগরের পুলিশ কমিশনার (ডিআইজি) মো. জাকির হোসেন খানকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনিভেস্টিগেশনে (পিবিআই) সংযুক্ত, গাজীপুর মহানগরের পুলিশ কমিশনার (ডিআইজি) মো. মাহবুব আলমকে রেলওয়ে পুলিশে সংযুক্ত এবং বরিশাল মহানগরের পুলিশ কমিশনার (ডিআইজি) জিহাদুল কবিরকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনিভেস্টিগেশনে (পিবিআই) সংযুক্ত করা হয়েছে।

১০ জেলার পুলিশ সুপারসহ ১১ কর্মকর্তাকে প্র‌ত্যাহার
বাংলাদেশ পুলিশের ১০ জেলার পুলিশ সুপারসহ ১১ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। বুধবার (২১ আগস্ট) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানা গেছে।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব মো. মাহাবুর রহমান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের নিম্নবর্ণিত কর্মকর্তাগণকে বর্ণিত পদ ও কর্মস্থলে বদলি/পদায়ন করা হলো।

তালিকায় দেখা গেছে, চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ ও কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখকে রংপুর রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে, মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খানকে রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে, বাগেরহাটের পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খানকে সিলেট রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে, মাগুরার পুলিশ সুপার মো. মশিউদ্দৌলাকে চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে, নাটোরের পুলিশ সুপার মো. তরিকুল ইসলামকে খুলনা রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে, সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. আরিফুর রহমান মন্ডলকে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে, গাইবান্ধার পুলিশ সুপার মো. কামাল হোসেনকে রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে, হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার আক্তার হোসেনকে রংপুর রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে এবং পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. আবদুস ছালামকে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রজ্ঞাপনে সিলেট মহানগর পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার মো. আজবাহার আলী শেখকে রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার সময় আওয়ামী লীগ পুলিশ প্রশাসনে ব্যাপক দলীয়করণ করে। প্রশাসনের সব স্তরে দলীয় বিবেচনায় নিয়োগ ও পদায়ন করা হয়। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর প্রশাসনের পুলিশ বিভিন্ন স্তর থেকে তাদের সরানো হচ্ছে। এবার মাঠ প্রশাসনেও এ শুদ্ধি অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। দলবাজ কর্মকর্তাদের সরিয়ে দিয়ে সৎ ও দক্ষ কর্মকর্তাদের এসব পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। এতে করে সংস্কার ইস্যুতে অন্তর্বর্তী সরকারের যে লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে, তাও বাস্তবায়ন সহজ হবে।

কালের আলো/আরআই/এমকে