এমআই-১৭১এসএইচ হেলিকপ্টারে দুর্গত এলাকায় বিমান বাহিনীর পর্যবেক্ষণ
প্রকাশিতঃ 11:29 pm | August 22, 2024
বিশেষ সংবাদদাতা, কালের আলো:
ঠিক যেন পাখির চোখে বন্যা দুর্গত ফেনী জেলা। যতদূর চোখ যায় কেবলই পানি আর পানি। বানভাসীদের আহাজারি দৃষ্টি এড়ায়নি মোটেও। কাটছে বিভীষিকাময় সময়। দেশের বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে ত্রাণ সহায়তা পৌছে দিতে বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) জেলাটির সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী। বাহিনীটির একটি এমআই-১৭১এসএইচ হেলিকপ্টারের মাধ্যমে পরিচালনা করা হয় এই পর্যবেক্ষণ মিশন। বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন এর নির্দেশে নিরবচ্ছিন্নভাবে ত্রাণ সহায়তা ও উদ্ধার তৎপরতা চালাতে পুরোদমে প্রস্তুত বাহিনীটির সদস্যরা।
জানা যায়, দেশের ১০ জেলায় ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দিতে পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম চালিয়েছে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী। শুক্রবার (২৩ আগস্ট) থেকে নিরবচ্ছিন্নভাবে ত্রাণ সহায়তা ও উদ্ধার তৎপরতা চালাবে বাহিনীর সদস্যরা। এদিন ওপর থেকে পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, ফেনীর প্রায় পুরোটাই পানিতে তলিয়ে গেছে। পাখির চোখে দেখা যায়, ফেনী এলাকার সব কাঁচাপাকা বাড়িঘরই পানিতে ডুবে গেছে। নিজেদের থাকার শেষ জায়গাটুকু তাঁরা হারিয়েছেন। অবশিষ্ট নেই গবাদি পশুর আশ্রয় এর স্থানও। ফুলগাজী এলাকার চিত্রও একই রকম। কয়েকটি উঁচু দালানে গাদাগাদি করে অবস্থান করছেন স্থানীয়রা। সেখার থেকেই জানান দিচ্ছেন তাদের অবস্থান। পরশুরামেও ভোগান্তি আর দুর্ভোগের চিত্র ভয়াবহ। পানির নিচেই বসতবাড়ি। পানিতে তলায়নি এমন কোন জমির দেখাই মিলেনি।
দুর্গত এলাকাগুলোতে দ্রুত ত্রাণ সহায়তা পৌছে দিতেই এই পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর উইং কমান্ডার আশরাফুল ইসলাম। গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘ফেনীর এসব এলাকায় কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কী পরিমাণ ত্রাণ বিতরণ করতে হবে এই পর্যবেক্ষণ এর মাধ্যমে আমরা পরবর্তী মিশনগুলো পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করবো। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে আমরা চিন্তা ভাবনা করে মিশনগুলো লঞ্চ করব। ইনশাআল্লাহ আমরা শুক্রবার (২৩ আগস্ট) থেকে বন্যাদুর্গতদের মধ্যে ত্রাণ পৌঁছানোর ব্যবস্থা করব।’
কালের আলো/এমএএএমকে