শেখ হাসিনা জাতীয় যুব ‍উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের নাম পরিবর্তন

প্রকাশিতঃ 8:59 pm | August 27, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

‘শেখ হাসিনা জাতীয় যুব ‍উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের’ নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। শেখ হাসিনার নাম বাদ দিয়ে এর নাম করা হয়েছে জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউট। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সংবিধানের ৯৩(১) অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে এ সংক্রান্ত শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউট (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৪ জারি করেছেন।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব ড. হাফিজ আহমেদ চৌধুরী (রুটিন দায়িত্ব) স্বাক্ষরিত অধ্যাদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি ২৫ আগস্ট অধ্যাদেশ জারি করার পর ২৭ আগস্ট তা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়।

আইনে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের ১৪ নম্বর আইনের ধারা ১-এর সংশোধন করা হয়েছে। উল্লিখিত ‘শেখ হাসিনা’ শব্দটি বিলুপ্ত হবে। আইনে অন্যান্য যেসব জায়গায় ‘শেখ হাসিনা’ শব্দটি রয়েছে সেটাও বিলুপ্ত করার কথা বলা হয়েছে।

এছাড়া এই অধ্যাদেশ প্রবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এ আইনের অধীনে ইতোপূর্বে প্রণীত কোনও বিধি বা প্রবিধান, ইস্যুকৃত কোনও আদেশ বা বিজ্ঞপ্তি বা সম্পাদিত যেকোনও দলিলে শেখ হাসিনা শব্দ থাকলে তা বিলুপ্ত হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। গত ২২ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ও বাসভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এই আইনটির সংশোধনী অনুমোদন হয়।

উল্লেখ্য, কোনও আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে মন্ত্রিসভায় অনুমোদন হওয়ার পর সংসদে তা পাস করতে হয়। তবে সংসদ না থাকলে রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ জারি করে আইন করতে পারেন। তবে সংসদ বসার সঙ্গে সঙ্গে তা সংসদে উত্থাপন করতে হয়।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রথম কোনও প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করে অধ্যাদেশ জারি হলো।

বিগত সরকার ২০১৮ সালে আইন পাসের মাধ্যমে শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করে। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন এ প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয় সাভারে অবস্থিত।

২২ আগস্ট রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের পর সাংবাদিকদের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, সরকারি স্থাপনার নামকরণের ক্ষেত্রে একটি আইনি কাঠামো হবে। জনগণের অর্থ ব্যয় করে কোনও প্রকল্প হলে তার নামকরণে কী নীতি অনুসরণ করে করা হবে সেটার বিষয়ে সরকার কাজ করবে। একটা পর্যায়ে এটাকে একটি আইনি কাঠামোর মধ্যে আনতে হবে, যাতে জনগণের টাকায় যেটা হবে তাতে যেন জনমতের প্রতিফলন ঘটে। এটা যেন এমন কোনও নামকরণ না হয়, যা ফ্যাসিবাদকে উসকে দিতে পারে।

এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নামকরণের নীতিমালা হতে পারে। আইনও হতে পারে। আমাদের চিন্তাটা হচ্ছে পটপরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নামকরণ নিয়ে একটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। সেটা যাতে না হয়। জনগণের অর্থের স্থাপনায় যাতে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটে এমন নামকরণ যেন হয়। এটা ভূতপূর্বভাবে কার্যকর হবে কিনা সেটি আইনি কাঠামো করার সময় চিন্তা করা হবে।

কালের আলো/এমএএইচ/ইউএইচ