ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে করণীয় সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করতে হবে : ডিএনসিসি প্রশাসক

প্রকাশিতঃ 8:59 pm | September 21, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

মশক ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের উদ্দেশে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মো. মাহমুদুল হাসান বলেছেন, ‘স্বাস্থ্য বিভাগ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ ও প্রকৌশল বিভাগে সম্মিলিতভাবে কাজ করলে ডেঙ্গুর প্রকোপ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে। বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত তদারকি টিম প্রতিটি অঞ্চলে পরিচালিত কার্যক্রম সঠিকভাবে তদারকি করছে। শিক্ষার্থীসহ অন্য নাগরিকদের সম্পৃক্ত করতে হবে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে করণীয় সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করতে হবে।’

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে মিরপুর, সেকশন-৬-এর অন্তর্গত বি ব্লক এলাকায় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে চলমান ডিএনসিসির সপ্তাহব্যাপী বিশেষ মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সরেজমিনে পরিদর্শন করার সময় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।

নগরবাসীর উদ্দেশে প্রশাসক বলেন, ‘আমাদের কর্মীরা বাসাবাড়ির আশপাশ পরিষ্কার করে এবং ওষুধ ছেটায়। কিন্তু বাসাবাড়ির ভেতরে আমাদের কর্মীদের পক্ষে কাজ করা সম্ভব হয় না। তাই নিজেদের বাসাবাড়ি নিজেদেরই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ফ্রিজ, এসি, ফুলের টব, অব্যবহৃত টায়ার, ডাবের খোসা, চিপসের খোলা প্যাকেট, বিভিন্ন ধরনের খোলা পাত্র, ছাদ কিংবা অন্য কোথাও যেন পানি জমে না থাকে, সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।’

সপ্তাহব্যাপী বিশেষ মশক নিধন কর্মসূচির তৃতীয় দিনে ডিএনসিসির দশটি অঞ্চলেই একযোগে জনসচেতনতা ও মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। শিক্ষার্থীরাও ডিএনসিসির এই সপ্তাহব্যাপী জনসচেতনতা কার্যক্রমে অংশ নিয়েছে।

উল্লেখ্য, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) থেকে একযোগে ডিএনসিসির সব ওয়ার্ডে সপ্তাহব্যাপী বিশেষ মশক নিধন কর্মসূচি শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এই বিশেষ কর্মসূচি ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পরিচালনা করা হবে।

এ কার্যক্রম একযোগে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৫৪টি ওয়ার্ডে পরিচালনা করা হচ্ছে। বিশেষ মশক নিধন কার্যক্রমে স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ এবং প্রকৌশল বিভাগ সমন্বিতভাবে কাজ করছে।

বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত রোগীর ঠিকানা সংগ্রহ করে এসব ঠিকানার চারপাশে ফগিং এবং লার্ভিসাইডিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এ ছাড়া বছরব্যাপী স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে প্রাপ্ত ডেঙ্গু রোগীর ঠিকানায় সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা টেলিফোনে সরাসরি যোগাযোগ করে সচেতনতামূলক পরামর্শ প্রদান এবং কীটনাশক প্রয়োগ প্রদান নিশ্চিত করছে। কীটনাশক প্রয়োগের পাশাপাশি বছরব্যাপী এডিস মশার নিয়ন্ত্রণে করণীয় সম্পর্কিত বার্তা-সংবলিত লিফলেট ও স্টিকার বিতরণ, মাইকিং, র‍্যালি এবং অ্যাডভোকেসি সভার আয়োজন করা হয়েছে।

সপ্তাহব্যাপী পরিচালিত বিশেষ মশক নিধন কর্মসূচিতে প্রতিটি ওয়ার্ডকে বিভিন্ন সাব ব্লকে ভাগ করে প্রতিটি ব্লকের সব বাড়ি পরিদর্শনের মাধ্যমে এডিস মশার প্রজননস্থল চিহ্নিত করে কীটনাশক প্রয়োগ এবং ধ্বংস করা হচ্ছে। মাঠপর্যায়ে পরিচালিত সপ্তাহব্যাপী বিশেষ মশক নিধন কার্যক্রম পরিদর্শনের জন্য ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে প্রতিটি অঞ্চলের জন্য একটি করে কেন্দ্রীয় মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে।

প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বিশেষ মশক নিধন কার্যক্রম তদারকির জন্য গঠিত কেন্দ্রীয় মনিটরিং টিমগুলোর প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

কালের আলো/ডিএইচ/কে