নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

কর্তব্যরত অবস্থায় জীবন উৎসর্গকারী পুলিশ সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ও পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড.মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, বিপিএম (বার)।

শুক্রবার (১ মার্চ) সকালে মিরপুর পুলিশ স্টাফ কলেজ চত্বরে নির্মিত ‘পুলিশ মেমোরিয়াল ডে ২০১৯’ উদ্বোধনের পর মিরপুর পুলিশ স্টাফ কলেজ চত্বরে নির্মিত অস্থায়ী পুলিশ স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তারা।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘শৃঙ্খলা-নিরাপত্তা প্রগতি’ মন্ত্রে দীক্ষিত পুলিশের সদস্যরা জনগণের জান-মালের নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রতিবছর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পুলিশ সদস্য নিহত ও আহত হন।’

আরো পড়ুন:
আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারী’র ‘টিমওয়ার্ক’

তিনি আরো বলেন, ‘দেশর জন্মলগ্ন হতে স্বাধীনতার চেতনা যে বাহিনীর হৃদয়ে প্রোথিত, সে পুলিশ বাহিনী গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় সহযাত্রী হবে; ভূমিকা রাখবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা নির্মাণে।’

এসময় শ্রদ্ধা নিবেদন করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন এবং নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিবারের সদস্যরা।

জননিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকালে কর্তব্যরত অবস্থায় জীবন উৎসর্গকারী পুলিশ সদস্যদের স্মরণে দেশের সব পুলিশ ইউনিটে পালিত হচ্ছে ‘পুলিশ মেমোরিয়াল ডে ২০১৯’।

অনুষ্ঠানে ২০১৮ সালে আইন -শৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ দমন এবং অপরাধীদের গ্রেফতারসহ দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিধান ও জনগণের জানমাল রক্ষাকালে কর্তব্যরত অবস্থায় ১৫৮ জন পুলিশ সদস্যের পরিবারবর্গকে স্বীকৃতি স্মারক ও উপহার তুলে দেওয়া হয়।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আইজিপি মঞ্চ থেকে দর্শক সারিতে এসে নিহত পুলিশ সদস্যদের প্রত্যেকের পরিবারবর্গের হাতে স্বীকৃতি স্মারক ও উপহার তুলে দেন। নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিবারবর্গ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আইজিপিকে তাদের কাছে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। এ সময় এক করুণ দৃশ্যের অবতারণা হয়। নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ক্রেস্ট, সনদপত্র, নগদ অর্থ এবং উপহার দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে কর্তব্যরত অবস্থায় জীবন উৎসর্গকারী পুলিশ সদস্যদের আত্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করে তাদের প্রতি সম্মান জানান।

কালের আলো/এনএ/এমএইচএ