ঝটিকা সফরে ঢাকা মাতিয়ে গেলেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশিতঃ 11:06 pm | October 04, 2024
কালের আলো রিপোর্ট :
এ যেন এলেন, দেখলেন এবং জয় করলেন। মাত্র কয়েক ঘণ্টার ঝটিকা সফরে বাংলাদেশে এসে রীতিমতো মাতিয়ে গেলেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। সংক্ষিপ্ত এই সফরে তিনি বাংলাদেশের সরকারপ্রধান ও রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন। এই সফরে সম্পর্ক উন্নয়নে বিশেষ বার্তা রেখে যান মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের পক্ষ থেকেও একই রকম প্রত্যাশা ব্যক্ত করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যকার সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া হবে।’ রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনও বিশ্বাস করেন, বাংলাদেশে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী এই সফর দুদেশের সম্পর্ক উন্নয়নে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। এই সফর দুটি দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।’
প্রায় ১০ বছরেরও বেশি সময় পর মালয়েশিয়ার কোনো সরকারপ্রধান শুক্রবার (৪ অক্টোবর) ঢাকা সফরে আসেন। এদিন দুপুরে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পরে বিমানবন্দরেই মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এক সংক্ষিপ্ত একান্ত বৈঠক করেছেন তিনি। একান্ত বৈঠকে বিদ্যমান সম্পর্ককে আরও উচ্চতায় নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন দুই দেশের সরকারপ্রধানই। এ সময় ড. ইউনূস বলেছেন, ঢাকায় তার পুরনো বন্ধুকে (আনোয়ার ইব্রাহিম) স্বাগত জানাতে পেরে তিনি ‘খুবই খুশি’।
- ১০ বছরেরও বেশি সময় পর মালয়েশিয়ার সরকারপ্রধানের ঢাকা সফর
- সংক্ষিপ্ত হলেও কূটনৈতিক দৃষ্টিকোণে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ সফর
- ১৮ হাজার বাংলাদেশি কর্মীদের বিষয়টি বিবেচনার প্রতিশ্রুতি
- অর্থনীতি সংস্কার ও জনশক্তি রপ্তানি সহায়তা চেয়েছেন রাষ্ট্রপতি
- আসিয়ান সদস্য হতে মালয়েশিয়ার সমর্থন চায় বাংলাদেশ
আনোয়ার ইব্রাহিমের এই সফরটি সংক্ষিপ্ত হলেও কূটনৈতিক দৃষ্টিকোণে এটি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা। এ সফরে মিলেছে সুসংবাদও। সম্প্রতি টিকিট জটিলতায় মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা ১৮ হাজার বাংলাদেশি কর্মীদের বিষয়টি বিবেচনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে, প্রথম দফা বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিপ্লব, ছাত্র ও জনগণের আত্মত্যাগ এবং বিগত সরকারের সংঘটিত গণহত্যা নিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন।
প্রধান উপদেষ্টা মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর নেতাদের সাথে তার দীর্ঘ সম্পর্ক নিয়েও কথা বলেন। দুই নেতা তাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে একই গাড়িতে চড়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের ভেন্যুতে গমন করেন। পরে বিকেলে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিপাক্ষিক বৈঠক। গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি, কর্মসংস্থান তৈরি, ভিসা সহজীকরণ এবং উচ্চশিক্ষা, রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
এই সফর দু’দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে মাইলফলক
মো. সাহাবুদ্দিন
রাষ্ট্রপতি
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ৮ আগস্ট শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে যাত্রা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এই সরকারের প্রায় দুই মাস সময়ে এটাই বিদেশি কোনো সরকারপ্রধানের প্রথম বাংলাদেশ সফর। ২০১৩ সালের পর মালয়েশিয়ার কোনো সরকারপ্রধানও প্রথম বাংলাদেশ সফর করলেন। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে ৫৮ সদস্যের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে আসেন। তাঁর সঙ্গে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী, বাণিজ্য ও বিনিয়োগমন্ত্রী, পরিবহন উপমন্ত্রী, ধর্ম উপমন্ত্রী, দুজন সংসদ সদস্য এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছিলেন।
এরপর বৈঠক শেষে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও আনোয়ার ইব্রাহিম যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যকার সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া হবে।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের কর্মীদের দুই দেশের অর্থনীতিতে অবদান গুরুত্বপূর্ণ। টিকিট জটিলতায় মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা ১৮ হাজার শ্রমিককে সব সহায়তা দেওয়া হবে। এই অঞ্চলকে শান্তিপূর্ণ দেখতে আসিয়ানকে আরও কার্যকর করতে চায় মালয়েশিয়া।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বের ওপর পূর্ণ আস্থা রয়েছে
আনোয়ার ইব্রাহিম
প্রধানমন্ত্রী, মালয়েশিয়া
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বের ওপর পূর্ণ আস্থা রয়েছে জানিয়ে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে এবং সর্বাত্মক সহযোগী থাকবে।’ তিনি বলেন, ‘দুই দেশের অর্থনীতিতে বাংলাদেশের কর্মীদের অবদান গুরুত্বপূর্ণ। মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে ব্যর্থ হওয়া ১৮ হাজার শ্রমিককে সব সহায়তা দেওয়া হবে।’
মালয়েশিয়ার কাছে ‘অর্থনীতি সংস্কার’ ও জনশক্তি রপ্তানি সহায়তা চেয়েছেন রাষ্ট্রপতি
অন্তর্বর্তী সরকারের ‘অর্থনীতি সস্কার’ ও বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি জনশক্তি রপ্তানিতে মালয়েশিয়ার সহযোগিতা চেয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।শুক্রবার (০৪ অক্টোবর) বঙ্গভবনে বাংলাদেশে সফররত মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে বৈঠকে এ সহযোগিতার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধান।
বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যকার সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায়
ড. মুহাম্মদ ইউনূস
প্রধান উপদেষ্টা, অন্তর্বর্তী সরকার
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের জানান, সাক্ষাৎকালে তারা দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়, বিশেষ করে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, অর্থনৈতিক, কারিগরি সহযোগিতা, রোহিঙ্গা ইস্যু ও শ্রমবাজারসহ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে মতবিনিময় করেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘মালয়েশিয়া বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানির দ্বিতীয় বৃহত্তম গন্তব্যস্থল। বাংলাদেশের জনশক্তি মালয়েশিয়ার ও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।’
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন এই শ্রমশক্তির মালয়েশিয়া গমনের ক্ষেত্রগুলো স্বচ্ছ ও সহজ করার ব্যাপারে গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন, ‘বিগত ৫৩ বছরে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, কৃষি, মানব সম্পদ যোগাযোগ, সংস্কৃতি, পর্যটন ও শিক্ষাসহ বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর। মালয়েশিয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে বলে মালয়েশিয়ার জনগণ বাংলাদেশিদের খুবই ভালোবাসে।’
এসময় আসিয়ানের ‘সেক্টরাল ডায়লগ পার্টনার’ হিসেবে বাংলাদেশের প্রার্থিতাকে সমর্থনের আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি। এছাড়া আসন্ন ২০২৫ সালে আসিয়ানের সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ায় মালয়েশিয়াকে অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘মালয়েশিয়ার দক্ষ নেতৃত্বে আসিয়ান আঞ্চলিক শান্তি, নিরাপত্তা, আঞ্চলিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।’
আসিয়ান সদস্য হতে মালয়েশিয়ার সমর্থন চায় বাংলাদেশ
অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনস (আসিয়ান)-এর সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হতে মালশিয়ার সমর্থন চায় বাংলাদেশে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দাতো সেরি আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে সমর্থন প্রত্যাশা করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
দুই নেতার বৈঠকের পর এদিন বিকেলে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে নিয়ে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমরা ২০২৫ সালে আসিয়ানের আসন্ন সভাপতি পদে মালয়েশিয়াকে অভিনন্দন জানাই। আমরা আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হিসেবে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। আঞ্চলিক ফোরামে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তির জন্য মালয়েশিয়ার সক্রিয় ভূমিকার অপেক্ষায় রয়েছি।’
দুই দেশের বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা স্মরণ করে মালয়েশিয়াকে বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের বন্ধু উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আনোয়ার ইব্রাহিমের সফর বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। দুই মাস আগে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর কোনো দেশের প্রধানমন্ত্রীর এটি হচ্ছে প্রথম বাংলাদেশ সফর। এই সফর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি মালয়েশিয়ার সমর্থনের স্বীকৃতি।’ দুই নেতার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা সম্পর্কে তিনি জানান, তারা উভয়েই দীর্ঘদিনের দ্বিপক্ষীয় ইস্যুগুলোকে জোরদার করতে তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আলোচনায় বাংলাদেশের দ্বিতীয় বিপ্লব নজিরবিহীন গণআন্দোলন বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে। শিক্ষার্থীরা তাদের স্বাধীনতা ও বৈষম্যমুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য তাদের জীবন বিসর্জন দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ন্যায়বিচারপূর্ণ বাংলাদেশ গড়তে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ড. ইউনূস আরও বলেন, ‘জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে আমরা আমাদের ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ মালয়েশিয়ার অবিচল সমর্থন ও সহযোগিতার প্রশংসা করি। অভিন্ন মূল্যবোধ, আস্থা ও জনগণের কল্যাণের স্বীকৃতির মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করার কথা উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, তারা সহযোগিতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এবং সংস্কৃতির ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করেছেন।’
প্রধান উপদেষ্টা জানান, তারা মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে নিরাপদ প্রত্যাবাসন করার বিষয় নিয়েও আলোচনা করেছেন। দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত রোহিঙ্গা ইস্যুটি সমাধানের জন্য তিনি মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে ইস্যুটি আসিয়ান ফোরামে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন বাংলাদেশের সরকারপ্রধান।
তিনি বলেন, ‘আমরা পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ে নিয়মিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করার বিষয়ে সম্মত হয়েছি।’ ঢাকায় অনুষ্ঠেয় চতুর্থ যৌথ কমিশনের বৈঠকের কথা উল্লেখ করে তিনি দুই দেশের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের ওপর জোর দেন। এছাড়া কৃষি, জ্বালানি, যোগাযোগ, সুনীল অর্থনীতি, বিজ্ঞান, উদ্ভাবন ও প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতার সম্ভাবনা অন্বেষণ এবং মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকের সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা করেছেন দুই নেতা। অধ্যাপক ইউনূস বলেছেন, ‘আমরা আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে একটি নতুন উচ্চতায় উন্নীত করতে নিবিড়ভাবে কাজ করতে আমাদের দৃঢ় অঙ্গীকার ও সংকল্প ব্যক্ত করেছি।’
কালের আলো/এমএএএমকে