প্রধান উপদেষ্টার তহবিলে আড়াই কোটি টাকা দিলেন সাবেক এমপি শফি চৌধুরী

প্রকাশিতঃ 4:53 pm | October 17, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মূহাম্মদ ইউনুসের ত্রাণ ও পুনর্বাসন তহবিলে সহায়তা হিসেবে ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা দিয়েছেন সিলেট-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও শিক্ষানুরাগী আলহাজ্ব শফি আহমদ চৌধুরী।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম এ সহায়তার ৩টি চেক গ্রহণ করেন।

তার হাতে শফি আহমদ চৌধুরীর পক্ষে চেক তুলে দেন ছেলে পূবালী ব্যাংকের পরিচালক আরিফ এ চৌধুরী এবং পুত্রবধু সংগীত শিল্পী ও উপস্থাপিকা দিঠি আনোয়ার চৌধুরী।

শারীরিক অসুস্থতার জন্য আলহাজ্ব শফি আহমদ চৌধুরী বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। দেশে জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়াতে তার পক্ষে পরিবারের সদস্যরা এ চেক তুলে দেন।

জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হিসেবে শফি আহমদ চৌধুরী সিলেট-৩ আসনের দু-বারের সাবেক সংসদ সদস্য। দেশের একজন প্রতিতযশা ব্যবসায়ী এবং বৃহত্তম ব্যাংক পূবালী ব্যাংকের সাবেক পরিচালক।

১৯৭৪ সাল থেকে দেশের যে কোন দুর্যোগে-দুর্ভোগে সাধ্য অনুযায়ী সরকারের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন আলহাজ্ব শফি আহমদ চৌধুরী।

বিগত করোনা মহামারির সময়ে সিলেট শহীদ শামসুদ্দীন সরকারি হাসপাতালে ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি হেপা ফিল্টার প্রদান করে তিনি আর্তমানবতার সেবায় এগিয়ে আসেন।

এছাড়া তার নির্বাচনী এলাকা সিলেট-৩ আসনে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মাদরাসা ও হাসপাতালে সরকারি অনুদান প্রদান ছাড়াও ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে তার ব্যাপক অবদান রয়েছে। তার প্রতিষ্ঠিত লতিফা-শফি চৌধুরী মহিলা ডিগ্রি কলেজে প্রায় ৩ হাজারের বেশি ছাত্রী উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করছে।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত বন্যা ও পুনবার্সন তহবিল গঠন করা হয়। জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এ তহবিলে সহায়তা প্রদান করতে দেশের বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানান নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তার এ আহ্বানে সাড়া দিয়ে আলহাজ্ব শফি আহমদ চৌধুরী তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা এবং তার দুই ছেল আরিফ এ চৌধুরী ও আসিফ এ চৌধুরীর পক্ষ থেকে ১ কোটিসহ মোট ২ কোটি ৫০ লাখ টাকার ৩টি চেক প্রদান করেন।

কালের আলো/ডিএইচ/কেএ