স্মৃতির আলোয় আন্তর্জাতিক এটিসি দিবসে মিলনমেলা, দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজের গুরুত্ব বিমান বাহিনী প্রধানের
প্রকাশিতঃ 11:04 am | October 21, 2024
বিশেষ সংবাদদাতা, কালের আলো:
৬১ বছর যাবত বিশ্বে প্রতি বছর ২০ অক্টোবর পালন করা হয় ‘আন্তর্জাতিক এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারস’ বা এটিসি দিবস। বাংলাদেশে ২০১৯ সাল থেকে দিবসটি পালন করা হচ্ছে। এবারও উৎসবের আমেজে প্রাণের সঞ্চার ঘটেছে দিবসটিতে। বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এর এয়ার ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট (এটিএম) ডিভিশন এক আয়োজনে উচ্চকিত করেছে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারসদের একাল-সেকালের গল্প, পরিবর্তন বা বিবর্তনের চিত্রপট। অপরিমেয় প্রাণোচ্ছলতায় রবিবার (২০ অক্টোবর) ছকে বাঁধা জীবন ছাপিয়ে মনের গভীরে উৎস-আনন্দের আতিশয্যে টুকরো টুকরো স্মৃতির ঝাঁপিতে মুখর হয়ে ওঠে বেবিচক সদর দপ্তর অডিটরিয়াম।
প্রধান অতিথি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন থেকে শুরু করে বেবিচক এর উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, অবসরপ্রাপ্ত ও কর্মরত কন্ট্রোলার এবং বিভিন্ন এয়ারলাইন্স প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে পুরো অনুষ্ঠানটি পরিণত হয় কার্যত এক মিলনমেলায়। বিস্মৃতির মলিনতা পেরিয়ে গৌরবের অতীত আর সোনালী ভবিষ্যতের দীপ্তিময় আবাহন ভিড় করে যেন সবার চোখের সামনে। মন ও আত্মার মিলনে স্মৃতিতর্পণে শিখরস্পর্শী কাল ও কর্মের বিশিষ্টতায় বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন এ সময় বলেন, ‘দেশ ও জনগণের স্বার্থে এভিয়েশন খাতের সঙ্গে যুক্ত সকলকে সমষ্টিগতভাবে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।’ সুদূরপ্রসারী অনুভূতির অনুভবের শব্দপুঞ্জে এভিয়েশন খাতের উন্নয়নে তিনি বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ও সরকারের যুগান্তকারী নানা পদক্ষেপ গ্রহণের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন।
বেবিচক এর সদস্য (এটিএম) এয়ার কমডোর এ কে এম জিয়াউল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সচিব নাসরীন জাহান ও বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মোঃ মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া। নভোএয়ার, ইউএসবাংলা, এয়ার এস্ট্রা ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স-এর প্রতিনিধিরাও যোগ দেন অনুষ্ঠানটিতে।
আকাশ পথে বিমানজট ছাড়ানোর গুরুপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলাররা। উড়োজাহাজ চলাচল করা অবস্থায় যদি ঘণ্টাখানেকের জন্য এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলাররা (এটিসি) কাজ না করেন তবে ঘটে যেতে পারে ভয়াবহ সব দুর্ঘটনা; সীমা ছাড়িয়ে যাবে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি। এজন্য সর্বোচ্চ মাত্রার পেশাদারিত্ব দেখাতে হয় তাদের। ‘আন্তর্জাতিক এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারস ডে’তে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারদের দায়িত্বশীলতাকে মোটা দাগে দেদীপ্যমান করার এমন আয়োজনে রীতিমতো মুগ্ধতা প্রকাশ করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁনও।
গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘নিরাপদ বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণের মতো দায়িত্বশীল ও ব্যতিক্রমধর্মী কাজকে জনসম্মুখে তুলে ধরার জন্য এ ধরনের উদ্যোগ প্রশংসনীয়। এভিয়েশন সেক্টরের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় করে থাকে। কর্তৃপক্ষের মোট আয়ের ৮০ শতাংশ আসে অ্যারোনটিক্যাল খাত থেকে, যেখানে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারদের ভূমিকাই মুখ্য। তাই দেশ ও জনগণের স্বার্থে এই খাতের সঙ্গে যুক্ত সকলকে সমষ্টিগতভাবে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।’ এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ তথা সরকার এই খাতের উন্নয়নে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং করছে।’
কালের আলো/এমএএএমকে