পুনরায় পুলিশের মনোবল ভাঙতেই নিহতের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি

প্রকাশিতঃ 8:10 pm | October 25, 2024

মো.শামসুল আলম খান, কালের আলো:

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর সবচেয়ে বেশি ‘নাজুক’ পরিস্থিতির মুখে পড়ে বাংলাদেশ পুলিশ। কোটা সংস্কার আন্দোলন দমাতে গিয়ে অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগের কারণে সাধারণ মানুষের তীব্র ক্ষোভের মুখোমুখি হতে হয় তাদের। সরকারের পতনের পর দেশের ৬৩৯টি থানার মধ্যে ৪৫০টির সম্পূর্ণ বা আংশিক ক্ষতি হয়। অস্ত্র লুট ও খোয়া যায় কিংবা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পুলিশের একাধিক স্থাপনা সম্পূর্ণ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। বিভিন্ন স্থানে সহিংসতায় ৪৪ পুলিশ সদস্য নিহত হন। গত ১৮ আগস্ট পুলিশ সদর দপ্তরের মিডিয়া উইং প্রথমবারের মতো নিহতদের তালিকা প্রকাশ করে। সেদিন বলা হয়, নিহতদের মধ্যে ২১ জন কনস্টেবল, একজন নায়েক, সাতজন এএসআই, একজন এটিএসআই, ১১ জন এসআই ও তিনজন পরিদর্শক রয়েছেন। কিন্তু এই তালিকা প্রকাশের দু’মাস পরেও জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে নিহত পুলিশ সদস্যদের সংখ্যা সম্পর্কে অপতথ্য ছড়ানোর অভিযোগ ওঠে।

  • নিহত ৪৪ পুলিশ সদস্যদের তালিকা প্রকাশের মাধ্যমে অপকৌশল ভেস্তে দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার
  • সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় ঘুরে দাঁড়াচ্ছে পুলিশ
  • ১৫ বছরের দুর্নাম ঘুচিয়ে জনআস্থা ফিরিয়ে আনার চ্যালেঞ্জ নিয়েই এগোচ্ছেন আইজিপি

এ বিষয়ে বিভ্রান্তি দূর করতে শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে নিহত ৪৪ জনের তালিকা পুনরায় প্রকাশ করা হয়। এক বার্তায় বলা হয়েছে, ‘আমরা লক্ষ্য করেছি যে কিছু নিউজ আউটলেট এবং কিছু ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে জুলাই-আগস্টে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে হওয়া গণঅভ্যুত্থানে নিহত পুলিশ সদস্যদের সংখ্যা সম্পর্কে মিথ্যা এবং ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে।’ এ তালিকার বাইরেও পুলিশ নিহতের কোনো ঘটনার কথা কেউ দাবি করলে পুলিশ সদর দপ্তরে প্রমাণ সরবরাহের আহ্বান জানানো হয়েছে ওই বার্তায়।

আমরা নিজেরা অন্যায় করবো না; অন্যকেও অন্যায় করার সুযোগ দিবো না
মো.ময়নুল ইসলাম
আইজিপি, বাংলাদেশ পুলিশ

জানা যায়, পুলিশ যখন ভেঙে পড়া মনোবল ফেরাতে পুরোদমে কাজ শুরু করেছে ঠিক তখনই সোশ্যাল মিডিয়ায় দেদারছে পুলিশের নিহতের সংখ্যা নিয়ে অপপ্রচার শুরু করেছে একটি চক্র। মূলত যারা ক্ষমতায় থেকে পুলিশকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে তাঁরাই পুলিশে পুনরায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপকৌশল গ্রহণ করেছে। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার নিহতদের নাম, পদের নাম, মৃত্যুর তারিখ, সংযুক্ত ইউনিটের নাম এবং ঘটনাস্থল উল্লেখ করে তালিকা প্রকাশ করায় তাদের সব অপচেষ্টা ভেস্তে গেছে। পুলিশের শীর্ষ নেতৃত্ব অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে মানবাধিকার সমুন্নত রেখে স্বাধীনভাবে কাজ করার পরিবেশ তৈরির মধ্য দিয়েই নিজেরা ঘুরে দাঁড়াতে চেষ্টা করছে। পুলিশে চেইন অব কমান্ড পুনঃপ্রতিষ্ঠাসহ গত ১৫ বছরের দুর্নাম ঘুচিয়ে জনআস্থা ফিরিয়ে আনার চ্যালেঞ্জ নিয়েই সামনে এগোচ্ছেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) মো.ময়নুল ইসলাম। তিনি এই পদটিতে আসীনের পর থেকেই পুলিশকে কাজে ফেরাতে নানামুখী কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেন।

সেই সময় নতুন পুলিশ মহাপরিদর্শক ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সব সদস্যকে নিজ নিজ ইউনিটে যোগ দেওয়ার নির্দেশনা দিলে ক্রমশ স্বাভাবিক হতে থাকে পরিস্থিতি। ওই সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আন্দোলনরত পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে তৎকালীন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন সফলভাবে বৈঠক শেষ করার পর কর্মবিরতি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন আন্দোলনকারী পুলিশ সদস্যরা। নতুন আইজিপি শুরুর দিকেই সরল স্বীকারোক্তিতে বলেছিলেন, ‘আমাদের কতিপয় উচ্চাভিলাসী, অপেশাদার কর্মকর্তার কারণে এবং কর্মকৌশল প্রণয়নে বলপ্রয়োগের স্বীকৃত নীতিমালা অনুসরণ না করা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন করা ও নেতৃত্বের ব্যর্থতায় আমাদের অনেক সহকর্মী আহত, নিহত এবং নিগৃহীত হয়েছেন।’ তিনি সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পুলিশ বাহিনীকে গড়ে তুলতে টিম ওয়ার্কে বিশেষ মনোযোগ দিয়েছেন।

সূত্র জানায়, পুলিশ প্রধান ময়নুল ইসলাম নিজ বাহিনীর সদস্যদের মনোবল চাঙ্গা করতে নিয়মিতই দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছুটছেন। বাহিনীটির উর্ধ্বতন থেকে শুরু কওে অধস্তন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করছেন। তিনি শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে পঞ্চগড় জেলা পুলিশ লাইনসের ড্রিল শেডে পঞ্চগড় জেলা পুলিশের অফিসার ও ফোর্সের সাথে এক বিশেষ কল্যাণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন। এ সময় আইজিপি মো. ময়নুল ইসলাম এনডিসি পুলিশি কার্যক্রম আরও বেগবান করার জন্য পুলিশ সদস্যদের প্রতি নির্দেশ প্রদান করে বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন আমাদের জন্য দেশ গড়ার এক নতুন সুযোগ তৈরি করেছে। আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি; নতুন সমাজ বিনির্মাণের সুযোগ পেয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে আমরা বাংলাদেশ পুলিশকেও গড়ে তুলতে চাই। আমরা নিজেরা অন্যায় করবো না; অন্যকেও অন্যায় করার সুযোগ দিবো না।’

পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে পুলিশপ্রধান বলেন, ‘জনগণের সাথে পেশাদার আচরণ করতে হবে। তাদের প্রত্যাশিত সেবা প্রদানের লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।’ আইজিপি ফোর্সের কল্যাণ নিশ্চিত করার জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ প্রদান করেন। তিনি বলেন, কল্যাণের পাশাপাশি ফোর্সের শৃঙ্খলা কঠোরভাবে বজায় রাখতে হবে।

সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় ঘুরে দাঁড়াচ্ছে পুলিশ
জনরোষ, বাহিনীর অধস্তনদের অভ্যন্তরীণ ক্ষোভ, নিরাপত্তার অভাব ও মনোবল হারিয়ে গত ৫ আগস্টের পর প্রায় ৭২ ঘণ্টা মাঠ থেকে লাপাত্তা ছিল পুলিশ। বাহিনীটির শীর্ষ কর্তারাও দিয়েছিলেন গা-ঢাকা। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে পুলিশে নতুন আইজিপি, র‌্যাব ডিজি ও ডিএমপি কমিশনার নিয়োগ দেওয়া হয়। জনরোষে দিশেহারা বাহিনীটির আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে সরকারের নির্দেশে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান পুলিশকে পূর্ণ সহযোগিতা প্রদান করেন। দেশের বিভিন্ন এলাকায় নৌবাহিনী পুলিশের পাশে এসে দাঁড়ায়।

ওই সময়ে অরাজকতা, অগ্নিসংযোগ ও ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম বন্ধের মাধ্যমে দেশের স্থিতিশীলতা রক্ষায় শক্ত অবস্থান গ্রহণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন সেনাপ্রধান। গত ৮ আগস্ট তিনি নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম নাজমুল হাসান ও বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁনকে সঙ্গে নিয়ে আইজিপি, র‌্যাব ডিজি ও ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেনাবাহিনীর সহায়তায় দেশের সব থানার কার্যক্রম শুরু করার সিদ্ধান্ত নেন। দেশপ্রেমী সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাত্মক সহযোগিতায় পুরোদমে দেশের প্রতিটি থানায় পুলিশী কার্যক্রম শুরু হয়েছে। দ্রুতই পরিস্থিতিরি উন্নতি হচ্ছে এবং সর্বত্র শৃঙ্খলা ফিরে আসছে। পুলিশের এই সংকটময় অবস্থার মধ্যেই ৪ সেপ্টেম্বর থেকে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ অভিযান শুরু করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব:) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। গত ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন থানায় হামলা চালিয়ে লুট করে নেওয়া অস্ত্র উদ্ধারে চালানো এ অভিযানের মাধ্যমে পুলিশের হারানো আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতেও পুলিশকে আরও বেশি কার্যকর করা হচ্ছে। সড়কে সড়কে দায়িত্ব পালন করছে ট্রাফিক পুলিশ। নিয়মিত জরিমানাসহ নানা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। মোদ্দা কথা, দৈনন্দিন কাজের মাধ্যমে এখন দৃশ্যমান রয়েছে পুলিশ।

জানা যায়, পুলিশসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে সংস্কারের জন্য সরকার ১১ সেপ্টেম্বর ছয়টি কমিশন গঠন করে। ইতোমধ্যে তাঁরা কাজ শুরু করেছে। ডিসেম্বরে তারা প্রতিবেদন জমা দেবে। পরে এসব প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় পর্যালোচনার পর উন্মুক্ত করা হবে। পুলিশ প্রশাসনের সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সাবেক সচিব সফর রাজ হোসেনকে।

বিভিন্ন স্থানে সহিংসতায় নিহত ৪৪ পুলিশ সদস্যদের তালিকা প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার
গত জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতায় নিহত ৪৪ পুলিশ সদস্যদের তালিকা প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রকাশিত তালিকায় নিহতদের নাম, পদের নাম, মৃত্যুর তারিখ, সংযুক্ত ইউনিটের নাম এবং ঘটনাস্থল উল্লেখ করা হয়েছে। শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে ওই তালিকা প্রকাশ করে এক বার্তায় বলা হয়েছে, যেসব অফিসার বা কনস্টেবল প্রতিবাদ বা সহিংসতার ঘটনায় আহত বা নিহত হন, পুলিশ বিভাগ ‘অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে; তাদের তালিকা রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকে।’ এ তালিকার বাইরেও পুলিশ নিহতের কোনো ঘটনার কথা কেউ দাবি করলে পুলিশ সদর দপ্তরে প্রমাণ সরবরাহের আহ্বান জানানো হয়েছে ওই বার্তায়। মূলত এই তালিকা প্রকাশের ফলে অপপ্রচারকারীদের গুজব আর হালে পানি পাচ্ছে না। সরকারের সময়োপযোগী এই সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন সবাই।

তালিকা থেকে দেখা গেছে, নিহত ৪৪ মধ্যে তিনজন পরিদর্শক, ১১ জন এসআই, ৭ জন এএসআই, একজন এটিএসআই, একজন নায়েক ও ২১ জন কনস্টেবল রয়েছেন। তাদের মধ্যে ডিএমপির ১৪ জন, এনায়েতপুর থানার ১৫ জন, সোনাইমুড়ী থানার ২ জন, তিতাস থানার ২ জন, কচুয়া থানার একজন, বানিয়াচং থানার একজন, ঢাকা এসবির একজন, নারায়ণগঞ্জ পিবিআইয়ের একজন, ট্যুরিস্ট পুলিশ সদর দপ্তরের একজন, কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশের একজন, কসবা থানার একজন, খুলনা মহানগর পুলিশের একজন, গাজীপুর মহানগর পুলিশের একজন এবং ঢাকা জেলার ২ জন পুলিশ সদস্য ছিলেন। সবচেয়ে বেশি, ২৪ জন পুলিশ মারা গেছেন ৫ আগস্ট, শেখ হাসিনার ক্ষমতা ছাড়ার দিন। তার আগের দিন ৪ অগাস্ট মারা গেছেন ১৪ জন। বাকিরা নিহত হয়েছেন বিভিন্ন সময়ে। নিহত তিন পুলিশ পরিদর্শক হচ্ছেন- মো. আব্দুর রাজ্জাক, রাশেদুল ইসলাম ও মো. মাসুদ পারভেজ ভূইয়া।

নিহত ১১ জন এসআই হচ্ছেন- সুজন চন্দ্র দে, খগেন্দ্র চন্দ্র সরকার, রেজাউল করিম, মো. মামুনুর রশিদ সরকার, বাছির উদ্দিন, রইস উদ্দিন খান, তহছেনুজ্জামান, প্রণবেশ কুমার বিশ্বাস, মো. নাজমুল হোসাইন, আনিসুর রহমান মোল্লা ও সন্তোষ চৌধুরী। নিহত ৭জন এএসআই হচ্ছেন সঞ্জয় কুমার দাস, ফিরোজ হোসেন, সোহেল রানা, রাজু আহমেদ, ওবায়দুর রহমান, রফিকুল ইসলাম, মো. মোক্তাদির। নিহত এটিএসআই হলেন আলী হোসেন চৌধুরী। নিহত নায়েকের নাম মো. গিয়াস উদ্দিন।

নিহত ২১ পুলিশ কনস্টেবলের তালিকায় রয়েছেন- মো. আব্দুল মজিদ, রেজাউল করিম, মাহফুজুর রহমান, শাহিদুল আলম, মো. আবু হাসনাত রনি, মীর মোনতাজ আলী, সুমন কুমার ঘরামী, মোহাম্মদ আব্দুল মালেক, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, মো. আব্দুস সালেক, মো. হাফিজুল ইসলাম, মো. রবিউল আলীম শাহ, মো. হুমায়ুন কবীর, মো. আরিফুল আযম, মো. রিয়াজুল ইসলাম, মো. শাহিন উদ্দিন, মো. এরশাদ আলী, মাইনুদ্দিন লিটন, মো. সুজন মিয়া, মো. খলিলুর রহমান ও মো. হানিফ আলী।

কালের আলো/এমএসএকে/এমএএএমকে