বিরল এক সম্মান, মর্যাদাপূর্ণ বিএমএ ‘হল অব ফেম’ এ অভিষিক্ত সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান

প্রকাশিতঃ 9:41 pm | November 11, 2024

বিশেষ সংবাদদাতা, কালের আলো:

চট্টগ্রামের ভাটিয়ারিতে অবস্থিত বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির (বিএমএ) গৌরবমণ্ডিত ‘হল অব ফেম’। বিএমএ থেকে প্রশিক্ষণ ও কমিশনপ্রাপ্ত যেসব কর্মকর্তা নিজ নিজ বাহিনীর সর্বোচ্চ পদে অধিষ্ঠিত হন তাঁদের প্রতিকৃতিসহ কৃতিত্বপূর্ণ কর্মময় জীবনের আলোকোজ্জ্বল সারসংক্ষেপ সংযোজিত হয় ‘হল অব ফেম’ এ। সোমবার (১১ নভেম্বর) এই বর্ণিল তালিকায় সপ্তম সেনাপ্রধান হিসেবে অভিষিক্ত হয়েছেন জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

‘হল অব ফেম’ এর সূচনা হওয়ার পর তাঁর আগে মাত্র ৬জন সেনাপ্রধান এই তালিকায় জায়গা পেয়েছেন। তাঁরা হলেন- জেনারেল (অব:) মঈন ইউ আহমেদ, জেনারেল (অব:) মোহাম্মদ আবদুল মুবীন, জেনারেল (অব:) ইকবাল করিম ভূঁইয়া, জেনারেল (অব:) আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক, জেনারেল (অব:) আজিজ আহমেদ ও জেনারেল (অব:) এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। নিজের পূর্বসূরীদের সঙ্গে ‘হল অব ফেম’ এ অন্তভূর্ক্ত হয়ে একই সঙ্গে হাঁটতে পারা বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান এর জন্য নি:সন্দেহে বিরল সম্মানের। এর মাধ্যমে বিএমএ এর ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংরক্ষণেও যুক্ত হয়েছে এক নতুন মাত্রা। স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত এই মুহুর্তটিতে স্বামীকে নিয়ে গর্বিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত তাঁর স্ত্রী সারাহনাজ কমলিকা জামানও।

আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, বর্ণাঢ্য সামরিক জীবনের অধিকারী সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ১৯৮৫ সালের ২০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি (বিএমএ) থেকে ১৩তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের সঙ্গে প্রশিক্ষণ শেষ করেন। পরে তিনি কোর অব ইনফেন্ট্রি’তে কমিশন লাভ করেন।

জানা যায়, ২০২৪ সালের ২৩ জুন দেশের ১৮তম সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করে যোগ্য অভিভাবকের মতোই মেধার কিরণের ঝলকানি আর প্রাণময়ী উষ্ণতায় নিজেকে মেলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। এক জ্যোতির্ময়ের পরশমণি হয়ে ধরা দিয়েছেন আলোকময় ক্যারিয়ারের পুরো সময়। গভীর দেশপ্রেম, সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব, সততা, নিষ্ঠা, উন্নত রুচিবোধ ও পরিণতবোধের এক নবদ্যুতির আলোকে অসাধারণ সৃজনক্ষমতায় এক নিরন্তর গতিপ্রবাহকেই সন্নিবেশিত করেছেন দেশের মানুষের আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতিভূ, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতীক দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর এই সেনাপ্রধান।

অনুষ্ঠানে আর্মি ট্রেনিং এন্ড ডকট্রিন কমান্ডের (আর্টডক) জিওসি লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো.মাইনুর রহমান, ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টাল সেন্টার (ইবিআরসি) কমান্ড্যান্ট মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান, ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও চট্টগ্রামের এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মীর মুশফিকুর রহমান, সেনা সদর দপ্তরের অ্যাডজুটেন্ট জেনারেল (এজি)  মেজর জেনারেল মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান, বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির (বিএমএ) কমান্ড্যান্ট মেজর জেনারেল খন্দকার মোহাম্মদ শাহিদুল এমরান, সেনা সদরের সামরিক সচিব মেজর জেনারেল সাজেদুর রহমানসহ চট্টগ্রাম সেনানিবাস, বিএমএ’র উর্ধ্বতন ও বিভিন্ন পদবীর সেনাকর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কালের আলো/এমএএএমকে