শেষ হলো সেনাবাহিনীর এ্যাসল্ট কোর্স প্রতিযোগিতা, প্রশিক্ষণের মানোন্নয়নে গুরুত্ব কিউএমজি’র
প্রকাশিতঃ 10:44 pm | November 14, 2024
বিশেষ সংবাদদাতা, কালের আলো:
যুদ্ধকালীন শারীরিক সক্ষমতা ও পেশাগত দক্ষতার সমন্বয় বাড়াতে প্রতি বছরই এ্যাসল্ট কোর্স প্রতিযোগিতার আয়োজন করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনীর সদস্যদের মধ্যে মেধা, শারীরিক সক্ষমতা, প্রশিক্ষণের মানোন্নয়ন ও পারস্পরিক সৌহার্দ্য আরও মজবুত করার দৃঢ় প্রত্যয়ে বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) রংপুর সেনানিবাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে চলতি বছরের বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এ্যাসল্ট কোর্স প্রতিযোগিতার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। সমাপনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল (কিউএমজি) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. ফয়জুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। নিজের বক্তব্যে তিনি প্রশিক্ষণের মানোন্নয়নে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন।
প্রকৃত অর্থেই একজন সৈনিককে দক্ষতা অর্জনে প্রশিক্ষণের কোন বিকল্প নেই। ফলে দেশপ্রেমিক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যদের সর্বোচ্চ প্রশিক্ষিত করে তুলতে এ্যাসল্ট কোর্স প্রতিযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দেখা গেছে, এই প্রতিযোগিতায় কঠিন সব প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে যুদ্ধ ক্ষেত্রে এগিয়ে যেতে হয়। সৈনিকদের কাঁধে থাকে ভারী অস্ত্র, শরীরে গোলাবারুদ। এসব নিয়ে কখনও রশি বেয়ে ওপরে ওঠা, কখনও লাফিয়ে সুউচ্চ দেয়াল পার হওয়া, কখনও আবার ঝুলন্ত রশিতে অবস্থান নেয় সৈনিকরা। এরপর কাঁটা তারের নিচ দিয়ে পার হয়ে দৌড়। এজন্য একজন সৈনিক সময় ব্যয় করেন মাত্র ২ থেকে ৩ মিনিট।
শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে এভাবেই প্রস্তুত হন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একেকজন সৈনিক। গত রবিবার (১০ নভেম্বর) থেকে শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন অঞ্চলের মোট ১৭টি দল অংশগ্রহণ করে। চলতি বছর রংপুর সেনানিবাসে অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতার সমাপনী দিনে শ্রেষ্ঠ দলসমূহের মহড়া উপভোগ করেন সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল (কিউএমজি) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. ফয়জুর রহমান। এ সময় ৬৬ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও রংপুরের এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মোহাম্মদ কামরুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, প্রতিযোগিতায় ৬৬ পদাতিক ডিভিশন চ্যাম্পিয়ন এবং ৫৫ পদাতিক ডিভিশন রানারআপ হওয়ার গৌরব অর্জন করে। এছাড়াও প্রতিযোগিতায় বিশেষ পারদর্শিতা প্রদর্শনের মাধ্যমে ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের ইউপি ল্যান্স কর্পোরাল মো. মাসুদ হাসান শ্রেষ্ঠ প্রতিযোগী হয়েছেন। ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের ইউপি ল্যান্স কর্পোরাল মো. সেলিম মিয়া দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ প্রতিযোগী হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন। অনুষ্ঠানে সেনাসদর ও রংপুর অঞ্চলের উর্ধ্বতন সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কালের আলো/এমএএএমকে