‘শুধু শেখ হাসিনা নয়, নিজেদের দোষগুলোও বলতে হবে’
প্রকাশিতঃ 6:02 pm | November 16, 2024
ঢাবি প্রতিনিধি, কালের আলো:
গবেষক ও শিক্ষক মোবাশ্বার হাসান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগকে ফ্যাসিজমের বড় সূতিকাগার আখ্যা দিয়ে বলেছেন, এই বিভাগের দুটি ধর্ম ছিল। একটি আওয়ামী লীগ ধর্ম, অনেকেই ছিলেন এর উম্মত। আরেকটি লিবারেল রাজনীতির ধর্ম। সেই জায়গায়টা আমাদের স্বীকার করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের পরিবেশ তৈরি না হয়। শুধু শেখ হাসিনা নয়, নিজেদের দোষগুলোও বলতে হবে।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুজাফফর আহমদ অডিটোরিয়ামে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের মাস্টার্সের ‘রাজনৈতিক যোগাযোগ’ কোর্সের উন্মুক্ত আলোচনায় এই মন্তব্য করেন তিনি। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন ফটো সাংবাদিক শহীদুল ইসলাম এবং সুইজারল্যান্ডভিত্তিক গণমাধ্যম নেত্র নিউজের সাংবাদিক তাসনীম খলিল।
আলোচনায় তাসনীম খলিল বলেন, আমাদের চিন্তা ও লেখার স্বাধীনতায় প্লুরারিটি থাকতে হবে। সমাজে কোনও চিন্তাকে নিষিদ্ধ করা হলে তা নির্বাসনে চলে যায়।
এ সময় তিনি বিগত সরকারের শাসনামলে বাকস্বাধীনতার অবদমনের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘আমরা যারা দেশের বাইরে ছিলাম, তারা কোনও সমস্যার শিকার না হলেও যারা দেশে থেকে কথা বলেছিলেন তাদের অনেকেই নির্যাতন, গুমের শিকার হয়েছেন।’
দেশের মানুষ সাংবাদিকদের অপছন্দ করলেও নতুন বাংলাদেশ গড়তে বিভাগের শিক্ষার্থীদের সুস্থ ও দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা করার আহ্বান জানান তিনি।
সভা প্রধানের বক্তব্যে জুলাই আন্দোলনে নিজের ওপর নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘ঘরে ঢোকার পর পেছন থেকে বেশ কয়েকজন এসে আমাকে ধরে। এরপর আমি ইচ্ছা করে দেরি করি যেনও আমাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে। তাদের স্ক্রিপ্ট অনুযায়ী কাজ না করার কারণে আমাকে হুমকি দিচ্ছিল। তাদের মতে কাজ না করে আমি এক ধরনের মানসিক শান্তি পাই, এটা আমার প্রাপ্তি।’
তিনি নির্যাতিতদের আহ্বান জানান নিজেদের ভিকটিমের কাতারে না দেখতে। শাসকের আদেশ না শোনা বা তাদের ভয় পাইয়ে দেওয়াকে অর্জন ও লড়াই হিসেবে দেখার কথাও বলেন তিনি।
কালের আলো/ডিএইচ/কেএ