ত্যাগের সমুদ্রে সৈনিক জীবনের তরী; রামুতে সেনা সদস্যদের আবাসন সঙ্কট নিরসনের কার্যকর উদ্যোগ

প্রকাশিতঃ 9:45 pm | November 18, 2024

বিশেষ সংবাদদাতা, কালের আলো:

দায়িত্ব পালন করতে প্রতিমুহূর্ত মৃত্যু ঝুঁকি। সুশৃঙ্খল, গৌরবময় ও কর্মময় জীবনে নির্ভীক ও আপসহীন একেকজন সেনারা। মৃত্যুকে হাতের মুঠোয় ধ্রুব সত্য জেনেও চোখজোড়া স্বপ্ন আর বুকে প্রত্যয়। একই সঙ্গে তাঁরা যোদ্ধা এবং শান্তির প্রবক্তা। বিশ্বময় অধরা নীলাকাশজুড়ে প্রতিটি সেনা সদস্য ছড়িয়ে দেন নিজের কর্মের দ্যুতি। ত্যাগের সমুদ্রে ভাসান সৈনিক জীবনের তরী। অনেক ঝড়ঝঞ্ঝায় ভরা কঠিন এক লড়াইয়ের জীবন নক্ষত্রের মতো উজ্জ্বলতায় ভাস্বর।

জাতির পরম আস্থা ও ভালোবাসার প্রতীক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যদের আবাসন সঙ্কট নিরসনে কক্সবাজারের রামু সেনানিবাসে নির্মিত হচ্ছে পারিবারিক বাসস্থান ‘সেনানীড়’ এবং ‘স্বপ্নচূড়া’। রবিবার (১৭ নভেম্বর) ও সোমবার (১৮ নভেম্বর) কক্সবাজার এরিয়া পরিদর্শনকালে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান এই দু’টি বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন। ফলে রামু সেনানিবাসে কর্মরত অফিসার, জেসিও ও অন্যান্য পদবীর সেনাসদস্যদের আবাসন সমস্যা দূর হবে। নিশ্চিত হবে অধিক সেনা সদস্যদের বাসস্থান। যুগান্তকারী এমন উদ্যোগ গ্রহণে সবাই সেনাপ্রধানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

জানা যায়, রামু সেনানিবাসে ‘সেনানীড়’ এবং ‘স্বপ্নচূড়া’ এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মধ্যে দিয়ে অন্যতম মৌলিক চাহিদা তথা বাসস্থান সমস্যা নিরসনে একটি বৃহৎ এবং কল্যাণমুখী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সেনা সদস্যরা যাতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সুখী, সমৃদ্ধ, নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ জীবন যাপন করতে পারেন, সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এমন উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

এ সময় সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল (কিউএমজি) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো.ফয়জুর রহমান, সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও কক্সবারের এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল আসাদুল্লাহ মিনহাজুল আলমসহ উর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কালের আলো/এমএএএমকে