ভুয়া ও গায়েবি মামলার অবসান চান ৯৫ শতাংশ মানুষ
প্রকাশিতঃ 1:20 pm | December 03, 2024
নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
পুলিশকে জবাবদিহির আওতায় এবং বিভিন্ন প্রভাবমুক্ত রাখার লক্ষ্যে একটি নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বা কমিশনের কথা জানিয়েছে ৫৮ দশমিক ৯ শতাংশ মানুষ।
একইসঙ্গে পুলিশের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তদন্তের জন্য একটি স্বাধীন সংগঠনের মাধ্যমে তদন্তের কথা জানিয়েছেন ৬০ শতাংশ মানুষ। অনলাইনে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সে অসন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন ৪৪ দশমিক ৯ শতাংশ মানুষ। এই সেবা সম্পর্কে অবগত নন বলে জানিয়েছেন ২২ শতাংশের বেশি মানুষ।
এ ছাড়া জরুরি সেবা ৯৯৯ এর সেবায় সন্তুষ্ট নন ৩২ দশমিক ৪ শতাংশ মানুষ। তবে সন্তুষ্টি পাওয়া গেছে ৫৬ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষের মধ্যে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগের ‘কেমন পুলিশ চাই’ শীর্ষক এক জনমত জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে। মঙ্গলবার (০৩ ডিসেম্বর) জরিপের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।
জরিপের ফলে দেখা গেছে, পুলিশের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের বিপরীতে ৬০ শতাংশ উত্তরদাতা একটি স্বাধীন সংগঠনের মাধ্যমে তদন্তের পক্ষে মতামত দিয়েছেন।
বর্তমানে পুলিশের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ তদন্তে স্বাধীন কোনো সংগঠন নেই। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন-২০০৯ এর ১৮ নম্বর ধারায় পুলিশ তথা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তদন্তে কমিশনকে নিবৃত্ত রাখা হয়েছে।
জরিপে বাকি ৪০ শতাংশ উত্তরদাতা সমান দুই ভাগে বিভক্ত হয়েছেন। এক অংশ মনে করেন, হাইকোর্ট বিভাগের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত একটি স্থায়ী তদন্ত কমিশনের মাধ্যমে পুলিশের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তদন্ত করা যেতে পারে। আরেক অংশ মানবাধিকার কমিশনকেই আইন সংশোধনের মাধ্যমে ক্ষমতার্পণের পক্ষে মতামত ব্যক্ত করেছেন।
জরিপে আরও দেখা গেছে, পুলিশকে জবাবদিহি ও বিভিন্ন প্রভাবমুক্ত রাখার লক্ষ্যে একটি নিয়ন্ত্রনকারী সংস্থা বা কমিশনের পক্ষে ৫৮ দশমিক ৯ শতাংশ উত্তরদাতা মত দিয়েছেন। অন্যদিকে সাংবিধানিক কাঠামোর আওতায় পুলিশের জন্য স্বাধীন ন্যায়পাল প্রতিষ্ঠার পক্ষে ৪১ দশমিক ১ শতাংশ মতামত দিয়েছেন।
এদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ জরিপে অংশ নেন ২৪ হাজার ৪৪২ জন। এদের মধ্যে ১৮ থেকে ৪৪ বছরের ব্যক্তিদের অংশগ্রহণের হার ৮৬ দশমিক ৬ শতাংশ। তবে উত্তরদাতাদের প্রায় ৯৫ শতাংশ পুরুষ।
উত্তরদাতাদের মধ্যে চাকরিজীবী ৩৬ দশমিক ৪ শতাংশ, ছাত্র ২৭ দশমিক ২ শতাংশ, ব্যবসায়ী ৭ দশমিক ৬ শতাংশ এবং ৭ দশমিক ১ শতাংশ। উত্তরদাতাদের মধ্যে শীর্ষে ঢাকা জেলা এবং পরবর্তী অবস্থানে রয়েছে চট্রগ্রাম ও কুমিল্লা।
কালের আলো/ডিএইচ/কেএ