মুন্নী সাহা সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্টে বেতনের বাইরে জমা হয় ১৩৪ কোটি

প্রকাশিতঃ 7:31 pm | December 04, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

আলোচিত সাংবাদিক ও টেলিভিশন উপস্থাপক মুন্নী সাহার ব্যাংক হিসাবে বেতনের বাইরে ১৩৪ কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এ অর্থের সন্ধান পেয়েছে। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

সূত্র জানায়, ১৭টি ব্যাংকের মাধ্যমে মুন্নী সাহার ব্যাংক হিসাবে ১৩৪ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ওয়ান ব্যাংকের মাধ্যমে। তবে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে শেখ হাসিনা ভারতে চলে যাওয়ার পর ১৩৪ কোটি টাকা আমানতের মধ্যে ১২০ কোটি টাকাই তুলে নেওয়া হয়েছে। সে ক্ষেত্রে তার ব্যাংক হিসাবে এখন ১৪ কোটি টাকা জমা আছে।

উল্লেখ্য, বর্তমানে তার ব্যাংক হিসাব স্থগিত করা হয়েছে। বাংলাদেশের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট (বিএফআইইউ) গত ৬ অক্টোবর বিধি-বহির্ভূত লেনদেনের অভিযোগে মুন্নী সাহার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করেছে।

জানা যায়, মুন্নী সাহার ব্যাংক হিসাবের বাইরে গুলশান-তেজগাঁও লিঙ্ক রোড এলাকায় শান্তিনিকেতনে ১৬৫, রোজগ্রীনে তার একটি ডুপ্লেক্স বাড়ির সন্ধান পেয়েছে গোয়েন্দা সংস্থা।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, ওয়ান ব্যাংকের কারওয়ানবাজার শাখায় মুন্নী সাহার স্বামী কবির হোসেনের মালিকানাধীন এমএস প্রমোশনের নামে ২০১৭ সালের ২ মে একটি হিসাব খোলা হয়। হিসাবটির নমিনি হিসেবে রয়েছেন মুন্নী সাহা। ব্যাংকটির চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ শাখায় জনৈক মাহফুজুল হকের মালিকানায় প্রাইম ট্রেডার্সের নামে ২০০৪ সালের ২১ জুলাই একটি হিসাব আগেই খোলা হয়। এ দুই প্রতিষ্ঠানের নামে ওয়ান ব্যাংক থেকে ৫১ কোটি ৫০ লাখ টাকার ঋণ নেওয়া হয়। ঋণ পরিশোধ না করে বারবার সুদ মওকুফ ও নবায়ন করা হয়। এর মধ্যে ২০১৭ সালেই সুদ মওকুফ করা হয় ২৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকার। ২০২২ সালে ঋণ হিসাবটি ৫ বছর মেয়াদি ঋণে পুনঃতফশিল করা করা হয়েছে।

প্রতিষ্ঠান দুটির মধ্যে পারস্পারিক ব্যবসায়িক কোনো সম্পর্ক না থাকলেও বিভিন্ন তারিখে হিসাব দু’টির মধ্যে বিপুল অঙ্কের অর্থ লেনদেন হয়েছে। ২০১৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর আলাদা তিনটি চেকের মাধ্যমে এমএস প্রমোশনের হিসাব থেকে প্রাইম ট্রেডার্সের হিসাবে ৫৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা স্থানান্তর করা হয়, যা সন্দেহজনক। এই অর্থ পাচার হয়েছে কি না- তা খতিয়ে দেখছে আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বিএফআইইউ।

কালের আলো/ডিএইচ/কেএ