প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপে ৬৪ জেলায় সম্প্রীতি সমাবেশের প্রস্তাব

প্রকাশিতঃ 10:55 pm | December 04, 2024

কালের আলো রিপোর্ট :

ভারত ইস্যুতে হঠকারিতা না করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড.মুহাম্মদ ইউনূসকে পরামর্শ দিয়েছেন দেশের জ্যেষ্ঠ রাজনীতিকরা। একই সঙ্গে ৬৪ জেলায় সম্প্রীতি সমাবেশের প্রস্তাবও দিয়েছেন তাঁরা। জাতীয় ঐক্যের ডাকে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপে এমন কথা বলেন রাজনীতিকরা। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত সংলাপ শেষে বিভিন্ন দলের নেতারা এসব তথ্য জানান।

  • জাতি এখনও সজাগ আছে : প্রধান উপদেষ্টা
  • তিন বিষয়ে পরামর্শ চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
  • ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় সব রাজনৈতিক দল জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠায় একমত : বিএনপি
  • স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের ব্যাপারে কোনও ছাড় নয় : জামায়াত

বৈঠকে অংশ নেওয়া একাধিক নেতা জানান, বিএনপির পক্ষ থেকে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন সরকারের প্রতি বিদেশি দূতাবাসগুলোকে সক্রিয় করার পরামর্শ দেন। অন্তর্বর্তী সরকারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মোশাররফ হোসেন বলেন, দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে দূতাবাসগুলোকে সক্রিয় করতে হবে।

বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে ১২ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে জোটের মুখপাত্র, বাংলাদেশ এলডিপির সভাপতি শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, আমি সরকারের উদ্দেশে বলেছি— এখানে হঠকারিতা করা যাবে না। কোনও নতজানু ভাব প্রকাশ করা যাবে না। বিশৃঙ্খলা করার কোনও সুযোগ নেই। সরকারকে এ বিষয়ে সর্তক থাকার পরামর্শ দেন সেলিম। তিনি বলেন, আমি আমার বক্তব্যে সারাদেশের ৬৪ জেলায় শান্তি সমাবেশ করার প্রস্তাব করেছি। সব ধর্মের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে সম্প্রীতি সমাবেশ করার আহ্বান জানিয়েছি।

বৈঠক সূত্র জানায়, বক্তব্য দিতে এসে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর জাতীয় সংকট মোকাবিলায় জাতীয় সরকারের প্রস্তাব করেন। তিনি সব দলের অংশগ্রহণে এই সরকার গঠনের প্রস্তাব দেন। নূরের ভাষ্য, চলমান সংকট রাজনৈতিক, তাই সব দলের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে জাতীয় সরকার গঠন করে সমাধান করা উচিত। নুরের বক্তব্যের পর বক্তব্য রাখেন শাহাদাত হোসেন সেলিম। তিনি জাতীয় সরকারের বিরোধিতা করেন। বৈঠকে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে জাতীয় নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করার আহ্বান জানান।

সর্বদলীয় সভায় এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু ১ দিন জাতীয় ঐক্যের প্রতীকী সংহতি হিসেবে সর্বস্তরের নাগরিকদের সারাদেশে একযোগে একই সময়ে যার যার অবস্থানে জাতীয় পতাকা হাতে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদী কর্মসূচির প্রস্তাব দেন। তার এই প্রস্তাবকে বেশিরভাগ দলের নেতারা সমর্থন করেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার জাতীয় ঐক্যের আহ্বানে ডাকা যৌথ সভায় জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের পক্ষে অংশগ্রহণ করেন দলটির সম্পাদক ফয়জুল হাকিম ও দলের জাতীয় পরিষদ সদস্য মুঈনুদ্দীন আহমেদ। যৌথ সভায় জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল সম্পাদক ফয়জুল হাকিম বলেন, ভারত সরকারকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বাস্তবতা স্বীকার করে নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে হবে। এখনও পর্যন্ত ভারত সরকার মুখে এক কথা বলছে, বাস্তবে অন্য কাজ করছে।

বৈঠকে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, সিপিবির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বাসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক, জামায়াতের সেক্রেটারি মিয়া গোলাম পরওয়ার, এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, সদস্য সচিব আকতার হোসেন প্রমুখ অংশ গ্রহণ করেন। এছাড়া বৈঠকে যোগ দেন মোশরেফা মিশু, রাশেদ খান, মহিউদ্দিন ইকরামসহ প্রায় শতাধিক রাজনীতিক।

ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় সব রাজনৈতিক দল জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠায় একমত
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের বৈঠক শেষে করেন সার্ভিস অ্যাকাডেমির সামনের রাস্তায় গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় সব রাজনৈতিক দল জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠায় একমত হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘এই সরকার ওয়াদাবদ্ধ জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। তাই অতি দ্রুত সংস্কার করে নির্বাচনের জন্য একটি রোডম্যাপ দেওয়া দরকার। রোডম্যাপ পেয়ে জনগণ যদি নির্বাচনমুখী হয়, তাহলে এখন যে ষড়যন্ত্র দেখছেন—এসব ষড়যন্ত্র আর কেউ করতে সাহস পাবে না।’

বিগত কথিত সরকার বিদেশে গিয়ে ষড়যন্ত্র করছে মন্তব্য করে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, যারা সেই ফ্যাসিবাদী সরকারকে সহযোগিতা করছে, তাদের বিরুদ্ধে সবাই (সব রাজনৈতিক দল) ঐকমত্য প্রকাশ করেছে। এখন যে ষড়যন্ত্র হচ্ছে তা দেশের জনগণের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি জন্য। বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সিনিয়র সদস্য বলেন, আমরা অন্তর্র্বতী সরকারের সঙ্গে ঐকমত্য প্রকাশ করেছি। যেভাবে আগস্ট মাসে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সরকারকে বিদায় করা হয়েছে এবং এখন তাদের যারা সহযোগিতা করছে, তাদের সবাইকে আমরা মোকাবিলা করবো। এ সময় বিএনপির প্রতিনিধি দলের সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের ব্যাপারে কোনও ছাড় নয়
সম্প্রতি ভারতের কিছু ভূমিকা উসকানিমূলক মন্তব্য করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আমরা এগুলোর নিন্দা জানিয়েছি। একটি জায়গায় সবাই একমত হয়েছি, আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের ব্যাপারে কোনও ছাড় নয়। এখানে আমরা একমত থাকবো। যেমন অতীতে ছিলাম, ৫ আগস্টও যেমন ছিলাম। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের বৈঠক শেষে করে তিনি এ কথা বলেন।

শফিকুর রহমান বলেন, আগামীর বাংলাদেশ গঠনে পথে পথে বিভিন্ন অন্তরায় দেখতে পাচ্ছি। ভারত আমাদের প্রতিবেশী দেশ, তাদের সঙ্গে প্রতিবেশীসুলভ সম্পর্ক চাই। কিন্তু সাম্প্রতিক কিছু ভূমিকা ছিল অত্যন্ত উসকানিমূলক, অসহিষ্ণু এবং অগ্রহণযোগ্য। তিনি বলেন, সব অংশীজনের সঙ্গে মতবিনিময়ের পর সরকারের পক্ষ থেকে একটি জাতীয় ঘোষণা আসবে। এক্ষেত্রে যার যার প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেবো। জামায়াতের আমির আরও বলেন, চরমপন্থা যেদিক থেকেই আসুক আমরা তাকে ঘৃণা করি। প্রশ্রয় দেবো না, মেনে নেবো না। যে রূপ নিয়েই আসুক সব রূপের চরমপন্থাকে ঘৃণা করবো, প্রশ্রয় দেবো না। এ ব্যাপারে একমত হয়েছি।

তিন বিষয়ে পরামর্শ চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
দেশে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে তিন বিষয়ে পরামর্শ চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিকাল সোয়া পাঁচটায় বৈঠক চলাকালীন অবস্থায় ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমি থেকে বের হয়ে আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) যুগ্ম সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান ফুয়াদ সাংবাদিকদের এ কথা জানান। এ সময় বৈঠকের এজেন্ডা সরকারের পক্ষে শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান তুলে ধরেন বলেও জানান তিনি।

আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তিনটি বিষয়ে আলোচনা করছেন প্রধান উপদেষ্টা। বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে- ভারতসহ সারা বিশ্বে যে প্রপাগান্ডা চলছে সেগুলোর বিষয়ে রাষ্ট্র হিসেবে আমাদের করণীয়, আগরতলায় সহকারী হাইকমিশন অফিস ভাঙচুর ও পতাকা অপমান করা নিয়ে করণীয় এবং বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে যে গল্প ও উপন্যাস সারা দুনিয়ায় চলছে তা নিয়ে মতামত।

এদিন বৈঠকে নির্বাচন বিষয়ে কোনও আলোচনা রাখা হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, সব দল তাদের মতামত তুলে ধরছে, রাষ্ট্র হিসেবে আমাদের করণীয় কী। এখন পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে যে আলোচনা হয়েছে তা হলো- বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল আজকের আলোচ্যসূচিতে নির্বাচন না থাকলেও প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচন দেওয়ার জন্য তাগাদা দেয়। স্বরাষ্ট্র এবং অন্যান্য কিছু মন্ত্রণালয়ের ক্ষেত্রে অনেকে সেবার একটা ঘাটতি বোধ করছেন, এক্ষেত্রে সরকার কী ব্যবস্থা নেবে। সবাই রাষ্ট্রকে আশ্বস্ত করেছেন, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে এবং জাতীয় স্বার্থের প্রশ্নে আমরা আপনাদের পেছনে আছি। আপনাদের সিদ্ধান্ত ও লড়াইয়ের পেছনে আমরা অংশীদার।

এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব বলেন, বৈঠকে একজন সাবেক মিলিটারি অফিসার, যিনি একটি দলেরও প্রধান, তিনি ভারতের সঙ্গে উসকানি ও উদ্বেগের জায়গা থেকে কীভাবে ভারসাম্যের জায়গায় নিয়ে আসা যায় তার জন্য কাজের পরামর্শ দেন। দুই-একজন পরামর্শ দিয়েছেন সংখ্যালঘুদের ব্যাপারে একটি জাতীয় কমিশন করা যায় কিনা।

জাতি এখনও ‘সজাগ’ আছে, ‘মজবুত’ আছে
জাতীয় ঐক্য গড়তে আওয়ামী লীগ বিরোধী আন্দোলনে থাকা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস সমাপনী বক্তব্যে বলেন, ‘জাতি এখনও ‘সজাগ’ আছে, ‘মজবুত’ আছে। তিনি নিজেও ‘ঠান্ডা’ হয়ে যাননি।

ড.ইউনূস বলেন, ‘আগস্টের ৫ তারিখে যে উত্তেজনা এবং শক্তি নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে আমার শত্রুর মোকাবিলা করেছি; আমাদের ছাত্র-জনতা বুক পেতে দিয়েছিল, জীবন দিয়েছিল; সে লক্ষ্যে কোথাও কোনো চিড় ধরে নাই, ফাটল ধরে নাই। আমরা এখনও সেই জাতি, যে জাতি ৫ আগস্ট থেকে যাত্রা করেছিলাম, ‘স্বৈরাচারী’ সরকারকে বিদায় দিয়ে। সেই জাতি এখনও সজাগ আছে মজবুত আছে।’ এই ‘ঐক্যের’ বিষয়টি পৃথিবীর সামনে তুলে ধরতেই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের আয়োজন করা হয়েছিল বলে জানান প্রধান উপদেষ্টা। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এ জাতি মরে নাই, দুর্বলও হয় নাই। আমরা শক্তিমান জাতি, লড়াই করব।’

‘তারা মনে করছে ঠান্ডা হয়ে গেছি, আমি ঠান্ডা হই নাই। আমরা সেই সতেজ যখন আমরা দেখি পুলিশ বলে, ‘স্যার একটা মরে তো চারটা দাঁড়ায় যায়’; এখন চারটা না, ৪০টা দাঁড়াতে পারবে’- যোগ করেন তিনি। স্বাধীনতা ‘ছিনিয়ে নেওয়ার অবকাশ’ কোনো শক্তির নেই উল্লেখ করে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান বলেন, ‘আমাদের রক্ত এখনও শুকায় নাই। দেয়ালে দেয়ালে যে লেখাগুলো আছে, আসা যাওয়ার পথে রোজ পড়েন, সেগুলো মুছে যায় নাই, এখনও দগদগ করছে। সেটা আমাদের বুকেও দগদগ করছে।’

বাংলাদেশকে নিয়ে ‘হাস্যকর প্রচেষ্টা’ চলছে বলে অভিযোগ এনে ইউনূস বলেন, ‘সেগুলো তুলে ধরার জন্য আপনাদেরকে আহ্বান জানিয়েছি। আপনারা সুন্দরভাবে সেগুলো তুলে ধরেছেন। কিন্তু এ বিষয়ে কোনো মতভেদ আমাদের নেই। নানা মত নানা পদ সেগুলো থাকবেই, যে কোনো জাতির মধ্যে থাকে। কিন্তু এ বিষয়ে কোনো মতভেদ আমাদের নেই। কেউ আমাদের ঐক্য ছিনিয়ে নিতে পারবে না। কেউ আমাদের স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত করতে পারবে না।’

৫ আগস্টের ‘মজবুত ঐক্য’ বজায় থাকবে জানিয়ে ইউনূস বলেন, ‘সেটা আমরা জনগণকে জানিয়ে দিলাম আজকে। আমরা তো মরে যাই নাই, এ জাতি মজবুত অবস্থাতেই আছি। মজবুত অবস্থানে আছি ও থাকব।’ এর আগে সংলাপের সূচনা বক্তব্যে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর ‘মুক্ত স্বাধীন নতুন বাংলাদেশকে’ মুছে দিতে ‘কল্পকাহিনি’ প্রচার করা হচ্ছে মন্তব্য করে রাজনৈতিক দলগুলোকে তা ঠেকাতে এক জোট হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন প্রধান উপদেষ্টা।

কালের আলো/এমএএএমকে