মুক্তির নির্দেশনা ছিল ৭ মার্চের ভাষণে : প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশিতঃ 7:48 pm | March 08, 2019
নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ৭ মার্চের ভাষনে বঞ্চনা থেকে মুক্তির নির্দেশনা ছিল এবং সে নির্দেশনা বাঙালী অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, জাতিকে ধাপে ধাপে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঞ্চনা থেকে মুক্তি পেতে করণীয় বিষয়ে নির্দেশনা ছিল ৭ মার্চের ভাষণে। তার নির্দেশনা বাঙালি জাতি অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছে।
শুক্রবার (৮ মার্চ) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের আয়োজনে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ: রাজনীতির কবির অমর কবিতা’শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘‘বঙ্গবন্ধুর ভাষণ নিয়ে অনেকে অনেক রকম ব্যাখ্যা দেন। তখনকার ছাত্রনেতা এখন যারা জীবিত আছেন, আমি আজকেও একজনের ইন্টারভিউ দেখছিলাম। সেখানে কেউ নানাভাবে ব্যাখ্যা দিয়ে দিচ্ছেন। আসলে এই ব্যাখ্যাগুলো শুনলে হাসি পায়, যে এরা আসলে কতটা অর্বাচিনের মতো কথা বলে। ‘তিনি (বঙ্গবন্ধু) নাকি নিউক্লিয়াসের সঙ্গে আলোচনা করলেন’ ভাষণে এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম – এখানে মুক্তির সংগ্রাম আগে বলবে না স্বাধীনতার সংগ্রাম আগে বলবে সেটাও নাকি ‘নিউক্লিয়াস’ আলোচনা করেছে। এগুলো সম্পূর্ণ ডাহা মিথ্যা কথা। এর কোনও যৌক্তিকতা নেই। ’’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘‘এই যে একেকজন একেকটা ব্যাখ্যা দেন, আসলে তো, তা নয়। হ্যা, ভাষণে যাওয়ার আগে অনেকেই দিন-রাত পরিশ্রম করেছেন, অনেকে অনেক পয়েন্ট তৈরি করেছেন, অনেকে বলেছেন এটা বলতে হবে, ওইটা বলতে হবে, এভাবে বলতে হবে, সেভাবে বলতে হবে, এটা না বললে হতাশ হয়ে ফিরে যাবে। নানা ধরনের কথার মধ্যে আমরা জর্জরিত ছিলাম। কাগজে-কাগজে অনেক কাগজ আমাদের বাসায় জমা হয়েছিল। শেষ কথা বলেছিলেন আমার মা। যে কথাটি আমি সবসময় বলি। আমার মা একটা কথাই বলেছিলেন – ‘সারাটা জীবন তুমি সংগ্রাম করেছো, তুমি জানো বাংলাদেশের মানুষ কি চায় এবং তার জন্য কি করতে হবে। তোমার থেকে ভালো আর কেউ জানে না। কাজেই তোমার মনে যে কথাটা আসবে, তুমি শুধু সেই কথাই বলবে আর কোনও কথা না।’’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই ভাষণে দেখবেন, এখানে কোনও পয়েন্ট নাই, কোনও কাগজ নেই। কারণ তিনি তো সংগ্রাম করে গেছেন সেই ১৯৪৮ সাল থেকে। তখন থেকেই তিনি বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য সংগ্রাম করে গেছেন। স্বাভাবিকভাবেই তিনি জানেন, যে মুক্তির পথটি কোথায়, কীভাবে আসবে। তিনি যেসব ব্যবস্থা করে গেছেন, সেটাও তিনি জানেন। সেভাবেই তিনি নির্দেশনা দিয়েছিলেন, যা বাঙালি জাতি অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছে।’
কালের আলো/এমএইচএ