কারও উৎসাহ-প্রণোদনায় এবি পার্টির সৃষ্টি হয়নি: মঞ্জু
প্রকাশিতঃ 5:21 pm | December 07, 2024
ফেনী প্রতিনিধি, কালের আলো:
আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, এবি পার্টি বাংলাদেশের মানুষের অধিকারভিত্তিক একটি রাজনৈতিক দল। আমরা করোনাকালে অনেক কষ্ট করে দলটি শুরু করার পর থেকে বাংলাদেশকে একটি কল্যাণমূলক রাষ্ট্র হিসেবে গঠনের জন্য সমস্যা সমাধানমূলক কর্মসূচি পালন করে আসছি। কিন্তু আমাদের পার্টি নিয়ে অনেক অপপ্রচার হয়েছে। নানাভাবে আমাদের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা হয়েছে। ফেনীসহ সারাদেশে আমাদের কর্মসূচিতে হামলা করে নেতাকর্মীদের হয়রানি ও গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু আজ দেশের মানুষ এবি পার্টিকে জানতে শুরু করেছে। সারাদেশে এবি পার্টির কার্যক্রম বিস্তৃত হচ্ছে।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) বেলা ১২টার দিকে ফেনী শহরের একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মঞ্জু বলেন, শুরু থেকে কেউ কেউ এবি পার্টিকে মনে করত আমরা তৎকালীন সরকারের একটি শাখা। আবার কেউ মনে করত আমি পূর্বে যে রাজনৈতিক দল করতাম তার একটি কৌশলগত প্লাটফর্ম। আমরা এসব অপবাদ, অপপ্রচার ও সন্দেহের মধ্যে দিয়ে পথ চালিয়ে যাচ্ছি। এদেশের কোনো ব্যক্তি বা দলের উৎসাহ-প্রণোদনায় এবি পার্টি সৃষ্ট হয়নি। এটি সরকার বা কোনো দলের শাখা বা উপশাখা নয়। তবে আমরা বিশ্বাস করি, আমরা সঠিকভাবে কাজ করলে মানুষ আমাদের গুরুত্ব দেবে। নৈতিকতা ঠিক রাখতে পারলে মানুষ এবি পার্টিকে গ্রহণ করবে।
মন্জু বলেন, এবি পার্টি রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পেতে আবেদনের পর যাচাই-বাছাইয়ে ১ নাম্বার হওয়ার পরও নির্বাচন কমিশন আমাদের নিবন্ধন দেয়নি। যার কারণে আমরা আদালতে লড়াই করে নিবন্ধন লাভ করি। কিন্তু তারা ষড়যন্ত্র করে আমাদের দলীয় প্রতিটি বাদ দিয়ে ঈগল প্রতীক দেওয়া হয়।
এবি পার্টির সদস্য সচিব বলেন, আমাদের অতীত রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা আছে। ২০০৬ সালে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের সময় আমরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলাম। ২০১৮ সালে জাতীয় ঐক্য তৈরিতে আমরা বিশেষ ভূমিকা রেখেছি। ৫ মে হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনের সময় বিশেষ ভূমিকা রাখায় আমার টেলিভিশন চ্যানেলটি (দিগন্ত) বন্ধ করে হাজার হাজার মানুষকে কর্মহীন করে দেওয়া হয়েছে।
মজিবুর রহমান মনজু বলেন, দেড় থেকে দুই বছরের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচন দেয়া উচিত। তিনি বলেন, ভারতের সাথে পতিত সরকারের গোপন চুক্তিগুলো প্রকাশ্যো আনতে হবে এবং বাতিল করতে হবে। শেখ হাসিন পালিয়ে যাবার পর ক্যান্টনমেন্টে আশ্রয় নেওয়া ১২৬ জনের তালিকা খোলাসা করতে হবে। এটি দেশের মানুষ জানতে চায়।
এবি পার্টির ফেনী জেলা সভাপতি মাস্টার আহসান উল্লাহর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব অধ্যাপক ফজলুল হকের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন দলের যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ ও নির্বাহী কমিটির সদস্য প্রকৌশলী শাহ আলম বাদল।
রাষ্ট্র সংস্কার করে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে বিকেলে ফেনীর ট্রাংক রোডে আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য দেবেন মজিবুর রহমান মন্জু।
নিজ জেলা ফেনীর সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত ফেনী জেলাটি ঐতিহাসিক শুভপুর যুদ্ধক্ষেত্র, সালাউদ্দিন বীর বিক্রম, জহির রায়হান ও ভাষা শহীদ আবদুস সালামের জন্মভূমি। এত ঐতিহ্য থাকার পরও দুঃখজনকভাবে ফেনীকে সন্ত্রাস ও গড়ফাদারের জনপদ বলা হয়। এসব বদনাম গুছিয়ে ফেনীর ঐতিহ্য তুলে ধরতে হবে। যাতে আর কেউ ফেনীতে কোনো সন্ত্রাসী ও গড়ফাদার কার্যক্রম না করতে পারে সেদিকে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
কালের আলো/ডিএইচ/কেএ