উঁচু দিগন্তে ডানা মেলার স্বপ্ন শাহ আমানত বিমানবন্দরের, যাত্রীসেবায় উন্নতিতে বন্ধ পদে পদে হয়রানি

প্রকাশিতঃ 7:39 pm | December 08, 2024

বিশেষ সংবাদদাতা, কালের আলো, চট্টগ্রাম ঘুরে এসে :

বছরে প্রায় ১৭ লক্ষ যাত্রী পরিবহন করে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। কিন্তু বছরের পর বছর চাঁদাবাজি, দুর্নীতি ও নানান হয়রানির কারণে এই বিমানবন্দর দিয়ে ভ্রমণ যাত্রীদের জন্য ছিল এক দুঃস্বপ্ন। বিশেষ করে যারা প্রথমবার এই বিমানবন্দর ব্যবহার করেন কিংবা যারা অভিবাসী শ্রমিক-তাদের জন্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই বিমানবন্দরের যাত্রা অভিজ্ঞতা ছিল তিক্ত ও দুর্দশাপূর্ণ। কিন্তু গত ৫ আগস্টের পট-পরিবর্তনের পর খোলনলচে পাল্টে বদলে যেতে শুরু করেছে বিমানবন্দরটি। বিমানবন্দরটি অরক্ষিত রেখে সেই সময় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) চলে যাওয়ার পর উন্নত বিশ্বের আদলে অন্যান্য আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মতোই এই বিমানবন্দরটিরও নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করে চলেছিল এভিয়েশন সিকিউরিটি ফোর্স (এভসেক)। এরপর শাহ আমানতের নিরাপত্তাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) বাংলাদেশ বিমান বাহিনীকে অনুরোধ জানায়। এভসেকের পাশাপাশি কাজ শুরু করেন বিমান বাহিনীর ২০০ সদস্যের বিশেষ টাস্কফোর্স। এয়ার সাইড ও ল্যান্ড সাইড দু’দিকেই সমানতালে দায়িত্ব পালন করছে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী।

  • ৫ আগস্টের পট-পরিবর্তনের পর খোলনলচে পাল্টে বদলে যেতে শুরু করেছে বিমানবন্দরটি
  • এভসেকের পাশাপাশি কাজ শুরু করেন বিমান বাহিনীর ২০০ সদস্যের বিশেষ টাস্কফোর্স
  • এয়ার সাইড ও ল্যান্ড সাইড দু’দিকেই সমানতালে দায়িত্ব পালন করছে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী
  • বোর্ডিং পাস, ইমিগ্রেশন থেকে শুরু করে নানাবিধ হয়রানির ঘটনা এখন আর নেই
  • মাত্র ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যেই মিলছে লাগেজ
  • বিমানবন্দরে বহু বছর অচল থাকা ফ্রি টেলিফোন বুথও করা হয়েছে পূর্ণাঙ্গ সচল

এরপর থেকেই উঁচু দিগন্তে ডানা মেলার স্বপ্নে বিভোর শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। বাড়ানো হয়েছে যাত্রী সেবার পরিধি। যাত্রীদের হয়রানি ঠেকানোর পাশাপাশি চুরি বা লাগেজ কাটার ঘটনাকে শুন্যে নামিয়ে আনতে গ্রহণ করা হয় কঠোর পদক্ষেপ। শুধু তাই নয়, এভসেক ও বিমান বাহিনীর সমন্বিত প্রচেষ্টার ফলে গত ৫ আগস্টের আগে-পরে এক ঘণ্টার জন্যও বিমান উড্ডয়ন-অবতরণ বন্ধ হয়নি চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। বোর্ডিং পাস, ইমিগ্রেশন থেকে শুরু করে পদে পদে প্রবাসীরা হয়রানির শিকার হওয়ার চিরায়ত ঘটনাও এখন আর নেই। চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট অপারেশন ও বিমানবন্দরের গ্রাউন্ডস হ্যান্ডলিং সুযোগকে কাজে লাগিয়ে স্বর্ণ চোরাচালানের বিশ্বস্ত মাধ্যমের এতোদিনের অপবাদেরও যেন যবনিকাপাত ঘটেছে। এই বিমানবন্দর দিয়ে প্রতিনিয়তই বাড়ছে যাত্রীদের চাপ। তিনটি ফেইজে বাস্তবায়িত হচ্ছে মাস্টারপ্ল্যান। রানওয়ে সম্প্রসারণসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাড়ায় বিদেশি বড় বিমান সংস্থাগুলো ফ্লাইট অপারেশনের আগ্রহ দেখাচ্ছে।

বিমানবন্দরটিকে বিশ্বমানের ও আধুনিক করে গড়ে তুলতে তিনটি পর্যায়ে মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নের কার্যক্রম চলমান রয়েছে
গ্রুপ ক্যাপ্টেন শেখ আব্দুল্লাহ আলমগীর
পরিচালক, চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

দেশের প্রায় ২১ শতাংশ যাত্রী ব্যবহার করা চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে বিশ্বমানের ও আধুনিক করে গড়ে তুলতে তিনটি পর্যায়ে মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নের কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট বিমান বন্দরের বর্তমান পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন শেখ আব্দুল্লাহ আলমগীর। তিনি কালের আলোকে বলেন, ‘শাহ আমানতের রানওয়ে সম্প্রসারণ প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রায় ৪৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পের লাইটিংয়ের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। টার্মিনাল সুবিধা বাড়াতে বোর্ডিং ব্রিজ স্থাপন করা হচ্ছে, চলমান রয়েছে টার্নিং প্যাড সম্প্রসারণ কাজ। প্যাসেঞ্জার ও কার্গো সিকিউরিটি ব্যবস্থাও আন্তর্জাতিক মানে উন্নীতকরণ কাজ চলছে। জার্মানির একটি প্রতিষ্ঠান এসব কাজ বাস্তবায়ন করছে। এই প্রকল্প সম্পন্ন হলে যাত্রী সম্প্রসারণ ও কার্গো সক্ষমতা বাড়বে। গড়ে তোলা হবে একটি প্যারালাল ট্যাক্সিওয়ে।’

রানওয়ে সক্ষমতা বাড়ানো হলে বড় বড় কার্গো বিমান ওঠানামা করতে পারবে
রিয়ার এডমিরাল এস. এম. মনিরুজ্জামান
চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এস. এম. মনিরুজ্জামান কালের আলোকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরের কাছেই শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এটির রানওয়ে সক্ষমতা বাড়ানো হলে বড় বড় কার্গো বিমান এখানে যেকোনো সময়ে কার্গো নিয়ে ওঠানামা করতে পারবে। এতে গোটা বিমানবন্দরটির সক্ষমতা বাড়বে।’

বিমান বাহিনী, এভসেক, এপিবিএন বা আনসার যার যার অবস্থান থেকে কাজ করছে। আমরা সব বিষয়ে সজাগ রয়েছি।
এয়ার ভাইস মার্শাল মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া
চেয়ারম্যান, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ

১৫ মিনিটে মিলছে লাগেজ, নেই টানা পার্টির তৎপরতা
চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ১৮টি আন্তর্জাতিক এবং ৪০টি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট ওঠানামা করে। বছরে মাত্র ৫০ হাজার যাত্রী পরিবহনের মধ্যে দিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল শাহ আমানত বিমানবন্দর। এখন যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখের বেশিতে। ২০৩০ সাল নাগাদ যা হবে ৩০ লাখ, ২০৪০ সালে ৫০ লাখ এবং ২০৭০ সালে দাঁড়াবে ১ কোটির বেশিতে। ২০০০ সালে জাপানের দাতা সংস্থা জাইকার সহযোগিতায় আন্তর্জাতিক রূপ পাওয়া শাহ আমানত বিমানবন্দরের সক্ষমতা নির্ধারণ করা হয়েছিল ২০ বছর। ৪ বছর আগেই সক্ষমতা হারিয়ে আসা এই বিমানবন্দর ২০২৩ সালেই ১৬ লাখ ১০ হাজার ৪২৮ জন যাত্রী বহন করে রেকর্ড গড়ে। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ রুটের যাত্রী ৬ লাখ ৪২ হাজার ৪২৮ জন এবং আন্তর্জাতিক রুটের ৯ লাখ ৬৮ হাজার ৪ জন। যেখানে ২০২২ সালে বিমানবন্দরটি ১৪ লাখ ৫৫ হাজার ১৮ জন যাত্রী বহন করেছিল। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ রুটের যাত্রী ৫ লাখ ৬১ হাজার ৯৫৪ জন এবং আন্তর্জাতিক রুটের যাত্রী ৮ লাখ ৯৩ হাজার ৬৪ জন।

নানাদিক বিবেচনায় চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের গুরুত্ব বাড়ছে। বিশ্বের সব বন্দরের ব্যাকআপ হিসাবে অত্যাধুনিক এবং বিশ্বমানের বিমান বন্দর থাকার কথা থাকলেও এক্ষেত্রে চট্টগ্রাম বঞ্চিত ছিল। চট্টগ্রাম বন্দরের কাছেই শাহ আমানত বিমানবন্দরের অবস্থান হলেও সুযোগ-সুবিধা সেখানে বিশ্বমানের ছিল না। অবশেষে চট্টগ্রাম বন্দরের সম্প্রসারণে মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নে মনোযোগ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নের পাশাপাশি যাত্রীসেবার মানোন্নয়নে দিন-রাত একাকার করে কাজ করে চলেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। একেকজন যাত্রীর লাগেজ প্রাপ্তির সময় কমিয়ে আনা হয়েছে। মাত্র ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যেই মিলছে লাগেজ। বিমানবন্দরে বহু বছর অচল থাকা ফ্রি টেলিফোন বুথও করা হয়েছে পূর্ণাঙ্গ সচল।

বিমানবাহিনীর টাস্কফোর্সের সহযোগিতায় প্রান্তিক ভবন ও কার পার্কিং এ যাত্রী হয়রানি রোধ করা অনেকটাই সম্ভব হয়েছে। কোন রকম টানা পার্টির তৎপরতা নেই। সালাম দিয়ে ট্রলিম্যানদের ও আনসার সদস্যদের চাঁদাবাজিও বন্ধ হয়েছে। উন্নত বিশ্বের বিমানবন্দরগুলোর মতোই এখানে যাত্রীদের সহায়তার জন্য বেসরকারি কোম্পানির মাধ্যমে ‘মিট অ্যান্ড গ্রিট’ সার্ভিস চালু করা হয়েছে। শাহ আমানতে সেবায় সন্তুষ্ট প্রবাসীরাও। ওমানের রাজধানী মাস্কাটে কাজ করেন ফটিকছড়ির বাসিন্দা সোলেমান। সম্প্রতি দেশে ফেরা এই প্রবাসী কালের আলোকে বলেন, ‘শাহ আমানতে এবারের যাত্রীসেবায় আমরা মুগ্ধ। কয়েক মিনিটে লাগেজ পাওয়া, ফ্রি ফোন করা এসব পরিবর্তন আমাদের জন্য স্বস্তিদায়ক। তাছাড়া এবার সালাম দিয়ে টাকা আদায় করার দৃশ্যও আমাদের নজরে আসেনি। এমন বিমানবন্দরই আমাদের কাছে প্রত্যাশিত।’

চট্টগ্রাম পপুলার ট্রাভেলর্স অ্যান্ড ট্যুরের মালিক সৈয়দ মো. ইকবাল হোসাইন জানান, ‘অতীতে দুয়েকটি ফ্লাইট নামার পর লাগেজ নিয়ে সমস্যায় পড়তে হতো। লাগেজের জন্য মানুষকে কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত অপেক্ষা করার বিষয়টিও নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এখন দ্রুত সময়ের মধ্যেই লাগেজ সমস্যার সমাধান হয়েছে। আন্তরিক এই সেবায় প্রবাসীরা উপকৃত হচ্ছেন।’

বিমানবন্দরের ভেতরে-বাহিরে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা বলয়
সংশ্লিষ্টরা জানান, গত ৫ আগস্ট থেকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর আন্তরিক সহযোগিতায় এভিয়েশন সিকিউরিটি ফোর্স (এভসেক) বিমানবন্দরের প্রবেশদ্বার, টারমিনাল ড্রাইবওয়েতে, এপ্রোন এরিয়াতে প্রবেশের গেইট (৪ নম্বর গেইট), এপ্রোন এলাকা, রানওয়ে ৫ ও ২৩, যাত্রী কারপার্কিং এই পয়েন্টগুলোতে তৎপর রয়েছে। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ২০০ সদস্যকে অস্থায়ী ভিত্তিতে মোতায়েন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে বিমানবন্দরের ভেতরে-বাইরে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা বলয় তৈরী করা হয়েছে। বিমানবন্দরের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিমান বাহিনীর বিশেষ টাস্কফোর্স ও বিমানবন্দরের নিরাপত্তা শাখার সমন্বয়ে গঠিত বিশেষ কমিটির নেতৃত্বে প্রতি ২ ঘণ্টা পরপর বিমানবন্দরের প্রতিটি তল্লাশী চৌকি ও জনমানবশূন্য পয়েন্টগুলোতে নিরাপত্তা টহল নিশ্চিত করা হয়েছে।

একই সূত্র জানায়, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সহযোগিতায় বিমানবন্দরের স্পর্শকাতর এপ্রোন এরিয়ায় প্রবেশের ৪ নম্বর গেইট, রাডার স্টেশন, ভিওআর, ট্রান্সমিটিং স্টেশন, পাওয়ার হাউস, জিপি-লোকারাইজার স্টেশন- এসব পয়েন্টে জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তাব্যবস্থা। আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে নিরবচ্ছিন্ন যাত্রীসেবা প্রদানে বিমানবাহিনীর সদস্যরা প্রান্তিক ভবনের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টসমূহে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব বজায় রেখে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে। বিশেষ করে গত সেপ্টেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে আনসার সদস্যরা কর্মবিরতি শুরু করলে বিমান বাহিনী টাস্কফোর্স দক্ষতার সঙ্গে বিমানবন্দরটিকে সুরক্ষিত করে। সেই থেকে দিন-রাত টাস্কফোর্স সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।

পরিবর্তনের নতুন স্বপ্নে অদম্য পথচলা
সব মিলিয়ে আগের সব সমীকরণ পেছনে ফেলে নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ও এভসেক’র সম্মিলিত প্রয়াসে এই বিমানবন্দরটির সামগ্রিক কার্যক্রমে বদলে যাওয়ার ইঙ্গিত স্পষ্ট। ঝলমলে এমন অধ্যায়ে ছাত্র-নাগরিকের রক্তস্নাত অভ্যুত্থানে নতুন বাংলাদেশে নিজেদের সামর্থ্যরে পুরোটা উজার করে সব সীমাবদ্ধতাকে ছাপিয়ে পরিবর্তনের নতুন স্বপ্নে হাঁটছে, দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বিমানবন্দরটি।

এসব বিষয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া কালের আলোকে বলেন, ‘একটি দেশের বিমানবন্দর হলো একটি দেশের দর্পণ। বিমানবন্দরে নামার পর যেন সবাই বুঝতে পারে আমি সুন্দর ও সুশৃঙ্খল দেশে প্রবেশ করেছি। এ জন্য আমরা সবাই মিলে কাজ করছি। বিমান বাহিনী, এভসেক, এপিবিএন বা আনসার যার যার অবস্থান থেকে কাজ করছে। আমরা সব বিষয়ে সজাগ রয়েছি। আমাদের মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টারা সর্বাত্মক সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।’

কালের আলো/এমএএএমকে