সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের সরকার গঠনের কাজ শুরু

প্রকাশিতঃ 1:41 pm | December 10, 2024

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, কালের আলো:

সিরিয়ার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয়ের মধ্যেই অন্তর্বর্তী সরকার গঠনে তৎপরতা শুরু করেছে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো। ক্ষমতাচ্যুত বাশার আল-আসাদের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ জালালি সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিদ্রোহী নেতৃত্বাধীন স্যালভেশন গভর্নমেন্টের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে রাজি হয়েছেন। সূত্র জানিয়েছে, ক্ষমতা হস্তান্তরে কয়েকদিন সময় লাগতে পারে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

প্রধান বিদ্রোহী কমান্ডার আহমেদ আল-শারাআ আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি নামে পরিচিত। এরই মধ্যে তিনি আসাদ সরকারের প্রধানমন্ত্রী জালালি এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট ফয়সাল মেকদাদের সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা করেছেন।

এক প্রতিবেদনে আল-জাজিরা জানিয়েছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্ব দেবেন প্রকৌশলী মোহাম্মদ আল-বাশির। সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশে হায়াত তাহরির আল-শামস (এইচটিএস) পরিচালিত সিরিয়ান স্যালভেশন গভর্নমেন্টের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

সিরিয়ায় মাত্র ১২ দিনের অভিযানে দামেস্ক দখল করে নেয় বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো। পতন ঘটে বাশার আল আসাদ সরকারের। বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর নেতৃত্বে ছিল এইচটিএস। তবে তাদের অন্যতম সহযোগী ছিল সিরিয়ান ন্যাশনাল আর্মি (এসএনএ)। এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে এবং অতীতে তাদের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের ইতিহাস রয়েছে। ফলে বিদ্রোহীদের অন্তর্বর্তী সরকারের সাফল্য ও সিরিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন জাতিসংঘসহ পশ্চিমা ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো।

প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের আকস্মিক পতন সিরিয়ার জনগণ, আঞ্চলিক দেশসমূহ এবং বিশ্বশক্তিগুলোকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে যে এরপর কী ঘটতে চলেছে।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ সোমবার রাতে এক গোপন বৈঠকে মিলিত হয়। কূটনীতিকরা জানান, ১৩ বছরের গৃহযুদ্ধের স্থবিরতা ভেঙে ১২ দিনের মধ্যে আসাদ পতনের ঘটনায় সবাই বিস্মিত।

জাতিসংঘে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভাসিলি নেবেঞ্জিয়া বলেছেন, আমাদের অপেক্ষা করতে হবে, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং দেখার চেষ্টা করতে হবে পরবর্তী সরকার কীভাবে বিকাশ লাভ করে।

কারণ বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো এখনও সিরিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে পরিকল্পনা জানায়নি। এছাড়া এই ধরনের ক্ষমতা পরিবর্তনের কোনও সুস্পষ্ট রূপরেখাও নেই তাদের কাছে। এদিকে দক্ষিণ সিরিয়ার একটি বাফার জোন দখল করেছে ইসরায়েল।

ইসরায়েলের এই হস্তক্ষেপকে উদ্বেগজনক পদক্ষেপ হিসেবে নিন্দা জানিয়েছে মিসর, কাতার এবং সৌদি আরব।

কালের আলো/ডিএইচ/কেএ