কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা না কমলেও বেড়েছে শীতের তীব্রতা
প্রকাশিতঃ 10:23 am | December 20, 2024
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি, কালের আলো:
তাপমাত্রা না কমলেও দেশের উত্তরের সীমান্তঘেঁষা জেলা কুড়িগ্রামে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন হতদরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষজন। অনেকে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গতকাল বৃহস্পতিবারও ছিল ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গত এক মাস ধরে এ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে। দিনের তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও রাত হতেই নেমে আসছে ঘন কুয়ার সঙ্গে কনকনে ঠান্ডা।
এতে করে শীত কষ্টে ভুগছে জেলার ১৬ নদ-নদী বেষ্টিত সাড়ে চার শতাধিক চরাঞ্চলের মানুষসহ দিনমজুর শ্রেণির মানুষেরাও। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে শিশু ও বৃদ্ধরা। এসব মানুষের শীত নিবারণে সরকারিভাবে ২৭ লাখ টাকা ও ১২ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে বলেও জানান জেলা প্রশাসন।
সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের মিলপাড়া এলাকার জামাল বাদশাহ বলেন, ‘এতো ঠান্ডা পড়ছে সকালে কাজ করা যায় না, হাত-পা বরফ হয়ে যায়। আমরা গরিব মানুষগুলা খুব কষ্টোত পড়ছি।’
ওই এলাকার কনছোর আলী বলেন, ‘সকাল করি এতো শীত ঠান্ডা থাকে, ঘর থেকে বাইর হওয়া যায় না। রাতে ঠান্ডার কারণে ঘুম হয় না। এই সময় কম্বল পাইলে হামার অনেক উপকার হইল হয়।’
কুড়িগ্রাম কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, এ সপ্তাহের মধ্যেই জেলার ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক আসাদুজ্জামান বলেন, আপাতত শীত ও ঠান্ডায় কোনো ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা নেই। তবে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামলে বোরো বীজতলার কিছুটা ক্ষতি হতে পারে। আমরা কৃষকদের নানা পরামর্শ দিচ্ছি যাতে বীজতলার কোনো ক্ষতি না হয়।
কালের আলো/এএমকে