মুয়ীদ চৌধুরীর অপসারণ চাইলেন প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা

প্রকাশিতঃ 6:10 pm | December 25, 2024

কালের আলো ডেস্ক:

আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধানের পদ থেকে মুয়ীদ চৌধুরীর অপসারণ চাইলেন প্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তারা। বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের উপসচিব পদে পদোন্নতির কোটা পুনর্বিন্যাসের খসড়া সুপারিশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা করেছেন প্রশাসন ক্যাডারের বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তারা।

‘জনপ্রশাসন সংস্কারকে ভিন্নপথে পরিচালিত করে দেশকে অস্থিতিশীল করার গভীর ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে’ তারা এ প্রতিবাদ সভা করেন।

প্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন এবং বিসিএস (প্রশাসন) কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেড যৌথভাবে এ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেছে।

বিসিএস (প্রশাসন) কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি এ বি এম আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার জন্য এসেছি। তখন আমাদের দুই ব্যাচমেট অনুরোধ করেছিলেন আজকের কর্মসূচি থেকে যেন আমরা কোনো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা না করি। আমাদের মনে হলো আজকের প্রতিবাদ অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ শুরু করেছে।’

তিনি বলেন, ‘আমি একটি প্রস্তাব দিয়ে রাখি- আপনারা সম্মতি দিলে আগামী ৪ জানুয়ারি আমরা একটা মহাসমাবেশ ডাকতে পারি। যেখানে ৫০০ পাওয়ারের অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হবে। আজ হলো ২০০ পাওয়ারের, ওই দিন দেওয়া হবে ৫০০ পাওয়ারের। তাহলে মনে হয় আর অপারেশনের দরকার হবে না।’

‘আজকে আমাদের আন্দোলনটা শুরু। বিসিএস পরিবারটাকে বাঁচানোর জন্য হয়ত আমাদের আরও কষ্ট করতে হবে। আমরা কলম বিরতি, অনশন কর্মসূচিও ঘোষণা করতে পারি।’

আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘দুটি বিষদাঁত অঙ্কুরিত হয়েছে। এ বিষ দাঁত উপড়ে ফেলতে হবে। একটা বিষ দাঁত হলো মুয়ীদ (জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী) ভাই। তিনি ব্যক্তিগত ও পারিবারিকভাবে একজন কলঙ্কিত ব্যক্তি। চাকরিজীবী ও সুবিধাভোগী হিসেবে তিনি বিতর্কিত একজন কর্মকর্তা। তিনি পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসের একজন কর্মকর্তা। তিনি নিজের জন্ম ভুলে গেছেন।’

তিনি বলেন, ‘আমরা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মুয়ীদ ভাইয়ের অপসারণ চাই। সরকার যদি অপসারণ না করে কীভাবে অপসারণ করতে হবে সেই কৌশল আমাদের জানা আছে।’

গত ১৭ ডিসেম্বর সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী জানান, উপসচিব পুলে প্রশাসন ক্যাডারের জন্য ৫০ শতাংশ কোটা রেখে অন্যান্য ২৫টি ক্যাডারের জন্য ৫০ শতাংশ পরীক্ষার ভিত্তিতে নিয়োগ এবং শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্যাডারকে সিভিল সার্ভিস হতে আলাদা করার সুপারিশ করা হবে।

বর্তমান বিধিমালা অনুযায়ী, উপসচিব পদে প্রশাসন ক্যাডারের ৭৫ শতাংশ এবং অন্য সব ক্যাডারের ২৫ শতাংশ কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেওয়া হয়।

কালের আলো/ডিএইচ/কেএ