সূর্যের সবচেয়ে কাছে গিয়ে ইতিহাস গড়ল নাসার মহাকাশযান

প্রকাশিতঃ 7:47 pm | December 27, 2024

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, কালের আলো:

সূর্যের সবচেয়ে কাছে গিয়ে ইতিহাস গড়ল নাসার মহাকাশযান সূর্যের সবচেয়ে কাছে গিয়ে ইতিহাস নাসার মহাকাশযান পার্কার সোলার প্রোবের
সূর্যের সবচেয়ে কাছাকাছি গিয়ে সফলভাবে ফিরে আসার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (নাসা) একটি মহাকাশযান ইতিহাস গড়েছে। খবর বিবিসির।

বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের আগে বিজ্ঞানীরা নাসার পার্কার সোলার প্রোব থেকে একটি সংকেত পেয়েছেন। যদিও সূর্যের তীব্র তাপের মধ্য দিয়ে যাত্রার সময় কয়েকদিন ধরে এটি যোগাযোগহীন ছিল।

নাসা বলছে, মহাকাশযানটি নিরাপদ ও স্বাভাবিকভাবে কাজ করছে। এটি সূর্যের পৃষ্ঠ থেকে মাত্র ৩ দশমিক ৮ মিলিয়ন মাইল (৬ দশমিক ১ মিলিয়ন কিলোমিটার) দূর দিয়ে অতিক্রম করার পরও অক্ষত রয়েছে।

ক্রিসমাসের আগের দিন মহাকাশযানটি সূর্যের বাইরের বায়ুমণ্ডলের গভীরে প্রবেশ করে। সেখানে এটি অত্যন্ত তীব্র তাপমাত্রা ও চরম রশ্মির মুখোমুখি হয়।

মহাকাশযানটির সেখানে যাত্রার উদ্দেশ্য হলো সূর্যের কার্যপ্রক্রিয়া সম্পর্কে আরও ভালোভাবে বুঝতে সাহায্য করা।

নাসার ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মহাকাশযানটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ চার লাখ ৩০ হাজার মাইল (ছয় লাখ ৯২ হাজার কিলোমিটার) বেগে চলার সময় প্রায় এক হাজার ৮০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট (৯৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) তাপমাত্রা সহ্য করেছে।

সংস্থাটি বলছে, সূর্যের এত কাছে গিয়ে পার্কার সোলার প্রোব নামের মহাকাশযানটি এমন তথ্য সংগ্রহ করতে পারে, যা বিজ্ঞানীদের বুঝতে সাহায্য করে কীভাবে ওই অঞ্চলের পদার্থ লাখ লাখ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উত্তপ্ত হয়। এটি সৌর বায়ুর উৎস খুঁজে বের করতে এবং কীভাবে শক্তিশালী কণাগুলো প্রায় আলোর গতিতে পৌঁছায় তা জানতেও সহায়ক।

নাসার বিজ্ঞান শাখার প্রধান ড. নিকোলা ফক্স এর আগে বিবিসিকে বলেছিলেন, শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মানুষ সূর্য নিয়ে গবেষণা করে আসছে। যতক্ষণ না আপনি কোনো স্থানে না যাবেন, ততক্ষণ আপনি কোনো জায়গার বায়ুমণ্ডল সম্পর্কে ধারণা পাবেন না।

সূর্যের কেন্দ্রে পৌঁছানোর জন্য পার্কার সোলার প্রোব নামে মহাকাশযানটি ২০১৮ সালে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। এটি ইতোমধ্যেই ২১ বার সূর্যকে পাশ কাটিয়ে গেছে এবং প্রতিবার আরও কাছে পৌঁছে। তবে ক্রিসমাসের আগে সব রেকর্ড ভেঙে যায়। সূর্যের পৃষ্ঠ থেকে এর দূরত্ব ছিল ৩ দশমিক ৮ মিলিয়ন মাইল (৬ দশমিক ১ মিলিয়ন কিলোমিটার)।

কালের আলো/এএমকে