ফের আন্দোলনের হুমকি নকলনবিশদের

প্রকাশিতঃ 5:27 pm | December 28, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

আগামী তিন মাসের মধ্যে চাকরি জাতীয়করণ না করা হলে ফের আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন নকলনবিশরা।

শনিবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ এক্সট্রা-মোহরার (নকলনবিশ) এসোসিয়েশনের উদ্যোগে বৈষম্য বিরোধী নকলনবিশ দাবি আদায় পরিষদ আয়োজিত মহান বিজয় দিবস ও আন্দোলনের পরবর্তী করণীয় বিষয়ক মতবিনিময় ও আলোচনা সভায় এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

আলোচনা সভায় বলা হয়, চাকুরী জাতীয়করণের দাবিতে ১৯৭৬ সাল থেকে সাব রেজিস্ট্রি অফিসে কর্মরত ১৫ হাজার ৬৮২ জন নকল নবিশ আন্দোলন করে আসছেন। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে মহান জাতীয় সংসদসহ সরকারের বিভিন্ন কর্মকর্তারা নকলনবিশদের চাকুরি জাতীয়করণ করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এরপর অনেক সরকারের পালাবদল ঘটলেও নকলনবিশদের দাবি-দাওয়া আজও পূরণ হয়নি। বিগত প্রতিটি সরকারকে নকলনবিশদের চাকুরি জাতীয়করণের স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছিল। একাধিকবার আশ্বাস দিলেও নকলনবিশদের দুঃখ লাঘব হয়নি। গত ১০ অক্টোবর হতে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত জাতীয় প্রেসক্লাবে অবস্থান ধর্মঘট ও ২৪ নভেম্বর আইন উপদেষ্টা মহোদয় আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক চাকুরী জাতীয়করণের জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।

উক্ত কমিটি পরবর্তী ১৪ কার্যদিবসের মধ্যে নকলনবিশদের যাবতীয় তথ্যাদি আইন মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে সার্বিক সহযোগিতা করছে। এ প্রেক্ষিতে যদি আগামী ৩ মাসের মধ্যে চাকুরী জাতীয়করণে কোনরূপ বিলম্ব হয়, তাহলে সারাদেশের নকলনবিশরা পুনরায় আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে। এ লক্ষ্যে আজ সংগঠনকে সু-সংগঠিত করার লক্ষ্যে সারাদেশের জেলা প্রতিনিধিদের নিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির আজকের মতবিনিময় ও বিজয় দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ এক্সট্রা-মোহরার (নকলনবিশ) এসোসিয়েশন কর্তৃক চাকরি জাতীয়করণসহ বিভিন্ন দাবি দাওয়া পর্যালোচনাক্রমে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দাখিলের জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে। কমিটির সদস্যরা হলেন, আইন ও বিচার বিভাগের উপ-সচিব হাসান মাহমুদুল ইসলাম, নিবন্ধন অধিদফতরের রেজিস্ট্রি অফিস সমূহের পরিদর্শক (আই আর ও), বাংলাদেশ এক্সট্রা-মোহরার (নকলনবিশ) অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম। আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ আল আমিন সরকারসহ বিভিন্ন জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা।

কালের আলো/এএমকে