গাজার শেষ হাসপাতালটিও দখলে নিয়েছে ইসরায়েল

প্রকাশিতঃ 10:55 am | December 29, 2024

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, কালের আলো:

ইসরায়েলি বাহিনী উত্তর গাজার শেষ প্রধান হাসপাতাল জোরপূর্বক খালি করার পর চিকিৎসক এবং কর্মীদের আটক ও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে বলে জানিয়েছে হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

কামাল আদওয়ান হাসপাতালের পরিচালক ডা. হুসাম আবু সাফিয়াসহ কয়েকজনকে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। আইডিএফ দাবি করেছে, ডা. সাফিয়া হামাসের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত, তবে তারা কোনো প্রমাণ এখনও উপস্থাপন করেনি।

কামাল আদওয়ান হাসপাতালের নার্সিং বিভাগের প্রধান ঈদ সাব্বাহ বিবিসিকে বলেছেন, শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল ৭টার দিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী হাসপাতাল খালি করার নির্দেশ দেয় এবং রোগী ও কর্মীদের মাত্র ১৫ মিনিট সময় দেয়। এরপর ইসরায়েলি সেনারা হাসপাতালে প্রবেশ করে বাকি রোগীদের সরিয়ে নেয়। এই অভিযানের ফলে এলাকার শেষ প্রধান স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রটিও কার্যক্রম বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে।

আইডিএফ জানিয়েছে, তারা সেখানে একটি অভিযান চালিয়েছে এবং হাসপাতালটিকে হামাস সন্ত্রাসীদের ঘাঁটি হিসেবে অভিহিত করেছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্যমতে জানা গেছে, ১৫ জন গুরুতর রোগী, ৫০ জন সেবাকর্মী এবং ২০ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে কাছাকাছি ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

আইডিএফ জানিয়েছে, তারা ‘নাগরিক, রোগী ও চিকিৎসা কর্মীদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করেছে।’ তবে হাসপাতালের আশপাশে অভিযান চলাকালীন অস্ত্র উদ্ধার এবং ২৪০ জন যোদ্ধাকে আটক করার দাবি করেছে আইডিএফ।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এবং নিরাপত্তা সংস্থা (আইএসএ) দাবি করেছে, হাসপাতালটি জাবালিয়ায় হামাসের সামরিক কার্যক্রম পরিচালনার কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল।

হামাস জাতিসংঘকে গাজার বাকি চিকিৎসা কেন্দ্রগুলো রক্ষায় হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে। এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, ‘আমরা জাতিসংঘ পর্যবেক্ষকদের এসব স্থানে পাঠানোর দাবি জানাই, যাতে প্রকৃত ঘটনা যাচাই করা যায়।’

কালের আলো/এএমকে