পুলিশ জনগণের হতে চায়: রেজাউল করিম

প্রকাশিতঃ 8:33 pm | December 29, 2024

কালের আলো ডেস্ক:

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) রেজাউল করিম মল্লিক বলেছেন, জনগণের পুলিশে পরিণত হতে ঢাকা মহানগর পুলিশ দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে। আমরা সেই পুলিশ হতে চাই, যে পুলিশ মুক্তিযুদ্ধে অকাতরে জীবন বিলিয়ে দিয়েছে। জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। এই বিপ্লবকে আমাদের মনে-প্রাণে ধারণ করে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।

রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে শাহবাগ থানা এলাকায় ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) ভবনে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, ‘জনগণের সহযোগিতা নিয়ে সর্বোচ্চ পুলিশি সেবা দিতে ও দেশের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে চাই। পুলিশ ও জনগণ একসঙ্গে কাজ করলে আমরা একটি সুন্দর সমাজ গড়তে পারবো।’

তিনি বলেন, ‘ডিবি জনগণের সেবায় কাজ করে যাচ্ছে। আপনারা আমাদের মাদক, চাঁদাবাজ ও দখলবাজদের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুন। আমরা তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেবো। এমনকি ডিবির কোনও সদস্য যদি অপরাধ করে এই তথ্যও দিন। তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়, আমি অপরাধ করলে আমারও বিচার হবে। ডিবি হবে জনগণের আস্থার নাম।’

ডিবি প্রধান আরও বলেন, ‘জনগণের কাঙ্ক্ষিত সেবা ও জানমাল রক্ষায় যা করা দরকার তাই করতে হবে। পুলিশ সম্পর্কে কোনও বিরূপ ধারণা যেন সৃষ্টি না হয়, সেই দিকে দৃষ্টি রেখে কাজ করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘মানুষ যখন মসজিদে নামাজ পড়ে, মন্দিরে পূজা অর্চনা করে, সেই সময় পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকে। আমাদের কোনও কর্ম ঘণ্টা নেই। আমরা চাই বাংলাদেশ হবে সম্প্রীতির দেশ। সম্প্রীতির মাধ্যমে হিন্দু, মুসলিম ও বৌদ্ধ সবাই একত্রে বসবাস করতে পারবে। আমাদের মধ্যে কোনও ভেদাভেদ থাকবে না। আমরা একে অপরের পরিপূরক। জনগণ পুলিশ একসাথে থাকতে চাই। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে চাই।’

ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার তালেবুর রহমান জানান, মতবিনিময় সভায় উপস্থিত শাহবাগ থানা এলাকার নাগরিকরা অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারের কাছে তাদের বিভিন্ন মতামত ও পরামর্শ তুলে ধরেন।

মতবিনিময় সভায় ডিএমপির রমনা বিভাগের বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাজীবী, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নেতা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান এবং ছাত্র আন্দোলনের নেতা উপস্থিত ছিলেন।

কালের আলো/ডিএইচ/কেএ