নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করল নর্দান বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ
প্রকাশিতঃ 8:41 pm | December 30, 2024
ইউনিভার্সিটি প্রতিবেদক, কালের আলো:
বেসরকারি উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নর্দান বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ বাংলা বিভাগের ফল সেমিস্টারের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ অনুষ্ঠান হয়েছে। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) রাজধানী ঢাকার এয়ারপোর্ট সংলগ্ন আশকোনায় স্থায়ী ক্যাম্পাসে এই নবীনবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে নবীনদের বরণ করে নেওয়ার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম কানুন, শিক্ষা কার্যক্রম, সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে শিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ইঞ্জিনিয়ার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মানুষের জীবনে সাহিত্যের গুরুত্ব অসীম। সাহিত্যকে বর্তমান বিশ্বের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের অংশীদার করতে হবে। সাহিত্য ঐতিহাসিকভাবে দেশ, মাটি ও মানুষের উন্নয়নে এবং মানুষের অন্তরকে পরিশুদ্ধ করার কাজ করে। তথ্যপ্রযুক্তির এ যুগে সাহিত্য ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে।
লালন ও ফোকলোর গবেষক অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল করীম বলেন, ‘মানুষের জীবনবোধের জন্য সাহিত্যের বিকল্প নেই। পৃথিবীর সকল বিপ্লবের পিছনে সাহিত্যের ভূমিকা অনেক বেশি। এমনকি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা লাভে সাহিত্য ভূমিকা রেখেছিল বলেই ১৪ ডিসেম্বর ৯৯১ জন্য শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যিককে হত্যা করা হয়েছিল।’
বাংলা বিভাগের কো-অর্ডিনেটর আব্দুর রহিম বলেন, বিগত স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে নিহত সকল শহীদগণের স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান এবং যারা আহত হয়েছেন তাদের আশু রোগমুক্তি কামনা করেন। বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে টিকে থাকতে হলে ভালো পড়াশোনার বিকল্প নেই। অনুষ্ঠানে নবীনদের উদ্দেশে বলেন, তোমরাই আগামী প্রজন্ম। তোমাদের উপর জাতির ভবিষ্যত নির্ভর করছে। এখানে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা আছে। তোমরা এগুলোর যথাযথ ব্যবহার করে নিজেদের দক্ষতাকে বাড়িয়ে তুলতে পারবে।
তিনি আরও বলেন, কর্মক্ষেত্রে দক্ষতার সাথে সফল হওয়ার উপায়, দূরদর্শী ও আদর্শ মানুষ হিসেবে সমাজে অবদান রাখতে শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করেন।
ইংলিশ বিভাগীয় প্রধান জসীমউদ্দীন বলেন, ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ অস্বীকার করা যাবে না, ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ ধারণ করেই জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান স্বীকার করতে হবে।
এ সময় বক্তারা বলেন, দেশের উন্নয়নে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই, তাই শিক্ষা অর্জন করে দেশের প্রতি দায়িত্ব পালনের জন্য নবীন শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান। শিক্ষার্থীদের ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে শিক্ষকদের যেমন যথাযথ দায়িত্ব পালন করতে হবে, তেমনি শিক্ষার্থীদেরও সময়ের সদ্ব্যবহার নিশ্চিতের গুরুত্ব দেন তারা। পাশাপাশি যথাসময়ে শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত থাকার বিষয়ে সচেতন করা হয়।
উৎসবমুখর পরিবেশে শিক্ষার্থীরা নানা আয়োজনে এবং দেশ ও জাতির অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখার শপথ গ্রহণ এবং সাংস্কৃতিক উৎসবের মাঝে দিনটি পালন করেন।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ইঞ্জিনিয়ার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, উপ-উপাচার্য লেফটেন্যান্ট কর্নেল প্রফেসর ড. সরদার হোসাইন মাহমুদ, সিডিআর মোঃ মোস্তফা শহীদ (অব.) বি.এন রেজিস্ট্রার (ইন-চার্জ), ইংলিশ বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর জসীমউদ্দীন, সিএসই বিভাগীয় প্রধান রায়হান মাসুদ, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগীয় প্রধান জিএম ফয়সাল, প্রক্টর লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোতাহার হাসান চৌধুরী, সহকারী অধ্যাপক মোজ্জামেল হক, বাংলা বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ, প্রশাসনিক কর্মকর্তাবৃন্দ ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
কালের আলো/মো: আব্দুল্লাহ আল নোমান/দেলোয়ার হোসাইন