নতুন বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে তারুণ্যের উৎসবের উদ্বোধনী খামে প্রধান উপদেষ্টার স্বাক্ষর

প্রকাশিতঃ 8:03 pm | December 30, 2024

কালের আলো রিপোর্ট:

জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার উত্তাল আন্দোলন আর দেড় হাজারেরও বেশি অকুতোভয় মুক্তিকামী মানুষের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে নতুন স্বাধীনতা। ছাত্র-জনতার সেই সফল আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে দেশের তরুণ সমাজ। সেই তরুণদের লড়াই-সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত নতুন বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। দেশজুড়ে আয়োজন করেছে তারুণ্যের উৎসব। সার্বিক তত্ত্বাবধানে রয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। এই উৎসবের প্রতিপাদ্যও বেশ আকর্ষণীয়- ‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’।

‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়ার লক্ষ্য ও পরিকল্পনায় শরিক করার উদ্যোগে গোটা দেশে আয়োজিত তারুণ্যের উৎসবের এবার উদ্বোধনী খামে স্বাক্ষর করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টায় রাষ্ট্রীয় বাসভবন যমুনায় তিনি এই উদ্বোধনী খামে স্বাক্ষর করেন। এ সময় যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব রেজাউল মাকছুদ জাহেদি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জানা যায়, বিপিএলের ডংকা বেজেছিল বেশ আগেই। বিপিএল নিয়ে তোড়জোড়, হইচই, সোরগোলও ছিল বেশ কিছুদিন যাবতই। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বিপিএল ২০২৪-২০২৫-এর পর্দা উঠার পর এরই মাধ্যমে সূচিত হয়েছে এই তারুণ্যের উৎসব। ক্রিকেট ছাড়াও ফুটবল, কাবাডি, ব্যাডমিন্টন, সাঁতার, অ্যাথলেটিক্স ও বাস্কেটবলের বিভিন্ন ইভেন্ট থাকবে উৎসবটিতে। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে এই তারুণ্যের উৎসব।

আয়োজক যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় মনে করে, তারুণ্যের উৎসব বিপিএল ২০২৫-এর সহযোগিতায় বিভিন্ন কমিউনিটি এনগেজমেন্টের মাধ্যমে তরুণদের মধ্যে খেলাধুলার প্রসারে কাজ করবে। এর মধ্যে থাকবে তরুণদের জন্য স্থানীয় ক্রীড়া টুর্নামেন্ট এবং কমিউনিটি ক্রিকেট ক্লিনিক, যা তাদের অংশগ্রহণ ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।আয়োজনে রয়েছে জুলাই-আগস্টের সেই উত্তাল দিনগুলোয় যে বীর সেনানীরা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে ফ্যাসিবাদীদের পতন ঘটিয়েছেন, তাদের স্মৃতি চিহ্ন।

সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, বিভিন্ন ফ্যান জোনে ঐতিহ্যবাহী খাবারের স্টল থাকবে। এর মাধ্যমে আঞ্চলিক রান্নার পরিচিতি ও স্থানীয় ব্যবসার প্রচার করা হবে, যা দেশীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে তুলে ধরবে। তরুণদের মধ্যে খেলাধুলার প্রসারে কাজ করবে। ফ্যান জোনগুলোতে দেশী শিল্পীদের সৃষ্টিশীলতা প্রদর্শনের জন্য শিল্প প্রদর্শনী আয়োজন করা হবে। এটি অনেক শিল্পীকে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ করে দেবে এবং একই সঙ্গে ঐতিহ্যবাহী ও আধুনিক শিল্পের উদযাপন হবে। শুধু তাই নয়, স্থানীয় জনগণ এবং স্কুল সংগঠনসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবক দল ম্যাচের আগে ও পরে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালিয়ে স্টেডিয়ামগুলোকে পরিষ্কার রাখবে।

তারুণ্যের উৎসবের এই আয়োজনকে যুগান্তকারী উল্লেখ করে অনেকেই বলছেন, চারিদিকে নতুনের উৎসব, দিনে দিনে বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এ যেন নতুন সূর্যোদয়। ধীরে ধীরে কেটে যাচ্ছে সব অন্ধকার। নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন রূপ নিচ্ছে বাস্তবে। গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে দেশের তরুণেরা। আর সেই ছোয়া লেগেছে দেশের ক্রীড়াঙ্গনেও। বিপিএলের সহযোগিতায় তারুণ্যের উৎসব যোগ করেছে নতুন মাত্রা।

কালের আলো/এমএএএমকে