পদ্মা সেতুর মামলাটি অধিকতর তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক
প্রকাশিতঃ 5:57 pm | December 31, 2024
নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
একে অপরকে আর্থিক লাভবান করার অসৎ উদ্দেশ্যে অপরাধমূলক অসদাচরণ ও বিধি-বিধান ভঙ্গ করে ঘুষ লেনদেনের ষড়যন্ত্রমূলক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে পদ্মা সেতু প্রকল্পের নির্মাণকাজে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের নির্মাণ তদারকি পরামর্শক নিয়োগসহ নানা অনিয়মের কারণে পদ্মা সেতুর মামলাটি অধিকতর তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের সাবেক সচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, সাবেক সচিব, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (নদী শাসন) কাজী মো. ফেরদাউস, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রিয়াজ আহমেদ জাবের, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড প্লানিং কনসালটেন্ট লিমিটেড (ইপিসি), ঢাকার উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোস্তফা ও এসএনসি লাভালিন ইন্টারন্যাশনালের সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ ইসমাইল, এসএনসি লাভালিন ইন্টারন্যাশনালের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট রমেশ শাহ ও কেভিন ওয়ালে একে অপরকে আর্থিক লাভবান করার অসৎ উদ্দেশ্যে অপরাধমূলক অসদাচরণ ও বিধি-বিধান ভঙ্গ করে ঘুষ লেনদেনের ষড়যন্ত্রমূলক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে পদ্মা সেতু প্রকল্পের নির্মাণকাজে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের নির্মাণ তদারকী পরামর্শক নিয়োগ সংক্রান্ত দরপত্রের অন্যতম দরদাতা SNC-Lavalin Internatonal Inc কে কার্যাদেশ পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করার অভিপ্রায়ে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র করায় তাদের বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ১৬১ ধারা তৎসহ ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারার অপরাধ সংঘটনের ষড়যন্ত্রের দায়ে দন্ডবিধির ১২০ (বি) ধারায় বনানী থানার মামলা নং ১৯, গত ২০১২ সালে ১৭ ডিসেম্বর মামলা রুজু করা হয়। পরবর্তীতে তদন্তশেষে মামলাটি ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সালে আদালতে এফআরটি দাখিল করা হয়।
আলোচ্য মামলা পুনঃপর্যালোচনা করে কমিশন মামলাটি অধিকতর তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
কালের আলো/এএমকে