সৈয়দপুরে মিলছে না সূর্যের দেখা, শীতে জবুথবু
প্রকাশিতঃ 1:34 pm | January 02, 2025
নীলফামারী প্রতিনিধি, কালের আলো:
কুয়াশার আবরণে ঢাকা পড়েছে উত্তরের নীলফামারীর সৈয়দপুর। শৈত্যপ্রবাহ না হলেও উত্তরের ঝিরঝির হিম বাতাস বাড়িয়ে দিয়েছে শীতের প্রকোপ। ৪ দিন ধরে সূর্যের দেখা মিলছে না। ফলে তীব্র শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছে এখানকার মানুষ।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় রেকর্ড হয়েছে ১১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। এর আগে ভোর ৬টায় রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, গত দিনের মতো কুয়াশার চাদরে ঢাকা রয়েছে উত্তরের এ উপজেলা। হিমেল শীতল হাওয়া বয়ে যাওয়ার কারণে শৈত্যপ্রবাহ না হলেও বাতাসে ঝরাচ্ছে কনকনে তীব্র শীত। পৌষের মাঝামাঝিতে এমন শীতে দুর্ভোগে পড়েছেন ছিন্নমূল, খেটে খাওয়া, দিনমজুর ও নিম্নআয়ের মানুষ।
এদিকে বুধবার দিনভর কুয়াশার আবরণে ঢাকা থাকায় দেখা যায়নি সূর্যের মুখ। উত্তরের হিমেল বাতাসে কনকনে শীতে কেঁপেছে জনপদের মানুষ। পর্যাপ্ত শীতবস্ত্রের অভাবে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে নিম্নবিত্ত, হতদরিদ্র ও অসহায় শ্রেণির মানুষ। শীতের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় শহরের ফুটপাতসহ হাট-বাজারে বসা ফুটপাতের দোকানগুলোতে নিম্ন আয়ের মানুষদের ভিড় দেখা গেছে। তবে ফুটপাতের দোকানগুলোতে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে শীতের কাপড়। অনেকে টাকার অভাবে কিনতে পারছেন না পরিবারের জন্য শীতের কাপড়। বাড়িতে ও শহরে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা গেছে। বেড়েছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগ-ব্যাধিতে আক্রান্তের পরিমাণ। প্রতিদিনই উপজেলা হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে জ্বর, সর্দি, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেকে। চিকিৎসা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।
সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিস পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হাকিম বলেন, আকাশে মেঘ ও মৌসুমি বায়ু নিষ্ক্রিয় থাকার কারণে তাপমাত্রা একটু বেশি। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় রেকর্ড হয়েছে ১১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। এর আগে ভোর ৬টায় রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল দিনের তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের তাপমাত্রা কমে আসা ও বাতাসের আর্দ্রতা ৯৯ ভাগ হওয়ায় শীতের প্রকোপ বেড়েছে বলে জানান তিনি।
সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক নুরে আলম সিদ্দিকী বলেন, ৪ দিন ধরে প্রচণ্ড শীত ও হিমেল বাতাস বয়ে চলছে। সূর্যের দেখা মিলছে না। এ পর্যন্ত ২৬শ অসহায় দরিদ্র শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের কাছে আরো ১০ হাজার শীতবস্ত্রের চাহিদা পাঠানো হয়েছে।
কালের আলো/এএমকে