৭২ ঘণ্টার মধ্যে ডাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার আল্টিমেটাম
প্রকাশিতঃ 11:25 am | January 03, 2025
ঢাবি প্রতিনিধি, কালের আলো:
৭২ ঘণ্টার মধ্যে ডাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে ভিসি চত্বরে এই আল্টিমেটাম ঘোষণা করেন তারা।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট মিটিংয়ে আওয়ামীপন্থি তিন সদস্যের নিমন্ত্রণ ও সিন্ডিকেটে ডাকসু নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান ও প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ খানের সঙ্গে ছাত্রদলের হট্টগোলের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের একটি অংশ। পরে তারা এ ঘটনার প্রতিবাদে রাত সাড়ে ১১টায় ঢাবি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের হল পাড়া থেকে মিছিল বের করে তারা বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে ভিসি চত্বরে জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে থাকেন।
এ সময় তারা ‘এক দুই তিন চার, ডাকসু আমার অধিকার’, ‘টেম্পু না ডাকসু, ডাকসু ডাকসু’, ‘কবরস্থান না ডাকসু, ডাকসু ডাকসু’, ‘চাঁদাবাজ না ডাকসু, ডাকসু ডাকসু’, ‘সন্ত্রাস না ডাকসু, ডাকসু ডাকসু’, ‘গেস্ট রুম না ডাকসু, ডাকসু ডাকসু’, ‘গণরুম না ডাকসু, ডাকসু ডাকসু’, ‘চাঁদাবাজের ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না’ প্রভৃতি স্লোগান দিতে থাকেন।
এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মাহিন সরকার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ডাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে।
মাহিন সরকার বলেন, ‘উপাচার্য স্যার শুধু একজন ব্যক্তি নন, তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি। তাকে অপমান করার মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীদের অপমান করা হয়েছে। বর্তমান প্রশাসন ডাকসু নির্বাচনের পক্ষে কথা বলার পর থেকেই ছাত্রদল এবং অন্য যারা ষড়যন্ত্রকারী আছে তারা কথা বলা শুরু করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে উপাচার্য স্যারকে মেরুদণ্ড সোজা রেখে ডাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে। তার সময়সীমা মাত্র ৭২ ঘণ্টা। যদি ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রোডম্যাপ ঘোষণা না হয় তাহলে আমরা কঠোর থেকে কঠোরতর কর্মসূচিতে যাবো।’
সমাবেশে আরেক সাবেক সমন্বয়ক তাহমিদ আল মুদাসসির চৌধুরী বলেন, ‘ছাত্রলীগের আমলে পাতানো নির্বাচনের পরও শিক্ষার্থীরা গণরুম-গেস্টরুম থেকে সাময়িক স্বস্তি পেয়েছিল। শিক্ষার্থীরা সাময়িকভাবে হলেও গণতন্ত্রের স্বাদ পেয়েছিল। আমরা যখন বাংলাদেশ থেকে ফ্যাসিবাদ বিদায় করেছি তখন অন্য একদল আমাদের সেই গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করছে, বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করছে, আবার সেই গণরুম-গেস্ট রুম ফিরিয়ে আনার জন্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মুসলিম লীগের ছাত্র সংগঠন এনএসএফকে বিদায় করেছি, এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় ছাত্র সমাজের কবর রচিত হয়েছে, এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের মতো দানবের কবর রচিত হয়েছে, যদি ছাত্রদল শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে যায় তাহলে এই ক্যাম্পাসে ছাত্রদলেরও কবর রচিত হবে।’
কালের আলো/ডিএইচ/কেএ