টেকনাফে কোস্টগার্ডের সঙ্গে চোরাকারবারিদের গোলাগুলি, নিহত ১
প্রকাশিতঃ 8:38 pm | January 04, 2025
কক্সবাজার প্রতিনিধি, কালের আলো:
কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদে চোরাকারবারিদের সঙ্গে গোলাগুলিতে মোসলেহ উদ্দিন (৩৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তি মাদক কারবারি বলে জানিয়েছে কোস্টগার্ড। এ ঘটনায় মাদক ও অস্ত্রসহ ১৬ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে পাঁচ জন রোহিঙ্গা নাগরিক। অন্যরা বাংলাদেশি নাগরিক।
শুক্রবার (০৩ জানুয়ারি) মধ্যরাতে টেকনাফের নাফ নদের মোহনায় নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। শনিবার (০৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লে. কমান্ডার মো. সিয়াম উল হক বিষয়টি জানিয়েছেন। নিহত মোসলেহ উদ্দিন ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার বাসিন্দা।
তিনি বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে শুক্রবার মধ্যরাতে ফিশিং বোটে করে মাদকের একটি চালান বাংলাদেশে আসছে খবর পেয়ে নাফ নদের নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় অবস্থান নেয় কোস্টগার্ড। এ সময় বোটটি বাংলাদেশের জলসীমায় এলে কোস্টগার্ড থামার সংকেত দেয়। তারা সংকেত অমান্য করে দ্রুত কক্সবাজারের দিকে পালাতে শুরু করে। এ অবস্থায় ফাঁকা গুলি ছুড়ে থামাতে চেষ্টা করলে কোস্টগার্ডকে পাল্টা গুলি ছুড়ে চোরাকারবারিরা। তখন কোস্টগার্ড আত্মরক্ষার্থে বোটের ইঞ্জিন কক্ষ বরাবর গুলি চালায়। এতে সেটি থেমে যায়। পরে কোস্টগার্ড বোট থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজনকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠালে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এরপর বোটে তল্লাশি চালিয়ে ১৬ জন মাদক পাচারকারীকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে ১০ হাজার পিস ইয়াবা, তিনটি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র ও তিন রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়।’
লে. কমান্ডার মো. সিয়াম উল হক আরও বলেন, ‘আটক পাচারকারীরা জিজ্ঞাসাবাদে জানায় তারা মিয়ানমার থেকে মাদক নিয়ে বাংলাদেশে আসছিল। কোস্টগার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে বিপুল পরিমাণ মাদক নাফ নদে ফেলে দেয়। সেগুলো উদ্ধারে অভিযান চলছে। উদ্ধার ইয়াবা, আগ্নেয়াস্ত্র, তাজা গুলি ও আটককৃতদের টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রণয় রুদ্র বলেন, ‘সকালে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে আসে পুলিশ। এখানে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।’
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘মৃত ব্যক্তির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আটকদের বিরুদ্ধে মামলা হবে।’
কালের আলো/এমডিএইচ