বিজিবি’র অভিযানে ডিসেম্বরে ১৪৭ কোটি ৮৪ লক্ষাধিক টাকার চোরাচালান পণ্যসামগ্রী জব্দ
প্রকাশিতঃ 5:04 pm | January 06, 2025
নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) গত ডিসেম্বর-২০২৪ মাসে দেশের সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে সর্বমোট ১৪৭ কোটি ৮৪ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকারের চোরাচালান পণ্যসামগ্রী জব্দ করতে সক্ষম হয়েছে।
জব্দকৃত চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ৪ কেজি ১৯২ গ্রাম স্বর্ণ, ১০ কেজি ১২৫ গ্রাম রুপা, ১১,৫২৩টি শাড়ী, ৯,৬১৭টি থ্রিপিস/শার্টপিস/চাদর/কম্বল, ৮,৩৮৭টি তৈরী পোশাক, ১০,২০৪ মিটার থান কাপড়, ৭,৮৯,১৫২টি কসমেটিক্স সামগ্রী, ৪,৭০২টি ইমিটেশন গহনা, ১৩,৪২,৬০৩টি আতশবাজি, ৬,৭৮১ ঘনফুট কাঠ, ৬,০৩৬ কেজি চা পাতা, ২১,৪৯০ কেজি সুপারি, ৩,৯৫,৩৯৫ কেজি চিনি, ১২,৬২৫ কেজি সার, ১,৭৭৪ প্যাকেট বিভিন্ন প্রকার বীজ, ৮০,৯৪০ কেজি কয়লা, ৫২০ ঘনফুট পাথর, ১৯,৩৬,২০০ ঘনফুট বালু, ৫৮৩টি মোবাইল, ৩০,৬৭০টি চশমা, ৪৬,৯৬৬ কেজি বিভিন্ন প্রকার ফল, ১,৩১, ৪৬৩ কেজি রসুন, ১১,৭৮৮ কেজি জিরা, ১টি কষ্টি পাথরের মূর্তি, ৫৬০ গ্রাম সাপের বিষ, ৫টি ট্রাক, ১টি বাস, ৬টি পিকআপ, ৩টি প্রাইভেটকার/মাইক্রোবাস, ৩টি ট্রলি, ৭৪টি নৌকা, ৩১টি সিএনজি/ইজিবাইক, ৭২টি মোটরসাইকেল, ২২টি ভ্যান গাড়ি এবং ৩০টি বাইসাইকেল।
উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ১টি পিস্তল, ১টি রাইফেল, ১টি এয়ার গান, ৫টি ম্যাগাজিন, ১৪ রাউন্ড গুলি, ১টি মর্টার শেল, ১টি গ্রেনেড ও ১টি রকেট গোলা।
এছাড়াও গত মাসে বিজিবি কর্তৃক বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ২,৬৬,২৬২ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ১ কেজি ৭৯০ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস, ৬ কেজি ২৬৭ গ্রাম হেরোইন, ৫ কেজি ৭৮৮ গ্রাম কোকেন, ২৮,৯১৩ বোতল ফেনসিডিল, ১২ বোতল এলএসডি, ১৮,৩২৪ বোতল বিদেশী মদ, ৫৯২ লিটার বাংলা মদ, ৯২১ ক্যান বিয়ার, ১,০৯৩ কেজি গাঁজা, ১,০২,৮০০ প্যাকেট বিড়ি ও সিগারেট, ৪১,২৯৯টি নেশাজাতীয় ট্যাবলেট/ইনজেকশন, ৩,৫২৪ বোতল ইস্কাফ সিরাপ, ১,২৩০ বোতল এমকেডিল/কফিডিল, ৩৭,১১,৫৪৭ পিস বিভিন্ন প্রকার ঔষধ ও ট্যাবলেট এবং ৭৭,৮৯২টি এ্যানেগ্রা/সেনেগ্রা ট্যাবলেট।
সীমান্তে বিজিবি’র অভিযানে ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক পাচার ও অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০৮ জন চোরাচালানী এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ৪২৬ জন বাংলাদেশী নাগরিক ও ১৮ জন ভারতীয় নাগরিককে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকালে ৭৭২ জন মায়ানমার নাগরিককে নিজ দেশে ফেরত প্রদান করা হয়েছে।
কালের আলো/এমএএইচইউ