‘বিডিআর হত্যাকাণ্ড বিদ্রোহ নয়, ছিল দেশকে দুর্বল করার ষড়যন্ত্র’
প্রকাশিতঃ 5:24 pm | January 06, 2025
নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) আ ল ম ফজলুর রহমান বলেছেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ড কোনো ধরনের বিদ্রোহ ছিল না, এটা ষড়যন্ত্র ছিল সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে। এর মাধ্যমে বিডিআর, সেনাবাহিনী ও দেশকে দুর্বল করে দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) রাজধানীর রাওয়া কনভেনশন সেন্টারে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
১৫ বছর আগে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পরপরই ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি রক্তে রঞ্জিত হয় তৎকালীন বিডিআর সদর দফতর। দুই দিনে পিলখানায় নিহত হন ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন। ভয়ংকর নির্যাতনের স্বীকার হয়ে বেঁচে ফেরেন ৫৫ জন। এখনো বয়ে বেড়ানো দগদগে ক্ষত ক্ষোভের স্ফুলিঙ্গ হয়ে চোখে-মুখে ফুটে ওঠে তাদের স্মৃতিচারণে। তারা জানান, চরমভাবে নির্যাতন চালিয়ে রক্তাক্ত করা হয়েছিল। গলা টিপেও হত্যা করা হয়। সেই মৃত্যুর কাছ থেকে ফিরে এসেছেন তারা।
এত বছর পর ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে গঠন করা হয়েছে ৭ সদস্যের স্বাধীন তদন্ত কমিশন। কমিশনের সঙ্গে শহীদ পরিবারের সদস্যদের মতবিনিময় সভায় উঠে আসে নির্মমতার গল্প। সঠিক বিচার না হওয়ায় আক্ষেপ নিয়ে দিন পার করছেন স্বজনহারারা। বিডিআর হত্যাকাণ্ডকে সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত দাবি করে শহীদ পরিবারের সন্তানরা বলছেন, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে উন্মোচিত হোক প্রকৃত ঘটনা। বিচার হোক দোষীদের।
নিরপেক্ষভাবে কাজ করার কথা জানিয়ে কমিশনের সভাপতি জানান, স্বচ্ছভাবে তদন্ত করে তিন মাসের মধ্যে প্রকাশ করা হবে পিলখানা হত্যাযজ্ঞের তদন্ত প্রতিবেদন। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও আনা হবে জিজ্ঞাসাবাদের আওতায়।
কমিশেনের ওপর আস্থার রাখতে বলেন আ ল ম ফজলুর রহমান। তিনি বলেন, আমরা দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়টাকে আগামী দুমাসের মধ্যেই শেষ করে ফেলতে চাই। একটা মাস রাখবো, আমরা যাদেরকে সন্দেহ করি, বিশেষ করে ভারতে অবস্থান করা শেখ হাসিনাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ভারতীয় হাইকমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করে হয় শেখ হাসিনা এসে কথা বলবেন, কিংবা আমাদের টিম সেখানে গিয়ে তার সাক্ষাৎকার নেবে।
এ সময় পিলখানা হত্যায় ভারতের জড়িত থাকার অভিযোগ নিয়ে প্রমাণ দেওয়ার আহ্বান জানান কমিশন সভাপতি।
কালের আলো/এমডিএইচ