সম্পর্ক জোরদার করতে চায় ইইউ, ঢাকায় ইআইবির ভাইস প্রেসিডেন্ট
প্রকাশিতঃ 1:39 pm | January 07, 2025
কালের আলো ডেস্ক:
নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। সেইসঙ্গে বাংলাদেশে বিনিয়োগও বাড়াতে চায় ইউরোপের ২৭ দেশের সমন্বয়ে গঠিত সংস্থাটি। এজন্য বিনিয়োগের নিরাপত্তাও চায় তারা। এ সংক্রান্ত সার্বিক বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করতে তিন দিনের সফরে রাজধানী ঢাকায় এসেছেন ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংকের (ইআইবি) ভাইস প্রেসিডেন্ট নিকোলা বিয়ার।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) ঢাকায় পা রেখেছেন তিনি।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি সদস্য রাষ্ট্রের মালিকানার ইআইবি বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বহুপক্ষীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিনিয়োগ ব্যাংক হিসেবে কাজ করে। বৈদেশিক নীতিগত অগ্রাধিকার, গুরুত্বপূর্ণ কাঁচামাল, ইইউ মাল্টিঅ্যানুয়াল ফাইন্যান্সিয়াল ফ্রেমওয়ার্ক (এমএফএফ) এবং দক্ষিণ, দক্ষিণ-পূর্ব ও পূর্ব এশিয়ায় অর্থায়ন কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করেন ভাইস প্রেসিডেন্ট বিয়ার।
এর আগে সোমবার (৬ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, নিকোলা বিয়ারের সফর সূচিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকসহ বেশ কয়েকটি বৈঠক রাখা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা ছাড়াও ঢাকায় অবস্থানকালে অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ ও রেলওয়ে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে বৈঠক করবেন ইআইবির ভাইস প্রেসিডেন্ট।
এছাড়া তিনি কেএফডব্লিউ, এএফডি, এডিবি, আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক, আইএফসি এবং জাইকার প্রতিনিধিদের সঙ্গে সকালের নাস্তা ও বৈঠক করবেন; নৈশভোজে বৈঠক করবেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশের (ইউরোচ্যাম) সঙ্গে।
জলবায়ু কার্যক্রম ইআইবির কার্যক্রমের একটি বড় অংশ হলেও এটি পরিবেশ, উন্নয়ন, উদ্ভাবন এবং দক্ষতা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের ব্যবসা (এসএমই), অবকাঠামো এবং সমন্বয়ের ওপরও দৃষ্টি দিয়ে থাকে।
ইআইবি সমতা এবং ঋণ প্রদানকারী কোম্পানি এবং প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে অর্থায়ন করে এবং বিনিয়োগ করে, যা ঋণ, সমতা এবং গ্যারান্টির মাধ্যমে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নীতিগত লক্ষ্য অর্জন করে। ১৯৫৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ইআইবি ইউরোপ এবং বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন প্রকল্পে এক ট্রিলিয়ন ইউরোর বেশি বিনিয়োগ করেছে। ইআইবির জলবায়ু ও জ্বালানি লক্ষ্যগুলো ইউরোপ এবং এর বাইরেও নতুন মানদণ্ড নির্ধারণ করছে।
কালের আলো/এসএকে